লিগ কাপে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। চেলসি এবং সান্ডারল্যান্ডের খেলা তো পেনাল্টি শুট-আউট পর্যন্ত গড়াল। তবে শেষ হাসি হাসল চেলসি এবং সান্ডারল্যান্ডই। আর্সেনাল অবশ্য লিডসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ২-০ জয় পায়।
সাউদাম্পটন এবং চেলসির খেলা নির্দিষ্ট সময়ে ১-১ শেষ হয়েছিল। টাইব্রেকারে ম্যাচে গড়ালে ৪-৩-এ ম্যাচ জিতে নেন থমাস টুচেলের ছেলেরা। সান্ডারল্যান্ড আবার কিউপিআর-এর বিরুদ্ধে ম্য়াচের নির্দিষ্ট সময়ে গোলই করতে পারেনি। তবে টাইব্রেকারে তারা ৩-১ ম্যাচ জিতে নেয়। স্বাভাবিক ভাবেই লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল আর্সেনাল, চেলসি এবং সান্ডারল্যান্ড।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকে বল দখল এবং আক্রমণে এগিয়ে ছিল চেলসি। গোটা ম্যাচে ৬৩ শতাংশ বল দখলে রেখে প্রতিপক্ষের গোলের উদ্দেশ্যে মোট ২৩টি নেয় শট চেলসি। লক্ষ্যে ছিল অবশ্য ১৪টি শট। গোল হয়েছে ১টি। অন্য দিকে ৩৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ১৫টি শটের মধ্যে ৭টি লক্ষ্যে রাখে সাউদাম্পটন। গোল হয় ১টি। বিরতিতে যাওয়ার মিনিট খানেক আগে কাই হ্যাভার্জেরগোলে এগিয়ে যায় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ৪৭ মিনিট নাগাদ সমতা ফেরান সাউদাম্পটনের চি অ্যাডামস। নির্ধারিত সময়ের খেলা টাইব্রেকারে পৌঁছলে ম্যাচ জেতে চেলসি।
লিগ কাপের অন্য ম্যাচে এমিরেটস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে লড়াই করেছিল লিডস। বলের দখল তাদেরই বেশি ছিল। কিন্তু আর্সেনালের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি তারা। পাল্টা ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচ জিতে নেয় আর্সেনাল। বিরতির আগে খেলার ফল গোলশূন্য ছিল। কিন্তু ম্যাচের ৫৫ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। কর্ণার কিক থেকে গোলটি করেন ক্যালাম চেম্বার্স। ৬৯ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান এডি এনকেটিয়া। গোলশোধ করতে পারেনি লিডস।
সান্ডারল্যান্ড আবার কিউপিআর-এর বিরুদ্ধে গোলের মুখই খুলতে পারেনি। কিউপিআর-এরও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে টাইব্রেকারে ৩-১ ম্যাচ জেতে সান্ডারল্যান্ড।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।