AFC Asian CUP

১২ জানুয়ারি থেকে শুরু এএফসি এশিয়ান কাপ। আয়োজনের দায়িত্বে কাতার। ফাইনাল ১০ ফেব্রুয়ারি। যে মাঠে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হয়েছিল, সেই লুসেল স্টেডিয়ামই ২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজনের দায়িত্বে। আদতে ২০২৩ সালে সেই টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একাধিক কারণে তা পিছিয়ে ২০২৪ সালের শুরুতেই নিয়ে আসা হয়। আগেরবারের মতোই এবারের এএফসি এশিয়ান কাপে মোট দলের সংখ্যা ২৪। গ্রুপের সংখ্যা ছয়। প্রতিটি গ্রুপে দল চারটি। আয়োজক কাতার, চিন, তাজিকিস্তান এবং লেবাননকে নিয়ে তৈরি হয় গ্রুপ ‘এ’। গ্রুপ ‘বি’ তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া এবং ভারতকে নিয়ে। ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, হংকং এবং প্যালেস্তাইনকে তৈরি হয়েছে গ্রুপ ‘সি’। গ্রুপ ‘ডি’ তৈরি হয়েছে জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক এবং ভিয়েতনামকে নিয়ে। দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডন এবং বাহারিনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রুপ ‘ই’। গ্রুপ ‘এফ’ তৈরি হয়েছে সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, কিরঘিস্তান এবং ওমানকে নিয়ে।

এবারের এফসি এশিয়ান কাপে যে ২৪ টি দল আছে, সেগুলির মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের নিরিখে সবথেকে পিছিয়ে আছে হংকং (১৫০)। তার আগে আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৪৬), মালয়েশিয়া (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১৩০), থাইল্যান্ড (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১১৩) এবং তাজিকিস্তান (ফিফা র‌্যাঙ্কিং ১০৬)। অর্থাৎ ফিফা ক্রমপর্যায়ের নিরিখে এশিয়ায় ১৮ তম স্থানে আছে ভারত।

এমনিতে এএফসি এশিয়ান কাপের ট্রফি কয়েকটি দেশের কাছেই আছে। এএফসি এশিয়ান কাপের ইতিহাসে সবথেকে সফল দল হল জাপান। ২০১৯ সালেও এএফসি এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জাপান। সবমিলিয়ে চারবার জিতেছে এএফসি এশিয়ান কাপ। আর এএফসি কাপে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স এসেছিল ১৯৬৪ সালে। সেই বছর ‘রানার্স-আপ’ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
২০২৪ সালে এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের পঞ্চম 'অ্যাপিরায়েন্স'। এর আগে ১৯৬৪ সাল, ১৯৮৪ সাল, ২০১১ সাল এবং ২০১৯ সালে খেলেছিল 'ব্লু টাইগার্স'-রা। ১৯৬৪ সালে রানার্স-আপ হয়েছিল। সেটাই এশিয়ান ভারতের সেরা ফল। তবে এবার মাঠে নামার আগেই নজির গড়ে ফেলেছে ভারত। কারণ এই প্রথমবার এশিয়া কাপের পরপর দুটি সংস্করণে খেলছে ভারতীয় দল। এএফসি কাপের জন্য ভারতের দলে ২৫ জন খেলোয়াড় আছেন।

এএফসি এশিয়ান কাপের জন্য ভারতের দল: গোলরক্ষক-গুরুপ্রীত সিং সান্ধু, অমরিন্দর সিং, বিশাল কাইথ। ডিফেন্ডার- আকাশ মিশ্র, লালচুংনুঙ্গা, মেহতাব সিং, নিখিল পূজারি, প্রীতম কোটাল, রাহুল বেকে, শুভাশিস বোস, সন্দেশ ঝিঙ্গান। মিডফিল্ডার- অনিরুদ্ধ থাপা, ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ, দীপক টাংরি, লালতে, লিস্টন কোলাসো, নাওরেম মহেশ সিং, সাহাল আবদুল সামাদ, সুরেশ সিং, উদান্ত সিং, স্ট্রাইকার- সুনীল ছেত্রী, রাহুল কেপি, ইশান পণ্ডিতা, মনবীর সিং, ছাংতে, বিক্রম প্রতাপ সিং।

২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের ভারতের জায়গা হয় গ্রুপ ‘বি’-তে। যে গ্রুপে ভারতের সঙ্গে আছে অস্ট্রেলিয়া, সিরিয়া এবং উজবেকিস্তান। ফিফা র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া আছে ২৫ নম্বর স্থানে। উজবেকিস্তান ৬৮ নম্বরে আছে। সিরিয়া আছে ৯১ নম্বর স্থানে। সেখানে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারত ১০২ নম্বর স্থানে আছে। অস্ট্রেলিয়া তো আবার ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপেও খেলেছিল। নক-আউট পর্বে উঠেছিল। তবে ‘রাউন্ড অফ ১৬’-এ আর্জেন্তিনার ২-১ গোলে হেরে গিয়েছিল। গ্রুপ ‘বি’-কে এবারের এশিয়ান কাপের ‘সবথেকে কঠিন’ গ্রুপের তকমা দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে টুর্নামেন্টের আগে ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বলেন, 'আমাদের দল এই মুহূর্তে খুব ভালো জায়গায় এবং অবস্থায় রয়েছে। যদি আমরা কোনও বড়সড় ভুল না করি, তাহলে এই বছর আমরা পাকাপাকিভাবে প্রথম তিনের মধ্যে শেষ করব।

FAQ's

এএফসি এশিয়ান কাপের ইতিহাসে সবথেকে সফল কে?

এএফসি এশিয়ান কাপের ইতিহাসে সবথেকে সফল দল হল জাপান। মোট চারবার জিতেছে।

যে মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছিল, সেই মাঠই এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজনের দায়িত্বে। কোন মাঠ?

লুসেল স্টেডিয়াম ২০২৪ সালের এএফসি এশিয়ান কাপ আয়োজনের দায়িত্বে।

এবার এএফসি এশিয়ান কাপ শুরুর আগেই একটি নজির গড়ে ফেলে ভারত। সেটা কী?

এই প্রথমবার এশিয়া কাপের পরপর দুটি সংস্করণে খেলছে ভারতীয় দল।

এএফসি এশিয়ান কাপে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স কবে এসেছিল?

এএফসি কাপে ভারতের সেরা পারফরম্যান্স এসেছিল ১৯৬৪ সালে। সেই বছর ‘রানার্স-আপ’ হয়েছিল।