কোভিড সমস্যা, চোট-আঘাত কাটিয়ে রবিবার প্রায় ১৭ দিন পরে ম্যাচ খেলতে নামার কথা এটিকে মোহনবাগানের। তবে তার আগে জুয়ান ফেরান্দোকে চিন্তায় রেখেছে সদ্য কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা প্লেয়ারদের ফিটনেস। তাঁর মতে, খেলোয়াড়দের এখন ফিটনেসের পাশাপাশি মানসিক জোর ফিরিয়ে আনাটা বেশ কঠিন কাজ। ওড়িশা এফসি-কে বরাবরের মতোই শক্তিশালী বলে মনে করছেন ফেরান্দো। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, সব মিলিয়েই রবিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচটি বেশ কঠিন হবে।
ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে জুয়ান ফেরান্দো যা বললেন:
ওড়িশা এফসি সম্পর্কে কী মত?
এখন প্রত্যেক দলের কাছেই ম্যাচগুলো কঠিন। দলের সঙ্গে, দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করা এই অবস্থায় বেশ কঠিন। আমাদের কাছে ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখা খুব জরুরি। কারণ, ওড়িশা আগের ম্যাচে নর্থইস্টকে ২-০ হারিয়েছে। ওরা নিঃসন্দেহে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকবে। আমাদের এখন নিজেদের পরিকল্পনায় বেশি জোর দিতে হবে। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
হুগো বৌমাস এই ম্যাচে যখন নেই, তখন রয় কৃষ্ণা-ডেভিড উইলিয়ামস জুটি কি প্রথম একাদশে খেলবে?
দেখছি। একটা পরিকল্পনা আমরা তৈরি করেছি। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সেরা দলই নামাব।
৫ জানুয়ারির পর থেকে আপনার দল আর কোনও ম্যাচ খেলেনি। আপনার দলের ছেলেরা কি ফিট?
সকলেই স্বতঃস্ফূর্ত রয়েছে। কারণ ওরা এখন স্বাভাবিক জীবনে রয়েছে। তবে বেশির ভাগ ক্লাবের মতোই আমাদের ছেলেরাও কিছুটা ক্লান্ত। শারীরিক কারণ তো রয়েছেই, বেশি মানসিক কারণেও। সাধারণত, প্রচুর পরিশ্রম করে খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু যখন তারা মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারে না, তখনো প্রায় একই অবস্থা হয়। এটা বোঝানো কঠিন। তবে এখন ওদের ফিটনেস নিয়ে আলোচনা করার সময় নয়।
টানা তিন ম্যাচ না হওয়ায় ফুটবলারদের মানসিকতার ওপর প্রভাব পড়েছে?
অবশ্যই। ম্যাচের প্রস্তুতি হয়ে যাওয়ার পরে যদি ম্যাচের দিন সকালে জানা যায় ম্যাচটা হচ্ছে না, তা হলে খুবই হতাশ লাগে। আমাদের ক্ষেত্রে এ রকম তিন-তিনবার হয়েছে। তবে এটা একটা কঠিন সময়। এই সময়ে ঝুঁকি নেওয়াটা ঠিক নয়। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য।
যে খেলোয়াড়রা কোভিড থেকে সেরে উঠেছে বা উঠছে, তাদের নিয়ে আপনি কতটা চিন্তিত?
খুবই চিন্তায় আছি। কারণ, কোভিড আক্রমণ করলে মানুষের শরীরের ক্ষতি করে। এতে খেলোয়াড়দের চোটের ঝুঁকি বাড়বে। ওদের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দ্বিতীয় সমস্যাটা অনেকটা মানসিক। কারণ, এতদিন ধরে বদ্ধ ঘরে থাকা, খাওয়া, ঘুমের সময় বদলানো, শরীরে অনেক পরিবর্তন আসা, মেজাজ ভাল না থাকা, এগুলো কাটিয়ে মাঠে ফেরা কঠিন। সে জন্যই আক্রান্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
ওড়িশা এফসি-র শক্তি কোথায় কোথায়?
ওদের ডিফেন্স, সেন্টার ব্যাক এবং জেরি, আরিদাই সুয়ারেজ, জোনাথাস ক্রিশ্চিয়ানের মতো ফরোয়ার্ড রয়েছে। এ দিক থেকে ওরা শক্তিশালী। ওদের আক্রমণ বেশ ধারালো এবং রক্ষণও শক্তিশালী। ম্যাচটা কঠিন হবে। তবে শুধু ওড়িশা ভাল দল বলে নয়, পরিস্থিতির জন্যও ম্যাচটা কঠিন হবে।
অমরিন্দর কি কাল খেলার মতো ফিট রয়েছেন?
আমরা নতুন গোলকিপারকে প্রস্তুত করছি। কারণ, অভিলাষের চোটটাও গুরুতর। ক্লাবের সঙ্গে নতুন কিপারের ব্যাপারে কথা হয়েছে। তবে আপাতত আমরা অমরিন্দর ও অর্শকে তৈরি রাখছি। আমি খুশি যে দু’জনেই পরিশ্রম করছে। আমি খুশি যে, ওরা দু’জনেই ম্যাচে নামার জন্য তৈরি।
অন্য সব দলই এটিকে মোহনবাগানের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে। এটা বাড়তি সুবিধা?
কতটা সুবিধা পাব জানি না। কারণ, পুরো দল যদি সুস্থ অবস্থায় আমার হাতে থাকত, তা হলে বলতাম সুবিধা পাব। এক্ষেত্রে ব্যাপারটা সে রকম নয়। দলের সবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আবার সকলে মিলে একসঙ্গে মাঠে নেমে পরিশ্রম করতে পারাটাই বেশি জরুরি।
এই অবস্থায় শেষ চারে ওঠার ব্যাপারে আপনি কতটা আত্মবিশ্বাসী?
আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ, আমাদের দলটা খুব ভাল। আমার কাছে এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ওরা প্রত্যেকদিন উন্নতি করুক। সময়টা কঠিন। তবে গত দু'দিন ধরে দল অনুশীলন করছে। সবাই পরিশ্রম করতে ইচ্ছুক। এটা খুবই ভাল ব্যাপার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।