আইএসএল ২০২৪-২৫র সব থেকে আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রেফারি। অন্যান্যবার রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ফুটবলাররাই। কখনও সুনীল ছেত্রী বা কখনও রয় কৃষ্ণারা প্রতিযোগিতার শিরোনামে থাকতেন। কিন্তু এই মরসুমের আইএসএলে প্রায় প্রতি ম্যাচেই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে নিম্নমানের রেফারিং।
আরও পড়ুন- BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
আইএসএলকে এআইএফএফ বলত এফএসডিএলের প্রোডাক্ট। অর্থাৎ দেশের এক নম্বর লিগ হিসেবে আইএসএলকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় তা এআইএফএফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে কোনও ভুল বা ত্রুটির প্রশ্ন উঠলেই তাঁরা দায় ঠেলে দিচ্ছেন এফএসডিএলের ঘাড়ে। রেফারিং নিয়ে এবার একপ্রকার বাধ্য হয়েই তুমুল সমালোচনার মুখে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হচ্ছেন এআইএফএফের চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কেটল।
রেফারিং নিয়ে অখুশি একাধিক দল-
ডার্বি ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের আঙুল ছিল রেফারির দিকে। ম্যাচে একাধিকবারই দেখা গেছে রেফারি বেঙ্কটেশ এড়িয়ে গেছেন হ্যান্ডবলের সিদ্ধান্ত। ইস্টবেঙ্গল দাবি করেছে তাঁরা ন্যয্য পেনাল্টি পায়নি। এই প্রথম নয়, রেফারিং নিয়ে এবারের প্রতিযোগিতার শুরুর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইস্টবেঙ্গল কোচ। বাদ যাননি মহমেডান কর্তারাও, তাঁরাও রেফারির বিরুদ্ধ সুর চড়িয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-SA20র ম্যাচে দুরন্ত ক্যাচ ব্রেভিসের! সাজঘরে ফিরলেন ডুপ্লেসিস! তবু জিতল জোবার্গই
ফেডারেশনকে চিঠি পঞ্জাব এফসির-
শোনা যাচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল এখনও রেফারিং নিয়ে এআইএফএফকে চিঠি দেওয়ার বিষয় দোটানায় থাকলেও কাজটা করে দিয়েছে পঞ্জাব এফসি। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধ ম্যাচে রেফারির ভুলের কথা উল্লেখ করে তাঁরা চিঠি দিয়েছে ফেডারেশনকে। এছাড়াও তাঁরা দ্রুত এই লিগে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভার প্রযুক্তি চালুর পক্ষে সওয়াল করেছেন। শোনা যাচ্ছে, তাঁরা নাকি হুমকির সুরে বলেছেন, নাহলে দল তুলে নেওয়া নিয়েও ভাবতে হবে তাঁদের লাগাতার আর্থিক ক্ষতির মধ্যে পড়ে। সেই ম্যাচে তাঁদের কোচকে লালকার্ডও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-২০২২ সালের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন! রেগে সাংবাদিক সম্মেলন ছেড়েই বেরিয়ে গেলেন জকোভিচ
আগেও রেফারির জন্য চাপে পড়েছে পঞ্জাব এফসি-
পঞ্জাব এফসির লুকা মাজসেনের বিরুদ্ধে কয়েক মাস আগে বাজেভাবে ফাউল করেও রেহাই পেয়ে গেছিলেন রাহুল কেপি। তেমনই নর্থইস্ট ম্যাচে অফসাইডে দাঁড়িয়ে থেকে গোল করে গেছে আলাদিন, এই অভিযোগ তাঁদের। এই অবস্থায় ফেডারেশন বলছে, রেফারিংয়ের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নিতে হবে এফএসডিএলকেই, কারণ তাঁরাই প্রতিযোগিতা চালায়। এদিকে চিফ রেফারিং অফিসার ট্রেভর কটেলের বেতনের অর্ধেক দেয় এফএসডিএল, বাকি অর্ধেক দেয় এআইএফএফ। সোমবার তিনিই বা কি বলেন সাংবাদিক সম্মেলনে, সেদিকে নজর থাকছে সকলেরই।
রেফারিং নিয়ে হাত বাঁধা ফেডারেশনের-
এর আগে রেফারির সিদ্ধান্ত রিভিউ করার পর সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে আইএসএলে। রেফারি ম্যাচে এক ফুটবলারকে লালকার্ড দিলেও পরে তাঁর দল আবেদন করায় তা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। কিন্তু খেলার ক্ষেত্রে ম্যাচে অ্যাসেসররা যদি রেফারির ভুলের কথা রিপোর্টে ইঙ্গিত না করেন, তাহলে রেফারির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বা কোনও হস্তক্ষেপই করা যায় না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।