এ বারের বিশ্বকাপের নকআউট যেন গোলকিপারদেরই হয়ে উঠেছে। তাঁরাই সব ম্যাচে হিরো হয়ে যাচ্ছে। নকআউটের পরপর দুই ম্যাচে জাপানের পর ব্রাজিলকে রুখে যেমন ক্রোয়েশিয়ার আসল নায়ক এখন লিভাকোভিচ। তেমনই কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মেসির মঞ্চে নায়ক হয়ে গেলেন আর্জেন্তিনার গোলকিপার মার্টিনেজ। তাঁর দস্তানাতেই আটকে গেল নেদারল্যান্ডস। টাইব্রেকারে ডাচেদের প্রথম দু’টি শট বাঁচিয়ে দিয়ে নায়ক হন তিনি। মেসিদের সেমিফাইনালের পথ তো তিনিই শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার করে দিলেন।
টাইব্রেকার- গোওওওললল… লাউতারোর গোল, জিতে গেল আর্জেন্তিনা
এ বারের বিশ্বকাপে বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। গোল করতে পারেননি। টাইব্রেকারে শেষ শট নিতে এলেন। গোল করতে পারলেই জয়। এ বারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দামি গোল করলেন লাওতারো। টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনা।
টাইব্রেকার- গোওওওসসস.. ৩-৩ করল নেদারল্যান্ডস
লুক ডি জং-এর গোল। ৩-৩ করল নেদারল্যান্ডস।
টাইব্রেকার- এনজো মিস করলেন
আর্জেন্তিনার এনজো মিস করলেন। অক্সিজেন পেল নেদারল্যান্ডস।
টাইব্রেকার- গোওওওললল.. নেদারল্যান্ডস ২-৩ করল
ওয়েহস্টের গোল। নেদারল্যান্ডস ২-৩ করল।
টাইব্রেকার- গোওওওললল ৩-১ আর্জেন্তিনার
মন্টিয়ালের গোলে ৩-১ আর্জেন্তিনার।
টাইব্রেকার- প্রথম গোল ডাচেদের
কুপমেনিসের গোল। টাইব্রেকারে ১-২ করল নেদারল্যান্ডস।
টাইব্রেকার- পারেদেসের গোল
২-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।
টাইব্রেকার- দ্বিতীয় পেনাল্টি বাঁচালেন মার্টিনেজ
বর্গহউসের পেনাল্টি সেভ করলেন আর্জেন্তিনার কিপার।
টাইব্রেকার- মেসির গোল
আর্জেন্তিনার হয়ে প্রথম শট নেন মেসি। গোওওওললললল।
টাইব্রেকার- ডাচেদের প্রথম শট রুখে দিলেন মার্টিনেজ
ভ্যান ডাইক প্রথম পেনাল্টি নিতে এসেছিলেন। ডাচ তারকার শট বাঁচালেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
সেমিতে আর্জেন্তিনা
টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে উঠল আর্জেন্তিনা। আর্জেন্তিনার কিপার মার্টিনেজ এ দিনের ম্যাচের নায়ক। নেদারল্যান্ডসের প্রথম ২টি শট বাঁচিয়ে দেন মার্টিনেজ আর তাতেই বাজিমাত করে আর্জেন্তিনা।
টাইব্রেকারে গড়াল ম্যাচ
অতিরিক্ত সময়ে কোনও টিম গোল করতে পারেননি। খেলা গড়াল টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে গড়াবে?
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলায় কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু হয়েছে। হবে কি এই ১৫ মিনিটে গোল? নাকি টাইব্রেকারে গড়াবে ম্যাচ?
অতিরিক্ত সময়ের খেলার শুরু
আর্জেন্তিনার জেতা ম্যাচ ছিল একটি ফ্রি-কিকের জন্য বদলে গেল ম্যাচের রং। যাইহোক অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শুরু। এই অতিরিক্ত সময়ে কি গোল হবে? নাকি টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়াবে?
অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়াল
নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ হয় ২-২ ফলে। স্বাভাবিক ভাবেই অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ায়।
গোওওওওললললল… সমতা ফেরাল নেদারল্যান্ডস
পেজেলা একটি আনাড়ি চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডি-বক্সের ঠিক সামনেই ফাউল করে বসেন। যার জেরে বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় নেদারল্যান্ডস। খেলার একেবারে শেষ মুহূর্তে এই ফ্রি-কিকই বদলে দিল ম্যাচের রং।স্টেডিয়ামের পুরো কমলা ব্রিগেড গোলের প্রত্যাশা করেছিল। বার্গুইসের ছোট ফ্রিকিক উইঘর্স্টের কাছে যায়। যিনি ম্যাচ শেষ হওয়ার ১০ সেকেন্ডে আগে গোল করে সমতা ফেরান।
দশ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট সময়ের ম্যাচ শেষ। তবে দশ মিনিট এখনও হাতে আছে। ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে। পারবে নেদারল্যান্ডস সমতা ফেরাতে? রয়েছে টানটান উত্তেজনা।
পারেদেস একটি হলুদ কার্ড দেখেন
৯০ মিনিট- পারেদেসকে একটি হলুদ কার্ড দেখানো হয়। দু'টি নয়।
মাঠে উত্তেজনা
৮৯ মিনিট- পারেদেস ফাউল করেন আকে-কে এবং তার পর সরাসরি নেদারল্যান্ডসের রিজার্ভ বেঞ্চের দিকে বল পাঠিয়ে দেন। ক্ষেপে যান ডাচ ফুটবলাররা। সাময়কি উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।তবে পারেদেসের সত্যিই দু'টি হলুদ কার্ড পাওয়া উচিত- একটি ফাউলের জন্য এবং একটি ডাচ বেঞ্চে বল পাঠানোর জন্য।
গোওওওওললললল… ব্যবধান কমাল নেদারল্যান্ডস
৮৩ মিনিট- একেবারে দুর্দান্ত হেডারে আর্জেন্তিনার লিড কমালেন উইঘর্স্ট। ১-২ করে ফেলল নেদারল্যান্ডস। আর একটি গোল করতে পারলেই সমতা ফিরবে? কী অপেক্ষা করছে?
