হুগো বোমাসের ‘বোমায়’ উড়ে গেল মাজিয়া স্পোর্টস। এক গোলে পিছিয়ে পড়েও মালদ্বীপের ক্লাবকে হারিয়ে এএফসি কাপের নক-আউটের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল এটিকে-মোহনবাগান। সবুজ-মেরুনের হয়ে গোল করেন লিস্টন কোলাসো, রয় কৃ্ষ্ণা এবং মনবীর সিং।
সেই জয়ের ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে গ্রুপ ‘ডি’-র শীর্ষে আছে এটিকে মোহনবাগান। দু'ম্যাচে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ঝুলিতে এসেছে ছ'পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে আছে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। যে দলের বিরুদ্ধে আগামী মঙ্গলবার (২৪ অগস্ট) এটিকে-মোহনবাগান।আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে শেষ ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট এএফসি কাপের ইন্টার-জোন সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে অন্তোনিও লোপেজ হাবাস ব্রিগেড।
শনিবার মালদ্বীপে ছকে দল ৪-৩-৩ ছকে দল সাজান হাবাস। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে জয়ী দলের প্রথম একাদশে একটাই পরিবর্তন করেন। বোমাসের পরিবর্তে নামান কোলাসোকে। শুরু থেকেই ম্যাচে দখল নিতে থাকেন মোহনবাগান। পাঁচ মিনিটে অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় রয় কৃষ্ণার গোল। তারইমধ্যে আক্রমণ শানাতে থাকে বাগান। তারইমধ্যে ২৬ মিনিটে মাজিয়াকে এগিয়ে দেন ইব্রাহিম এইসাম। সেইসময় মোহনবাগানকে রীতিমতো চেপে ধরেছিল মাজিয়া। নড়বড় করছিল বাগান রক্ষণ। পরে কিছুটা স্থিতিশীল হলেও সমতা ফেরাতে পারেননি কৃষ্ণারা। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই সাজঘরে ফেরেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই পালটে যায় মোহনবাগানের ছবি। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর দু'মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরান কোলাসো। ডান দিকে মনবীরের তোলা ক্রস থেকে গোল করেন তিনি। পরে মাজিয়া চাপ বাড়াতে থাকে। রীতিমতো বেকায়দায় পড়ে যায় সবুজ-মেরুন মাঝমাঠ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জোড়া পরিবর্তন করেন হাবাস। ৬৩ মিনিটে দীপক টাংরির পরিবর্তে শেখ সাহিলকে নামান হাবাস। বোমাসকে নামেন ডেভিড উইলিয়ামসের পরিবর্তে। মাঠে নেমেই দুর্দান্ত পাস বাড়ান বোমাস। প্রাথমিকভাবে কোলাসোর শট বাঁচিয়ে দেন মাজিয়ার গোলকিপার। ফিরতি বলে গোল করেন কৃষ্ণা। ৬৫ মিনিটেই অবশ্য প্রায় গোল খেয়ে যাচ্ছিন বাগান। বাঁচিয়ে দেন পোস্ট। মিনিটে ১২ পরে বোমাসের থ্রু থেকে গোল করেন বোমাসের থ্রু থেকে মনবীর সিং। তাতেই মাজিয়ার কফিনে শেষ পেরেক পড়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।