বুধবার ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার রাচিন রবীন্দ্র। বলা যেতে পারে রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন রাহুল দ্রাবিড় ও সচিন তেন্ডুলকরের মিশ্রন? আসলে ভারতের দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের নামের মিশ্রণ রয়েছে নিউজিল্যান্ড দলের এই ক্রিকেটারের নামে। রাহুল দ্রাবিড়ের ‘রা’, আর সচিনের ‘চিন’। দুটো মিলিয়ে ‘রাচিন’। যার সঙ্গে ভারতের নাড়ির যোগ রয়েছে। বাঁ হাতে ব্যাট করেন, সঙ্গে বাঁ হাতেই স্পিন বোলিং করেন। রাহুল ও সচিনের নামের সঙ্গে মিল রেখেই রবি কৃষ্ণমূর্তি ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘রাচিন’।
রাচিনের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তির আদি বাড়ি বেঙ্গালুরুতে। এখানেই বড় হয়েছেন। তারপর চলে যান ইংল্যান্ডে। কয়েকবছর সেখানে কাটিয়ে পাকাপাকিভাবে চলে যান নিউজিল্যান্ডে। ওয়েলিংটনে বসবাস শুরু করেন সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার রবি কৃষ্ণমূর্তি। সেখানেই জন্ম রাচিনের। একসময় বেঙ্গালুরুতে ক্রিকেট খেলতেন রবি কৃষ্ণমূর্তি। মেয়েকে ক্রিকেটার করতে চেয়েছিলেন। মেয়ের ক্রিকেটের প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ছেলে রাচিনের ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আগ্রহ ছিল। ছেলেকে ক্রিকেটার করবেন বলে উঠেপড়ে লেগে যান রবি কৃষ্ণমূর্তি। ওয়েলিংটনে ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেন। এমনকি ওয়েলিংটন থেকে মাঝেমাঝেই অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর স্পোর্টস ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসতেন। গত ৪ বছর ধরে হ্যাট হকসের হয়ে অনন্তপুরে ক্রিকেটের পাঠ নিতে আসতেন রাচিন।
২০১১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডের হ্যাট হকস ক্লাবের হয়ে নিয়মিত ভারত সফরে আসতেন রাচিন। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, অনন্তপুরে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছেন ছোটবেলায়। ২০১৬ অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলে সুযোগ পান। তখন মাত্র ১৬ বছর বয়স। ২০১৯ অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপেও খেলেছেন। এখনও পর্যন্ত ২৬টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলেছেন। এবার নিউজিল্যান্ডের ভারত সফরে জায়গা পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্রিকেটার রাচিন রবীন্দ্র।