এটিকে মোহনবাগানের হারের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ-
১) গোল করার লোকই নেই সবুজ-মেরুন শিবিরে। ডুরান্ডেও এই সমস্যা প্রবল ছিল। এএফসি কাপের ম্যাচেও ফিনিশারের অভাব তীব্র আকার নেয়।
২) ডিফেন্স একেবারে হতশ্রী। কুয়ালা লামপুর পাল্টা আক্রমণে উঠলেই কেঁপে যাচ্ছিল। সেটা লক্ষ্য করেই দ্বিতীয়ার্ধে প্ল্যান-বি নেন কুয়ালা লামপুর কোচ। যার ফল তিনি হাতেনাতে পান।
৩) মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ তৈরি হওয়া বা উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার কোনও গল্পই নেই এটিকে মোহনবাগানের। কেমন যেন ছন্নছাড়া ভাব।
৪) জুয়ান ফেরান্দোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে অন্তত খেলা দেখে মনে হয়েছে। কোনও প্ল্যান-বি, সি কিচ্ছু নেই। ডুরান্ডেও কিন্তু পরিকল্পনার কোনও ছাপ সবুজ-মেরুনের খেলায় মধ্যে অন্তত দেখা যায়নি।
৫) নতুন বিদেশি যাদের আনা হয়েছে, তারা একেবারেই জঘন্য। পোগবারা এখনও পর্যন্ত কোনও ছাপ রাখতে পারেননি। তাঁদের চেয়ে বরং স্থানীয় ছেলেরা অন্তত লড়াইটুকু করছেন। এমন ফুটবল খেললে আইএসএলেও কপালে দুঃখ আছে ফেরান্দোর টিমের।
ম্যাচ শেষ
জঘন্য ডিফেন্স। গোল করার লোকের অভাব। মাঝ-মাঠ ছন্নছাড়া। জেতার তাগিদের অভাব ফুটবলারদের। সব মিলিয়ে যা ফল হওয়ার তাই হল। এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালেও মুখ থুবড়ে পড়ল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ৩-১ গোলে হেরে ফের স্বপ্নভঙ্গ হল বাগানের।
৯০+৫ মিনিট- গোওওওওওলললল- ৩-১ করল কুয়ালা লামপুর
আরও একটি গোল করে বাগানের স্বপ্নকে একেবারে গুড়িয়ে দিল কুয়ালা লামপুরের ক্লাব। পরিবর্তে নামা রোমেল মোরালেস ৩-১ করেন। ডুরান্ডের পর এএফসি কাপের পথ চলাও শেষ বাগানের।
৯০+২ মিনিট- গোওওওওওলললল- ফকরুলেন আইমানের গোল
ফকরুলেন আইমানের গোলে ফের ব্যবধান বাড়াল কুয়ালা লামপুর।
৯০ মিনিট- গোওওওওওলললল- ফারদিনের গোলে সমতা ফেরাল বাগান
ফারদিন মোল্লার দুরন্ত গোলে সমতা ফেরাল এটিকে মোহনবাগান।
৮৫ মিনিট- এটিকে এমবি-র প্লেয়ার পরিবর্তন
দীপক টাংরির জায়গায় নামলেন কিয়ান নাসিরি।
৮৪ মিনিট- কুয়ালা লামপুরের প্লেয়ার পরিবর্তন
পার্টিবানের পরিবর্তে মাঠে এলেন ফকরুল আইমান।
৭৯ মিনিট- হলুদ কার্ড
কুয়ালালামপুর সিটি এফসি-র গ্যালিফুয়োকো হলুদ কার্ড দেখেন।
৭৬ মিনিট- এটিকে মোহনবাগানের প্লেয়ার পরিবর্তন
ফারদিন নামলেম ব্রেন্ডন হ্যামিলের পরিবর্তে।
৭৫ মিনিট- কুয়ালা লামপুরের সুযোগ
কেএল সিটি এফসি-র লম্বা থ্রো ক্লিয়ার করতে পারেনি এটিকেএমবি। এবং বলটি জাফরির সামনে পড়ে। সে শট নিলেও, সেটি অনেক উঁচু দিয়ে বের হয়ে যায়।
৬৯ মিনিট- এটিকে মোহনবাগানের প্লেয়ার পরিবর্তন
প্রীতম কোটালের পরিবর্তে নামলেন আশিস রাই।
৬৫ মিনিট- কুয়ালা লামপুরের প্লেয়ার পরিবর্তন
