করোনায় ১২ জন ফুটবলার আক্রান্ত হয়ে এশিয়ান কাপ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন ভারতীয় মহিলা দলের কোচ থমাস ডেনারবি। কিন্তু ভারতীয় দলের কোচের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিল এএফসি।
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন থমাস ডেনারবি। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-কে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, এশীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার তৈরি জৈব সুরক্ষা বলয় যথেষ্ট সুরক্ষিত ছিল না। বলয়ে ফাঁক থাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং ভারতীয় দলের মেয়েরাও কোভিড আক্রান্ত হয় এই কারণে। দেনার্বির বক্তব্য, তাঁদের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও কোভিড আক্রান্ত হয়ে পড়া ভারতীয় দলের প্রতি কোনও রকম সহানুভূতি বা সম্মান দেখায়নি এশীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা।
কিন্তু মহিলাদের মহাদেশীয় এই ইভেন্টে কেন ফুটবলাররা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা এএফসি দেয়নি। তার বদলে ভারতীয় কোচের পরামর্শকে খারিজ করার জন্য করোনার মাঝেও কী ভাবে টুর্নামেন্ট পরিচালনা করা হয়েছে, তার উল্লেখ করেছে এএফসি।
এএফসি-র তরফে বলা হয়েছে, ‘করোনার কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও এশিয়ার বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে সফল ভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছে এএফসি। কারণ এই টুর্নামেন্টে দেশের নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা যে নিয়ম বিধি ছিল, তা কড়া ভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল।’
এএফসি-র পাশে দাঁড়িয়ে আগেই এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্যাটেল বলেছিলেন, ‘কোনও সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা উচিত নয়। কোনও বায়োবাবলই বিশ্ব জুড়ে নিরাপদ নয়।’
প্রসঙ্গত, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে যাওয়ার জন্য ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের মেয়েদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।