Asia Cup 2022-এ চূড়ান্ত ভরাডুবি শাকিব আল হাসানদের। গত দু'বারের ফাইনালিস্টরা একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি। ফলে গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশকে।
1/5দলের সেরা তারকার ব্যর্থতা এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ক্যাপ্টেন শাকিব আল হাসান ব্যাটে-বলে নির্ভরতা দিতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি ৯ বলে ১১ রান করেন এবং ১৩ রানে ১ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২২ বলে ২৪ রান করেন শাকিব এবং ৩১ রান খরচ করেও কোনও উইকেট তুলতে পারেননি। সুতরাং, দুই ম্যাচে তারকা অল-রাউন্ডারের ব্যক্তিগত সংগ্রহ সাকুল্যে ৩৫ রান ও ১টি উইকেট।
2/5১০০-র বেশি ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের ২টি ম্যাচে যথাক্রমে ১ ও ৪ রান করে আউট হন। ২টি ম্যাচে মোট ৫ রান করা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিস করেন মুশফিক। মাহমুদুল্লাহ মন্দের ভালো হলেও সিনিয়র তারকা হিসেবে যেমন দায়িত্ব নেওয়া উচিত ছিল তাঁর, তিনি তা পালন করতে ব্যর্থ। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ২৭ বলে ২৫ রানের ধীর ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে করেন ২২ বলে ২৭ রান। সুতরাং, বাংলাদেশের সিনিয়র তারকারা সামনে থেকে লড়াই চালাতে পারেননি।
3/5স্পিন বোলিং বাংলাদেশের প্রধান শক্তি। তবে এশিয়া কাপে নিজেরাই স্পিন বোলিং যথাযথ সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তান ম্যাচে মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের সাঁড়াশি আক্রমণে দিশেহারা দেখায় শাকিবদের। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হাসারাঙ্গা-থিকসানারা বিব্রত করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। যার মাশুল গুনতে হয় শাকিবদের।
4/5শ্রীলঙ্কা ম্যাচে তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের ফিল্ডিং মোটেও ভালো হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রান-আউটের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। ফলে বাড়তি চাপ পড়েছে বোলারদের উপর।
5/5শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হারের পরে বাংলাদেশ দলনায়ক শাকিব তাঁদের ডেথ বোলিং ভালো হয়নি বলে অজুহাত দেন। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ বলা চলে। শাকিব ছাড়াও বল হাতে নজর কাড়তে পারেননি মেহেদি হাসান। তাছাড়া মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা পেসারও কার্যকরী বোলিং করতে পারেননি।