ডার্বির লড়াইটা দুই দলের কাছেই আত্মসম্মানের লড়াই ছিল। কিন্তু সেই লড়াই একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের। হতশ্রী ফুটবল খেলে আরও একটি ডার্বি হারল তারা। আর আইএসএলে ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক করল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। গোল করলেন রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো। ম্যাচের সেরা হলেন জনি কাউকো।
ম্যাচের সেরা জনি কাউকো
গোটা ম্যাচে অসাধারণ খেলেছেন জনি কাউকো। মনবীরের গোলটি কিন্তু কাউকোর অসাধারণ থ্রু পাস থেকেই হয়েছে। কাউকো যেমন এক দিকে রক্ষণ সামলেছেন, তেমনই এটিকে-মোহনবাগানের আক্রমণকেও সচল রেখে গিয়েছেনকাউকো। ভালো ফুটবল খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা হন জনি কাউকো।
৩-০ জয় ছিনিয়ে নিল হাবাস ব্রিগেড
গত বছর যেখানে ডার্বি শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শনিবার ডার্বি শুরু করেছিল এটিকে-মোহনবাগান। ম্যাচের শুরুতে লাল-হলুদকে কিছুটা বুঝে নিতে সময় লেগেছে রয় কৃষ্ণদের। সেই সাত-আট মিনিট লাল-হলুদ ব্রিগেডকে তাও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু এর পরেই ধীরে ধীরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। ততই হারিয়ে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২৩ মিনিটের মধ্যে রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোর গোলে ৩-০ এগিয়ে গিয়েছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। পরে ব্যবধান না বাড়াতে পারলেও আক্রমণের ঝাঁজ এতটুু কমেনি। গত বছর দু'টি ডার্বিতেই হেরেছিল লাল-হলুদ। এ বার আবার প্রথম ডার্বিতে তারা হেরে বসে থাকল। আইএসএলে ডার্বি জয়ের হ্যাটট্রিক করল আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ব্রিগেড।
৯০ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে থেকে ডার্বি জয়ের পথে এটিকে মোহনবাগান
মরশুমের প্রথম ডার্বিতেই হারতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। জয় এখন সবুজ-মেরুনের সময়ের অপেক্ষা। ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
৮২ মিনিট: হলুদকার্ড লাল-হলুদের
নিজের উপর বিরক্তি দেখাতে গিয়েই পেরোসেভিচ হলুদ কার্ড দেখেন।
৮০ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান
খেলার ফলের কোনও হেরফের হয়নি। এই ম্যাচে মনে হল, একাই খেলে গেল এটিকে মোহনবাগান। কোনও সুযোগই পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাদের খুঁজেই পাওয়া গেল না। পুরো ম্যাচে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করে গেল হাবাস ব্রিগেড। আর মাঠের বাইরে বসে দেখে গেলেন দিয়াজ।
৭০ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান
খেলার ৭০ মিনিট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাল-হলুদের একটি শটও এখনও পর্যন্ত গোলমুখী ছিল না। যা পরিস্থিতি তাতে ডার্বি থেকে লাল-হলুদকে খালি হাতেই ফিরতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
৬৭ মিনিট: এটিকে মোহনবাগানের প্লেয়ার পরিবর্তন
হুগো বৌমাসের বদলে নামলেন ডেভিড উইলিয়ামস।
৫৯ মিনিট: এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার পরিবর্তন
নেদারল্যান্ডসের ড্যারেন সিডওয়েলকে তুলে চিমাকে নামালেন দিয়াজ। সিডওয়েল কিন্তু একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি।
৫৫ মিনিট: এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার পরিবর্তন
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন রাজু গায়কোয়াড়। যেটা লাল-হলুদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা হল। রাজুর বদলে নাামলেন আদিল খান।
৫০ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান
দ্বিতীয়ার্ধেও কিন্তু খেলার রাশ নিজেদের হাতেই রেখেছে এটিকে মোহনবাগান। ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও, আক্রমণের ঝাঁজ এতটুকু কমেনি সবুজ-মেরুনের। এদিকে সে ভাবে কিছুই করে উঠতে পারছে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। আরও একটি ডার্বি থেকে খালি হাতে ফিরবে লাল-হলুদ?
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
৩-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। এসসি ইস্টবেঙ্গল কি পারবে লড়াইয়ে ফিরতে? এটা কিন্তু কঠিন হয়ে গিয়েছে লাল-হলুদের পক্ষে। ৩-৪-৩ স্ট্র্যাটেজিতে লাল-হলুদ খেলতে শুরু করেছিল। এখন ডিফেন্সে ৪ জন প্লেয়ারই রেখেছেন দিয়াজ।
বিরতিতে ৩-০ এগিয়ে সবুজ-মেরুন
এসসি ইস্টবেঙ্গলের হতশ্রী পারফরম্যান্স, রক্ষণ-মাঝমাঠের বোঝাপড়ার অভাব, আর এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস এবং জয়ের মরিয়া চেষ্টা, যার নিট ফল ৩-০ এগিয়ে গিয়েছে হাবাস বাহিনী। আর একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের।
৪৫ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে হাবাস বাহিনী
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট ৪৫ মিনিটে ৩-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। লাল-হলুদের খেলায় সে ভাবে কোনও উন্নতি হয়নি। বড়ই ম্যাড়ম্যাড়ে লাগছে লাল-হলুদকে। চার মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
৩৩ মিনিট: ইস্টবেঙ্গলের প্লেয়ার পরিবর্তন
দু'টো পরিবর্তন করল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। নামলেন শুভম সেন।
লালরিনলিয়ানার বদলে নামলেন অমরজিৎ সিং।
৩১ মিনিট: ৩-০ এগিয়ে হাবাস বাহিনী
হতশ্রী দশা লাল-হলুদের মাঝমাঠ এবং রক্ষণের। কারও সঙ্গে কারও কোনও বোঝাপড়াই গড়ে ওঠেনি। যার নিট ফল, ৩০ মিনিটের আগেই ৩-০ পিছিয়ে দিয়াজ ব্রিগেড। তাও রয় কৃষ্ণ একটি জোরালো চেষ্টা করেছিলেন। সেই সঙ্গে গোলের বড় সুযোগ তৈরি করেছিলেন কাউকো। অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হয়।
২৩ মিনিট: লিস্টনের গোলে ৩-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান
এই গোলটির জন্য অরিন্দমের দোষ পুরোটাই। আসলে সবুজ-মেরুনের আক্রমণে একেবারে ছন্নছাড়া দশা লাল-হলুদের রক্ষণের। লিস্টন কোলাসো একটি বল নিয়ে ঢুকছেন দেখেই গোল ছেড়ে সেই বল ধরতে যান অরিন্দম। কিন্তু দুরন্ত ছন্দে থাকা লিস্টন অরিন্দমকে ডজ দিয়ে ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে সুন্দর ভাবে ৩-০ এগিয়ে দেন সবুজ-মেরুনকে। তিন গোল খাওয়ার পর এসসি ইস্টবেঙ্গল আদৌ খেলায় ফিরতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে!
