এএফসি এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের কোয়ালিফায়ারের প্রথম দুই ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ২-০ ও আফগানিস্তানকে ২-১ হারিয়ে বেশ ভাল জায়গায় ছিল ভারতীয় দল। কোয়ালিফিকেশন মোটামুটি নিশ্চিতই ছিল। এবার সরকারিভাবেও তা নিশ্চিত হয়ে গেল।
এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের ছয়টি গ্রুপের প্রথম ছয়টি দল তো কোয়ালিফাই করতই, পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা সেরা পাঁচটি দলও মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পাওয়ার কথা। ভারতের দুই ম্যাচে ছয় পয়েন্ট থাকলেও গোলপার্থক্যে তারা হংকংয়ের বিরুদ্ধে পিছিয়ে নিজেদের গ্রুপ ‘ডি’তে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। আজ হংকংকে হারালেই গ্রুপ শীর্ষে পৌঁছে যেতেন সুনীল ছেত্রীরা। তা না হলে ভারতের অন্তত সেরা পাঁচটি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা দলের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা প্রবল ছিল।
আরও পড়ুন:- হংকং ম্যাচের আগে বিরাট মাথাব্যথায় ভুগছেন স্টিমাচ, কারণ জানলে খুশিই হবেন সমর্থকরা
সেই সম্ভবনা এখন সুনিশ্চিত হয়ে গেল। গ্রুপ ‘বি’র ম্যাচে ফিলিপিন্স প্যালেস্টাইনের কাজে নিজেদের শেষ কোয়ালিফায়ার ম্যাচ হেরে যায়। ফলে ফিলিপিন্স চার পয়েন্টেই আটকে রইল। অপরদিকে, ভারতের দখলে এমনিই ছয় পয়েন্ট রয়েছে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে জিতলে বা ড্র করলে তো কথাই নেই, হারলেও কোনওমতেই তারা ফিলিপিন্সের পরে শেষ করবে না। তাই ভারত যে প্রথম পাঁচটি দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা দলের মধ্যে থাকবে, তা নিশ্চিত হয়ে গেল।
আরও পড়ুন:- এখনও লক্ষ্যে পৌঁছয়নি, Asian Cup-এ মূলপর্বে খেলা প্রায় নিশ্চিত হলেও হংকং ম্যাচ জিততে মরিয়া ছেত্রী
এর ফলেই শেষ ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই সুনীল ছেত্রীরা এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ফেললেন। ২০১৯-র পর আবারও ২০২৩-এ মহাদেশের সেরা দলগুলির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে ব্লু টাইগার্স। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম পরপর দুইটি এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত। তবে এই কোয়ালিফায়াই করার ফলে ভারত হংকং ম্যাচকে হালকাভাবে নেবে এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই। বড়জোর ইগর স্টিমাচ দলের তরুণদের একটু পরখ করে নেওয়ার বাড়তি ছাড় পাবেন এই যা।