শেষ পাঁচ বারের সাক্ষাৎকারে চার বারই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় পেয়েছিল আর্জেন্তিন। অবশ্য বিশ্বকাপে শেষ বার দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১০। সেই ম্যাচের ফলও আর্জেন্তিনার পক্ষে ফল ছিল ৩-১। তবে এ বার মেক্সিকোর বিরুদ্ধে নামার আগে লিওনেল মেসিদের চাপটা ছিল অনেক বেশি। সৌদি আরবের কাছে হারের পর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জয় ছাড়া টিকে থাকার কোনও রাস্তা ছিল না মেসিদের। কারণ সি গ্রুপের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সৌদি আরব হেরে যাওয়ায়, মেসিদের চাপটা দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছিল। তবে সেই চাপ সামলে দুরন্ত ছন্দে প্রত্যাবর্তন করে মেসির আর্জেন্তিনা।
জয়ে ফিরে অক্সিজেন পেল আর্জেন্তিনা
সৌদি আরবের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে কাতার বিশ্বকাপে অবশেষে জয়ে ফিরল আর্জেন্তিনা। শনিবার গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ ব্যবধানে হারাল তারা। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল লিয়োনেল মেসি এবং এনজো ফার্নান্ডেজের। দু’টি গোলই চোখ-ধাঁধানো
গোওওওওওললললল এনজো ফার্নান্ডেজ ২-০ এগিয়ে দিল আর্জেন্তিনাকে
৮৭ মিনিট: বেনফিকার তরুণ এনজো ফার্নান্ডেজ দূরপাল্লার একটি শট নেন। সেকেন্ড পোস্টে বল রাখেন তিনি। ওচোয়ার কিছু করার ছিল না। ২-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।
আর্জেন্তিনা আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে
খেলা ৮০ মিনিট হয়ে গিয়েছে। আর্জেন্তিনা কিন্তু আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে। যদিও পজিটিভ কিছু দেখা যায়নি। তবে মেসিরা ১ গোল পেয়ে যাওয়ার পর তাঁদের আত্মবিশ্বাসী লাগছে। ব্যবধান তারা বাড়াতে পারবে?
গোওওওওললললল- মেসির দুরন্ত গোল, ১-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্তিনা
অনবদ্য গোল মেসির…. পুরনো ঝলক পিএসজি তারকার। ওয়ান টাচে গোল। কী দুরন্ত জোরালো শট!মেসিকে অরক্ষিত ছাড়া হয়। সেই সুযোগটাই তিনি কাজে লাগান। আর্জেন্তিনার অধিনায়ক বক্সের বাইরে থেকে নীচু শটে জালে বল জড়ান। এটি নিখুঁত প্লেসিং। ওচোয়ার কিছুই করার ছিল না। বিশ্বকাপে গোলের বিচারে মারাদোনাকে ছুঁয়ে ফেললেন মেসি।
আর্জেন্তিনার পরিবর্তন
৫৭ মিনিট: রডরিগেজের পরিবর্তে এনজো ফার্নান্দেজকে নামানো হল।
আর্জেন্তিনার ফ্রি-কিক!
৪৯ মিনিট: ম্যাক অ্যালিস্টার এবং মেসি দুর্দান্ত ওয়ান-টু খেলেন। তাকে ফাউল করেন গুতেরেজ। ভালো জায়গা-ফ্রি কিক পায় আর্জেন্তিনা। কিন্তু হতাশাজনক শট মেসির। আশাহত করলেন তারকা ফুটবলার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু
বিরতির পর কি জ্বলে উঠবেন মেসি? গোল পাবে আর্জেন্তিনা? নাকি মেসিদের ভাগ্যে লেখা রয়েছে অন্ধকার?
বিরতিতে খেলার ফল গোলশূন্য
প্রথমার্ধে মেসিরা একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি। বরং মেক্সিকো অনেক বেশি চনমনে লেগেছে। বিরতিতে খেলার ফল গোলশূন্য।
দুরন্ত সেভ আর্জেন্তিনার কিপারের
৪৪ মিনিট: মন্টিয়েল ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। বিপদ ঘটে যেতে পারে, এমন জায়গায় ফ্রি-কিক পায় মেক্সিকো। ডি'ভেগা ডান-দিকের প্রান্তে একটি শট নেন। তহে মার্টিনেজ ডানদিকে ডাইভ দিয়ে সেটি ধরে ফেলেন। স্বস্তি পায় অর্জেন্তিনা।
মেক্সিকোর পরিবর্তন
৪২ মিনিট: চোট পাওয়ায় অভিজ্ঞ গুয়ার্দাদোকে তুলে নেওয়া হল। যিনি ২০০৬ সাল থেকে মেক্সিকোর হয়ে প্রতিটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। পরিবর্তে নামলেন এরিক গুতেরেজ।
৩৬ মিনিট হয়ে গেলেও খেলার ফল গোলশূন্য
বিপজ্জনক ভাবে ফ্রি কিক সুইং করে ওচোয়াকে চমকে দেন মেসি। এটি মেক্সিকান কিপারের গ্লাভসে লেখে বাতাসে লুপ করে এবং তার পরে কোনও ক্রমে ক্লিয়ার করা হয় বলটি।
খেলার রাশ হাতে নেওয়ার চেষ্টা আর্জেন্তিনার
৩২ মিনিট: মেক্সিকান আক্রমণের ঢেউ কিছুটা থমকে গিয়েছে। এ দিকে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে আর্জেন্তিনা। ডি'মারিয়ার সৌজন্য একটি কর্নার পায় আর্জেন্তিনা। মেসি কর্নার নেন। তবে ডানদিকে ফাউল করে ডি'পল। এ বার ফ্রি কিক পায় আর্জেন্তিনা। তবে মেসি শট নিলেও কার্যকরী কিছু হয়নি।
লড়াই চালাচ্ছে মেক্সিকো
মেসি, লউতারো মার্টিনেজ, ডি'মারিয়াদের খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। বরং লড়াই চালাচ্ছে মেক্সিকো। ২০ মিনিট হয়ে গেল, আর্জেন্তিনাকে সে ভাবে কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
মেক্সিকোর জন্য সুযোগ
৯ মিনিট: বাঁ-দিক থেকে মেক্সিকোর শ্যাভেজ একটি বিষাক্ত ফ্রি-কিক নেন। মেক্সিকান খেলোয়াড় এই বলে পা ছোঁয়ালেই, গোলে পরিণত হতে পারত। কিন্তু সুযোগ নষ্ট হয় মেক্সিকোর।
লালকার্ড হবে?