গোওওওওলললললল… পেনাল্টি থেকে মেসির গোল
৭৩ মিনিট- পেনাল্টি গোল করতে কোনও ভুল করেননি মেসি। ২-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।
পেনাল্টি পেল আর্জেন্তিনা
৭১ মিনিট- আকুনাকে বক্সের ভিতর পা দিয়ে ফেলে দেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। কোনও দরকারই ছিল না এই ভাবে ফাউল করার। পেনাল্টি পায় আর্জেন্তিনা
অল্পের জন্য শট মিস মেসির
৬৩ মিনিট- ভ্যান ডিক মেসিকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার পর আর্জেন্তিনা ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায়। মেসি ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত শট মারে। একটুর জন্য বলটি বাইরে বেরিয়ে যায়। আর এক চুল ভিতরে থাকলেই নিশ্চিত গোল ছিল। কিন্তু বলটি ডানদিকের বারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায়।
মেসির দ্বিতায়ার্ধে আরও বেশি অ্যাক্টিভ
৫০ মিনিট- প্রথমার্ধের থেকে মেসিরে অনেক বেশি অ্যাক্টিভ লাগছে। মেসির থেকে একটি ভালো বল পেয়ে ওভারহিট করেন ডি'পল। খেলার ফল এখন আর্জেন্তিনার পক্ষে ১-০।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে আর্জেন্তিনা ১-০ এগিয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে নেদারল্যান্ডস পারবে সমতা ফেরাতে? নাকি ব্যবধান বাড়াতে পারবে আর্জেন্তিনা?
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে আর্জেন্তিনা
আর্জেন্তিনা প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে রয়েছে। গোলটির পিছনে বড় ভূমিকা মেসির। তিনি কার্যত মোলিনারে প্লেটে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন। আর মোলিনা টুক করে জালে জড়িয়েছেন। যাই হোক দ্বিতীয়ার্ধে যদি আরও গোল না করতে পারে আর্জেন্তিনা, তবে চাপ হবে। বিরতির পর কিন্তু মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে নেদারল্যান্ডস।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। ৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এখনও ১-০ এগিয়ে আর্জেন্তিনা।
মেসির শট
৪০ মিনিট- আলভারেজ ধারালো পাস মেসিকে দেন। মেসি বক্সের ঠিক ভিতরে বাঁ-দিকে বলটি নেন। তবে তিন জন ডাচ প্লেয়ার তাঁকে ঘিরে রেখেছিল। তবে মেসি কিন্তু তার পরেও টার্ন নিয়ে একটি নিচু ডান-পায়ের শটের জন্য জায়গা তৈরি করে নেন। যদিও শর্টটি নোপার্ট ধরে ফেলে।
গোওওওওলললললল… ১-০ এগিয়ে আর্জেন্তিনা
৩৫ মিনিট- মেসি ম্যাজিক! কী দুরন্ত বল তৈরি করা, কী দুরন্ত পাস! লিওনেল মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে গোলে রাখতে ভুল করেননি মোলিনা। মেসি দুরন্ত ভাবে বল ট্যাকেল করে ডাচ ডিফেন্সকে টুকরো টুকরো করে দিয়ে বাঁ-দিক বল নিয়ে ঢোকেন। তার পর মোলিনার জন্য একেবারে প্লেটে বল সাজিয়ে দেন। মোলিনা নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন মাপা শটে। ১-০ এগিয়ে গেল আর্জেন্তিনা।
মেসির শট
২১ মিনিট- মেসির শটটি বারের উপর দিয়ে বলে বের হয়ে যায়! দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরে পএকটি শট নিয়েছিলেন মেসি। যাই হোক কার্যকরী কিছু ঘটেনি। খুব ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ চলছে। ২০ মিনিট রোমাঞ্চকর কিছু ঘটেনি।
দুই দলই সাবধানী শুরু করেছে
১০ মিনিট- দুই দল যে দারুণ কিছু করে ফেলেছে ১০ মিনিটে, তেমনটা নয়। তবে আর্জেন্তিনা তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি আক্রমণে উঠছে। যে কারণে তাদের গোল করার সম্ভাবনা বেশি দেখাচ্ছে।
খেলা শুরু
বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্তিনা- নেদারল্যান্ডস। ভাই নেইমার না পারলেও, দাদা মেসি কি পারবেন আর্জেন্তিনাকে সেমিতে তুলতে। নাকি বাজিমাত করবে কমলা ব্রিগেড!
