ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ট্রফি গ্রহণ ক্রীড়ামন্ত্রীর! আদৌও সেটা হয়? কী আছে ফিফার প্রথায়?

ইস্টবেঙ্গল ভারতসেরা হওয়ার পরে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে প্রথম ট্রফি তুলে দেন সুব্রত পাল। সুব্রতের সঙ্গে ট্রফি ধরেই ক্রীড়ামন্ত্রী ডেকে নেন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ককে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

জয়ের আনন্দের মধ্যেও বিতর্কের রেশ থেকে গেল। ইস্টবেঙ্গল ভারতসেরা হওয়ার পরে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে প্রথম ট্রফি তুলে দেন সুব্রত পাল। সুব্রতের সঙ্গে ট্রফি ধরেই ক্রীড়ামন্ত্রী ডেকে নেন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ককে। আর সেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কেন ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে প্রথমে ট্রফি দেওয়া হল? (ছবি স্ক্রিনগ্র্যাব)

কেন ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে প্রথমে ট্রফি দেওয়া হল? কেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ট্রফি গ্রহণ করলেন তিনি? তা নিয়ে একটি মহলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু সেটা নিয়ে কি বিতর্কের অবকাশ আছে? ফিফার প্রথা কী? কী বলছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা?

প্রথা অনুযায়ী, ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টগুলিতে সাধারণ বিজয়ী দলের অধিনায়ক বা দলের মনোনীত কোনও সদস্যের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়। মন্ত্রী বা আমলারা অনুষ্ঠানে থাকলেও তাঁরা সাধারণত নিজেদের হাতে ট্রফি গ্রহণ করেন না।

দেখুন সেই ভিডিয়ো-

বিতর্কের শুরু হয়েছিল কখন থেকে? গত শুক্রবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি-কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দল। এরপরেই ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছিলেন ভারত সেরার পুরস্কার তিনি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চন। সেই কারণেই এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তাঁরা।

এই জন্য ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছিল ক্লাব। শুধু উপস্থিতি থাকা নয়, লাল-হলুদের পক্ষ থেকে ক্রীড়ামন্ত্রীর হাতেই ট্রফি গ্রহণ করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ক্লাব কর্তা। সেই সময়ে দেবব্রত সরকার বলেছিলেন, ‘মেয়েরা যাতে ফুটবল খেলে আরও এগিয়ে যেতে পারে, সেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আগ্রহেই আমরা মহিলা ফুটবল দল গড়ার সাহস পেয়েছি। তাই আমরা বিশ্বাস করি, এই সাফল্য ইস্টবেঙ্গলের নয়, বাংলার জয়। বাংলার জয় বলে আমরা চাই, বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে ক্রীড়ামন্ত্রী এই ট্রফি গ্রহণ করুন।’

এরপরে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এই কৃতিত্বকে শুধুমাত্র ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের সাফল্য হিসেবেই দেখতে হবে বলে অনেকে দাবি তুলেছিলেন। সেইসব বিতর্কের মধ্যেই আজ ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জেতে। তারপরই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। কিন্তু ট্রফি দেওয়ার বিষয়টি যেন কিছুটা চোনা ফেলে গেল।