৫ মিনিট: অ্যালেক্সিস ভেগা বাজে ভাবে ট্যাকেল করেন আর্জেন্তিনার ফরোয়ার্ড মন্টিয়েলকে। পরে তাঁর মুখ চেপে ধরে। আর্জেন্তিনা রেফারির কাছে প্রতিবাদ জানান। ভারের সাহায্যে দেখা যায়, রক্তাক্ত মন্টিয়েলের মুখে ভেগা অনিচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করেছে। তাই তাঁকে লালকার্ড দেখানো হয়নি।
খেলা শুরু
লুসাইল স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ শুরু। এই ম্যাচ না জিতলে স্বপ্নভঙ্গ হবে মেসির। সঙ্গে আর্জেন্তিনার।
মেক্সিকোর প্রথম একাদশ
মেক্সিকো দলে তিনটি পরিবর্তন করেছে।মেক্সিকো টিম: ওচোয়া, কে আলভারেজ, আরাউজো, মন্টেস, মোরেনো, গ্যালার্দো, হেরেরা, শ্যাভেজ, গুয়ার্দাদো; লোজানো, ভেগা।
আর্জেন্তিনার প্রথম একাদশ
আর্জেন্তিনার টিমে পাঁচটি পরিবর্তন করা হয়েছে।আর্জেন্তিনা টিম- এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, মন্টিয়েল, ওটামেন্ডি, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, আকুনা, ডি'মারিয়া, ডি'পল, রডরিগেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার, মেসি, লউতারো মার্টিনেজ।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে আর্জেন্তিনা
এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে তিন বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। যেখানে শতভাগ জয় আর্জেন্তিনার। ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। সেখানে মেক্সিকোকে ৬-৩ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্তিনা। এর পর অবশ্য এই দুই দলের বিশ্বকাপে দেখা হতে, পেরিয়ে গেছে ৭৬ বছর। ২০০৬ সালে প্রি-কোয়ার্টারে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেই বারও জিতেছিল মেসির দেশ। এর পর ২০১০ সালে আবারও প্রি-কোয়ার্টারে মেক্সিকোর মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্তিনা। সে বারও তারা জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।মেক্সিকোর সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩০টি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্তিনা। এর মধ্যে ১৫টি ম্যাচ জিতেছে তারা। ৪টি ম্যাচ জিতেছে মেক্সিকো এবং বাকি ১১ ম্যাচ ড্র হয়েছে।
ওচোয়া গাঁট মেসিদের
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে জিততে গেলে মেসিদের পার হতে করতে হবে ওচোয়া প্রাচীরকে। বিশ্বমঞ্চে যিনি বারবার জ্বলে ওঠেন। তাঁর রিফ্লেক্স এখনও প্রশংসনীয়। পড়শি এই দেশের বিরুদ্ধে নামার আগে ক্লোজড ডোর অনুশীলন করে আর্জেন্তিনা। সৌদি আরবকে হাল্কা ভাবে নেওয়ার ফল হাতেনাতে পাচ্ছে আর্জেন্তিনা। যে কারণে মেক্সিকোকে বাড়তি সমীহ করছেন মেসিরা। ক্লোজড ডোর অনুশীলন এরই বড় উদাহরণ।
আর্জেন্তিনার বেহাল দশা
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খেয়েছে আর্জেন্তিনা। সৌদি আরবের কাছে এগিয়ে থেকেও হারতে হয়েছে। প্রথমার্ধে ১ গোল দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল খেলে যায় মেসিরা। ফলে ২-১ গোলে পরাস্ত হতে হয়। এই ম্যাচে হারের ফলে বিশ্বকাপের নক আউটের যাত্রা কঠিন হয়ে গিয়েছে মেসিদের। ফলে আর এক ম্যাচ হারলেই শেষ হয়ে যাবে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।