মঙ্গলবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-০ জেতার পর এই নিয়ে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থাকল এটিকে মোহনবাগান। সেই সঙ্গে তারা নয়া রেকর্ড করে ফেলল। এর আগে কেরালা ব্লাস্টার্স টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল। নর্থইস্টকে হারিয়ে কেরালাকে স্পর্শ করেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আর এফসি গোয়াকে হারিয়ে এটিকে মোহনবাগান টপকে গেল কেরালাকে।
তবু দলের পারফরম্যান্সে খুব একটা খুশি নন এটিকে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। তাঁর মতে, কয়েকটি বিষয়ে আরও তৎপরতা দেখানো উচিত ছিল দলের ছেলেদের। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রণ ও বিপক্ষকে চাপে রাখার ক্ষেত্রে। লিস্টন, মনবীরদেরও পুরো নম্বর দিতে রাজি নন তিনি।
এফসি গোয়াকে হারানোর পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যা বললেন ফেরান্দো:
কী মনে হল, আজ কি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ছিল দলের খেলায়, নাকি মাঝে মাঝে এফসি গোয়া আপনাদের চেয়ে এগিয়ে ছিল?
এফসি গোয়াকে নিয়ে ভাবছি না। নিজের দল নিয়েই ভাবছি। আমাদের সামনে আজ অনেক সুযোগ এসেছিল। তবে সত্যি বলতে, আজ আক্রমণে ওঠা, বিপক্ষকে চাপে রাখার ক্ষেত্রে আমরা খুব একটা ভাল জায়গায় ছিলাম না। বুঝতে পারছি, ছেলেরা ক্লান্ত। ৪৫ ঘণ্টা পরে ম্যাচ খেলতে নামা খুবই কঠিন। তবে আমি খুশি দলের ছেলেদের চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য। কিন্তু কিছু ছোটকাটো ব্যাপার এখনও ঠিক হচ্ছে না আমাদের, এটা আমার ভাল লাগেনি।
লিগ টেবলের শীর্ষে হায়দরাবাদকে দল তো ছুঁয়ে ফেলল?
এখন আমি কেরালার বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবছি। কঠিন হবে ম্যাচটা। কারণ, প্রতিপক্ষ খুবই শক্তিশালী। তিন দিন পরেই কঠিন ম্যাচটা খেলতে হবে আমাদের, এখন সেই নিয়েই চিন্তা বেশি। লিগ টেবলে কোথায় আছি, সেটা নিয়ে নয়। কারণ, দু-তিনদিনের মধ্যেই হয়তো দেখব, আমরা আবার চারে নেমে গিয়েছি। তাই পরের ম্যাচে ফোকাস করাই ভাল।
মনবীর ও লিস্টন দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতাচ্ছে, এতে কি আপনি খুশি? ওরা কি এখন দেশের সেরা দুই ফরোয়ার্ড?
এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি, আমি খুশি। কিন্তু ওদের আরও উন্নতি করতে হবে। ওদের পারফরম্যান্সের ভারতীয় ফুটবলপ্রেমীদের খুশি হওয়াই উচিত। কিন্তু ওদের এখনও অনেক কিছু শিখতে হবে। লিস্টনের বয়স কম। ও শিখতে পারবে।
ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণা, হুগো বুমৌসদের অনুপস্থিতিতেও দল জিতল। ওদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কাটায় কি এক দিক দিয়ে ভাল হয়েছে?
আপনি পুরো দলটার দিকে তাকান। ওরা যথেষ্ট লড়াই করছে। ওদের সবাইকে কুর্নিশ। দলের নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়রা খেলতে পারছে না, সে জন্য আমি অখুশি। তবে দলের বাকিরা বিদেশিদের স্তরের ফুটবলই খেলছে, এটা ভাল।
সন্দেশকে প্রথম দলে এনে কিছুটা হলেও সিস্টেমে বদল আনা হয়েছিল। পরের ম্যাচগুলোতেও কি একই জিনিস দেখা যাবে?
সত্যি বলতে, সিস্টেমটা আমার কাছে বড় কথা নয়। শুরু থেকে ক্রমশ আক্রমণ বাড়ানোর জন্য আমরা ৩-৫-২-এ শুরু করেছিলাম। কিন্তু সফল না হওয়ায় ৪-২-৩-১-এ চলে যাই। দুই সাইড ব্যাককে ভিতরে নিয়ে আসি। সেটাও যখন সফল হল না, তখন শেষ দিকে ৪-৪-২-এ চলে যাই আরও আক্রমণে ওঠার উদ্দেশ্য নিয়ে। বিপক্ষকে চাপে রাখাও প্রয়োজন ছিল। কারণ, আজ সারা ম্যাচে এই কাজটা মোটেই ভাল হয়নি আমাদের।