কেএল সিটি এফসির হয়ে জর্ডান, ডেক্লান এবং হ্যাডিনেপ পরিবর্তে মাঠে নামলেন জাফরি, আনোয়ার এবং রোমেল।
৬০ মিনিট- গোওওওওললল- পিছিয়ে পড়ল বাগান
কুয়ালা লামপুরের তারকা পাওলো জোসুর গোলে পিছিয়ে মোহনবাগান। নিজেরা আধিপত্য রেখে খেললেও, সবুজ-মেরুন কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। পাল্টা আক্রমণে উঠে আসল কাজ করেছেন জোসু। তাঁর গোলের হাত ধরে ১-০ এগিয়ে গেল কুয়ালা লামপুর।
৫৩ মিনিট-
শুভাশিসের ক্রস বক্সের ভেতরে আশিকের সামনেই এসে পড়ে। তবে আশিক শট নেওয়ার চেষ্টা করেও কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বিপক্ষের ফুটবলার গ্যালিওফুয়োকো সময় মতো বলটি ক্লিয়ার দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
গোলশূন্য অবস্থায় প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়েছিল। সেখান থেকেই শুরু হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা।
বিরতিতে ম্যাচের ফল গোলশূন্য
প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। মোহনবাগান আধিপত্য নিয়ে খেলেও আসল কাজটাই করতে পারেনি। বিরতিতে ম্যাচের ফল গোলশূন্য।
৪৫ মিনিট- প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ে খেলার ফল গোলশূূন্য
প্রথমার্ধে নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। ম্যাচের ফল গোলশূূন্য। অতিরিক্ত সময় ১ মিনিট দেওয়া হয়েছে।
৪০ মিনিট- ৮০ শতাংশ বল পজেশন মোহনবাগানে
বল পজেশন অনেকটাই এগিয়ে মোহনবাগান। ৮০ শতাংশ বল পজেশন তাদের। খেলায় সবুজ-মেরুনের আধিপত্যা থাকলেও, গোলের দেখা নেই।
৩৩ মিনিট- গোলের জন্য মরিয়া এটিকে মোহনবাগান
কুয়ালালামপুর বক্সের ভেতরে সুন্দর বল নিয়ন্ত্রণ করে ভালো একটি শট নেন কাউকো। কিন্তু তা ব্লক হয়ে যায় এবং মাঠের বাইরে চলে যায়। মোহনবাগান প্লেয়াররা ভেবেছিল, তারা একটি কর্নার পাবে। কিন্তু রেফারি গোলকিক দেন। কাউকো দৃশ্যত এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট।
৩০ মিনিট- গোল করতে না পারার রোগ যায়নি সবুজ-মেরুনের
ম্যাচের ৩০ মিনিট হয়ে গেলেও, গোল করতে পারেনি কোনও দলই। আর সবুজ-মেরুনের তো গোল করত না পারার রোগ যায়নি। গোলের মুখ খুলতে না পারলে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে ফেরান্দো ব্রিগেডের।
২৯ মিনিট- হলুদ কার্ড কুয়ালা লামপুরের
লিস্টনকে পিছন থেকে ট্যাকেল করে আজিজি হলুদ কার্ড দেখেন।
২৩ মিনিট- প্রথম কর্নার সবুজ-মেরুনের
মোহনবাগান প্রথম কর্নার পায়। লিস্টন কর্নার নেন। এবং বক্সের ভিতরে বলটি সুইং করে। পোগবা টার্গেট করলেও বলের সাথে সঠিক ভাবে সংযোগ করতে পারেননি।
১৭ মিনিট-আরও একটি সুযোগ বাগানের
লিস্টন বিপক্ষের ফুটবলারদের কাটিয়ে উপরে উঠে গোলে শুট করেন। তবে শটটি তিনি ঠিক করে নিতে পারেননি। কেএল সিটি এফসি কিপার আব্দুল গনির কাছে বল চলে যায়। তবে তিনি বলটি ঠিক করে গ্রিপ করতে পারেননি। সেটি পাল্টা কাউকোর কাছে পৌঁছানোর আগেই অবশ্য বলটি ধরে ফেলেন গনি।