পরিসংখ্যানে এগিয়ে নেদারল্যান্ডস
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে আর্জেন্তিনা। মোট পাঁচটি ফিফা বিশ্বকাপ ম্যাচে আর্জেন্তিনা এবং নেদারল্যান্ডস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। এই পাঁচটি খেলার মধ্যে আর্জেন্তিনা মাত্র এক বারই জিতেছে।নেদারল্যান্ড দু'টি ম্যাচ জিতেছে। দু'টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সব মিলিয়ে এই দুই দল একে অপরের বিপক্ষে ন'টি ম্যাচ খেলেছে। আর্জেন্তিনা তিনটি এবং ডাচরা চারটিতে জিতেছে এবং দু'টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
মেসিকে আটকানোর ভাবনা ক্রোট শিবিরে
হল্যান্ড শিবিরে ঘুরেফিরে আসছে একটাই নাম–মেসি। একই সঙ্গে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনার কাছে টাইব্রেকারে হারের দুঃস্বপ্নটাও ঘুরে ফিরে আসছে আলোচনায়। কী ভাবে মেসিকে আটকানো যায়, তা নিয়েই চলছে বিস্তর গবেষণা। হল্যান্ড কোচ ভ্যান গালের মাথায় মেসিকে রোখার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটা কী তিনি ভাঙেননি। ভ্যান গালের দাবি, ‘মেসিকে খেলতে দিলে বিপদ। ও গোলের গন্ধ পায়। তবে মেসি বল পায়ে না পেলে নিজে থেকে বেশি খেলার চেষ্টা করে না। তাই সাপ্লাই লাইনটা আগে বন্ধ করা দরকার। একই সঙ্গে শুধু মেসি–মেসি না ভেবে, নিজেদের খেলায় ফোকাস করা জরুরি। হল্যান্ডের মাঝমাঠ ও আক্রমণ ভাগ কোনও অংশে খারাপ নয়। হল্যান্ডের মধ্যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা আছে। তাই সেই মেজাজেই খেলা উচিত, সেমিফাইনালে যেতে।’
ভ্যান গালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্কালোনি
মেসি ও আর্জেন্তিনা শিবিরের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস এবং খোলামেলা মেজাজটাই হল্যান্ড ম্যাচের আগে বড় ভরসা জোগাচ্ছে আর্জেন্তিনা কোচ স্কালোনিকে। বয়সে তাঁর থেকে অনেক প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ হল্যান্ডের কোচ ৭১ বছরের ভ্যান গালের মুখোমুখি হওয়ার আগে তাই চাপে নেই স্কালোনি। তবে ভ্যান গালকে তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বললেন, ‘বিশ্বকাপের মঞ্চে এমন একজন কোচের মুখোমুখি হওয়াটা ভাগ্যের। এর আগে ক্লাব পর্যায়ে ভ্যান গালের সামনাসামনি হলেও, এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মঞ্চ। হল্যান্ডের খেলার একটা প্যাটার্ন আছে। শুধু আক্রমণ করলেই হবে না, প্রতিপক্ষের আক্রমণের ধার বুঝে ডিফেন্সটাও সমান জমাট রাখা দরকার। ম্যাচটা ৯০ মিনিটেই জিততে চাই। তবে অতিরিক্ত সময় বা টাইব্রেকারে গড়ালে, তার জন্য ফুটবলারদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে বলেছি।’
ফুরফুরে মেজাজে মেসিরা
রাশিয়া বিশ্বকাপে শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ সমস্যার জেরে মেসি–সহ আর্জেন্তিনা শিবিরের ফোকাসটাই নড়ে গিয়েছিল। তাতেই প্রি–কোয়ার্টারের বাধা টপকানো সম্ভব হয়নি মেসিদের। হেরেছিল ফ্রান্সের কাছে। এ বার কিন্তু সেই সমস্যা উধাও। বরং কাতারে পা দেওয়ার আগে থেকেই আর্জেন্তিনা শিবিরে সংহতির হাওয়া বইছে প্রবল ভাবে। মেসি নিজে ফুটবলারদের এক সুতোয় বাঁধার কাজটা দারুণ ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন টুর্নামেন্টের শুরু থেকে। ইগোর সঙ্ঘাত নেই দলে। তার সুফল মিলছে প্রতি ম্যাচে। তাতেই মেসির সেরা খেলা পাওয়া যাচ্ছে। গোল করছেন, করাচ্ছেন চাপমুক্ত ভাবে। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে সামনে হল্যান্ড। কঠিন প্রতিপক্ষ। তবু এমন একটা ম্যাচের আগে মেসি রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে।