বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির মধ্যে চলছে তীব্র মতবিরোধ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দেখা দিয়েছে জটিলতা। তবে ভারতের প্রাক্তন প্রধান কোচ মদন লাল শুক্রবার দাবি করেছেন, কোহলি এবং সৌরভের মধ্যে বিবাদ নিছকই মতামতের অমিল। এর বাইরে কোনও বিতর্ক নেই। আর বিসিসিআই প্রেসিডেন্টেরই উচিত, পুরো বিষয়
দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে বুধবার ভার্চুয়াল সংবাদিক সম্মেলনে বোমা ফাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। যা নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ওডিআই অধিনায়কত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিস্ফোরণ ঘটান কোহলি। তাঁকে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরানোর কারণ হিসেবে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তিকে একেবারে খারিজ করে দেন তিনি। ঘুরিয়ে মিথ্যেবাদী প্রমাণ করেন সৌরভকে। এর পরেই শুরু হয় তীব্র চাপানউতোর।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের টেস্ট সিরিজের জন্য দল নির্বাচনের বৈঠকের মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে ওডিআই অধিনায়কত্ব পরিবর্তনের বিষয়ে তাঁকে জানানো হয় বলে দাবি করেছিলেন কোহলি। এমন কী সেই সাংবাদিক সম্মেলনে কোহলি স্পষ্ট ভাষায় বলে দেন, অক্টোবরে যখন তিনি টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তখন নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য বোর্ডের কেউ বা নির্বাচকেরা তাঁকে অনুরোধ জানাননি। অথচ সৌরভ বলে আসছিলেন, বোর্ড কোহলিকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব না ছাড়ার জন্য বুঝিয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করেছে। বিরাট কথা শোনেননি। আর সেই কারণে সংক্ষিপ্ত ওভারের ক্রিকেট একই অধিনায়ক রাখতে টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওডিআই-এর নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রোহিতের হাতে।
এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মদন লাল বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এই পরিস্থিতিটি আরও ভালো ভাবে পরিচালনা করা উচিত ছিল। কারণ এটি বিতর্ক নয়, মতামতের বিষয়। আমি জানি না বিরাটকে কী বলেছিলেন সৌরভ। তাই আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। কিন্তু আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের এর একটি ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত এবং পুরো বিষয়টির সমাপ্তি করে দেওয়া উচিত। আর আমাদের এখনই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আরও বেশি মন দেওয়া উচিত। কারণ এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট।’
এর সঙ্গেই মদন লাল যোগ করেছেন, ‘গাভাসকর সঠিক কথা বলেছে। বিরাটের উচিত ম্যানেজমেন্টের সাথে ওর কোনও সমস্যা থাকলে, তা পরিষ্কার রে নেওয়া। এটা বড় কোনও বিষয় নয়। আমি বলব, নির্বাচকদের এই পরিস্থিতি আরও ভালও ভাবে সামলানো উচিত ছিল। নির্বাচকদের দায়িত্ব এই সব বিতর্কের দেখাশোনা করা এবং বন্ধ করা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নির্বাচকেরা বিরাটের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা আমি নিশ্চিত নই।’