১৪ মিনিট- সুযোগ নষ্ট লিস্টনের
এটিকেএমবি দুরন্ত পাল্টা আক্রমণে উঠেছিল। কাউকো ভালো একটি পাস বাড়িয়েছিলেন লিস্টনকে। কিন্তু লিস্টন সেটি ধরতেই পারলেন না। লিস্টনের মধ্যে ডুরান্ড কাপের বোঝাপড়ার অভাব ছিল। এএফসি কাপেও তাঁর ব্যতিক্রম নয়।
৮ মিনিটে বাগানের সুযোগ
মনবীর বক্সের ভিতরে একটি ভালো বল সুইং করেন- পোগবা সেই বলে মাথা ছোঁয়ালেই গোল ছিল। কিন্তু কুয়ালালামপুর ডিফেন্স সেটি ক্লিয়ার করে দেয়।
৫ মিনিট হয়ে গেলেও কোনও দলই গোলের খাতা খুলতে পারেননি
এটিককে মোহনবাগান শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করছে। তবে এখনও পর্যন্ত গোলের সে রকম সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। দুই দলের কেউই এখনও কোনও রকম উল্লেখযোগ্য মুভ করেনি। তবে খেলার সবে শুরু। যত সময় গড়াবে, তত রং বদলাবে।
খেলা শুরু
খেলা শুরু। জিততে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। আদৌ কি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড পারবে নিজেদের লক্ষ্যে সফল হতে?
কুয়ালা লামপুর সিটি এফসি-র প্রথম একাদশ
আজরি আব্দুল ঘানি (গোলকিপার), ডি ল্যামবার্ট, গালিফুয়োকো, জাকারিয়া, আজিজি, আক্রম, আজমান, রিয়ান ল্যামবার্ট, জানাসেকারান, জোসু, মিন্তা।
এটিকে মোহনবাগানের প্রথম একাদশ
বিশাল কাইথ (গোলকিপার), শুভাশিস বসু, ব্রেন্ডন হ্যামিল, প্রীতম কোটাল, ফ্লোরেন্তিন পোগবা (অধিনায়ক), কার্ল ম্যাকহিউ, জনি কাউকো, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো, আশিক কুরুনিয়ান, মনবীর সিং।
বাগানের প্রতিপক্ষরা কতটা শক্তিশালী?
ঘরের মাঠে এ বার বাগানের প্রতিপক্ষ মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর সিটি এফসি। দলে ব্রাজিল, কলোম্বিয়ার ফুটবলাররা আছেন। এ ছাড়া ইংল্যান্ড আর মালয়েশিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা ফুটবলারও আছেন কুয়ালা লামপুরে। মোহনবাগানকে বেশ ভালো মতো মেপেই কলকাতায় খেলতে এসেছে বোজান হোডাকের দল। যদিও ভারতের চেয়ে ফিফা ক্রমতালিকায় মালয়েশিয়া পিছিয়ে। তবু ক্লাব ফুটবল সম্পূর্ণ আলাদা।
গত মরশুমের ভুলের পুনরাবৃত্তি চায় না বাগান
গত মরসুমে এই পর্বেই উজবেকিস্তানের নাসাফের কাছে ০-৬ হেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। সেটি অ্যাওয়ে ম্যাচে ছিল। এ বার ঘরের মাঠে ম্যাচ। তাই ম্যাচ জিততে মুখিয়ে জুয়ান ফেরান্দো ব্রিগেড।
এএফসি কাপে গ্রুপ লিগের ফল
এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে গোকুলমের কাছে ২-৪ ব্যবধানে হারলেও বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ এবং মলদ্বীপের টিম মাজিয়াকে ৫-২ হারিয়ে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে উঠেছে এটিকে মোহনবাগান।