১৪ মিনিট: মনবীরের গোলে ২-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান
জনি কাউকোর থ্রু পাস ধরে দ্বিতীয় টাচে দুরন্ত গোল মনবীর সিং-এর। লাল-হলুদের রক্ষণের এমন হতশ্রী দশা, তাতে এই বছরও লাল-হলুদের পক্ষে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হবে না।
১২ মিনিট: কৃষ্ণের গোলে ১-০ এগিয়ে গেল মোহনবাগান
এসসি ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ আররক্ষণের মধ্যে একটা বিস্তর ফারাক রয়েছে। কোনও বোঝাপড়াই নেই তাদের মধ্যে। যার সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় ১-০ করে ফেলল এটিকে মোহনবাগান। প্রীতম কোটালের ক্রস থেকে দুরন্ত গোল করেন রয় কৃষ্ণ। গোলের মুখ খুলে দেন তিনি। অরিন্দমের কিছুই করার ছিল না।
৫ মিনিট: ম্যাচ গোলশূন্য
দুই দলই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু খেলাটা বেশি হচ্ছে মাঝমাঠে।
২ মিনিট: প্রথম কর্নার লাল-হলুদের
শুভাশিস বসু বাধ্য হয়েছিলেন একটি বল মাঠের বাইরে বের করতে। যে কারণে কর্নার পেয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু নির্বিষ কর্নার থেকে ঘটনাবহুল কিছুই ঘটেনি।
বাঁশি বেজে গেল মরশুমের প্রথম ডার্বির
খেলা শুরু হয়ে গেল। জিতবে কোন দল? উত্তেজনা তুঙ্গে। ম্যাচ শুরুর আগে দৌড়ে এসে পুুরনো গুরু হাবাসকে জড়িয়ে ধরেন অরিন্দম। যে অরিন্দমের কাঁধেই আজ এটিকে মোহনবাগানকে আটকানোর গুরু দায়িত্ব।
সবুজ-মেরুনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি লাল-হলুদের
ডার্বি জিততে মরিয়া সবুজ-মেরুন
সবুজ-মেরুনের প্রথম একাদশ
কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে যে দল খেলেছিল, ডার্বিতেও একই দল রেখেছেন হাবাস। দলে কোনও পরিবর্তন নেই। ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের অধিনায়ক প্রীতম কোটাল।
লাল-হলুদের প্রথম একাদশ
দিয়াজ দলে চারটি পরিবর্তন করেছেন। নেদারল্যান্ডসের ড্যারেন সিডওয়েল এবং গোয়ার সেন্ট্রাল ব্যাক জয়নার লৌরেনের অভিষেক হতে চলেছে লাল-হলুদ জার্সিতে। চিমাকে রিজার্ভে রাখে হয়েছে। প্রথম একাদশে নেই তিনি। চিমা ছাড়াও হীরা মণ্ডল, ওয়াহেংবাম লুয়াং, সৌরভ দাসকে ডার্বির দলে রাখা হয়নি।
ড্যারেন সিডওয়েল এবং জয়নার ছাড়াও দলে ঢুকছেন রাজু গায়কোয়াড় এবং নওরেম মহেশ সিং।
হাবাস ব্রিগেডও পৌঁছে গিয়েছে স্টেডিয়ামে
মাঠে এসে গিয়েছে দিয়াজের টিম
এই আইএসএলে কলকাতার দুই প্রধানের অবস্থান
আইএসএল অভিযান জয় দিয়ে শুরু করেছে এটিকে মোহনবাগান। কেরল ব্লাস্টার্সকে তারা ৪-২ গোলে হারিয়েছে। অপরদিকে, প্রথম ম্যাচে জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। তবে ডার্বি জিততে মরিয়া দুই দলই।
আইএস এলে ডার্বির পরিসংখ্যান
আইএসএলে কিন্তু এটিকে মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। গত মরশুমে প্রথম বার আইএসএলে অংশ নেয় কলকাতার দুই প্রধান। আর প্রথম বার আইএসএলের দু'টো ডার্বিতেই হারতে হয় লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। মোটেও ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাই আইএসএলে কিন্তু লাল-হলুদকে টেক্কা দিয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুন।
ডার্বির পরিসংখ্যান
মোট ৩৭৯টি ডার্বি ম্যাচ খেলা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে মোহনবাগান জিতেছে ১২২টি ম্যাচে। আর ইস্টবেঙ্গল জয় পেয়েছে ১৩২টি ম্যাচে। ড্র হয়েছে ১২৫টি ম্যাচ। অর্থাৎ সবুজ-মেরুন বাহিনীর চেয়ে ১০টি ডার্বি বেশি জিতেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এই পরিসংখ্যানের বদল চায় মেরিনার্স।