ফের আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাতছানি এটিকে মোহনবাগানের সামনে। শেষ দুই বছর ফসকে গিয়েছে কাপ। এবার আর একই ভুল করতে চাইবে না জুয়ান ফেরান্দোর দল। ওড়িশাকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে সবুজ মেরুন। শেষ চারের লড়াইয়ের জন্য সোমবার থেকেই প্রস্তুতিতে নামছে এটিকে মোহনবাগান। কাপ জিতেই গোয়া থেকে ফিরতে চায় ফেরান্দোর দল।
তবে কাপ নিজেদের ঘরে তুলতে এখনও তিনটি ধাপ পার করতে হবে মোহনবাগানকে। সেমিফাইনালে হায়দরাবাদ এফসির মুখোমুখি হবে তারা। হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের বাধা কাটানোর পর পৌঁছাতে হবে ফাইনালে।
অন্যদিকে সেমিফাইনালে নামার আগে ওড়িশা ম্যাচ জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে পালতোলা নৌকা। আইএসএলে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন হুগো বৌমসরা। কেরালা ব্লাস্টার্স, ইস্টবেঙ্গল এবং ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে টানা তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে বাগান। ৯ মার্চ নিজামের শহরে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামতে হবে মোহনবাগানকে। ১৩ মার্চ ঘরের মাঠে হবে ফিরতি সেমিফাইনাল।
এই মরশুমে হায়দরাবাদ ও মোহনবাগানের গ্রুপ পর্বে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে কাটায় কাটায়। একবার জিতেছে হায়দরাবাদ। আর একবার জিতেছে মোহনবাগান। দুই দলই নিজেদের ঘরের মাঠে জিতেছে। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচে গোল হজম না করাই লক্ষ্য প্রীতম কোটাল, শুভাশিসদের সামনে। ওড়িশার বিরুদ্ধে মরণ বাচন ম্যাচ জেতার পর বাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলেন, ‘এই ম্যাচে প্রত্যেকেই নিজেদের ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিয়েছে। এখন থেকে আমাদের লক্ষ্য হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল খেলা। মরশুমের মাঝখানে আমাদের প্লে অফে ওটা নিয়ে একটা সমস্যা দেখা দেয়। তবে সেই সময় আমরা কেউই নিজেদের উপর বিশ্বাস হারাইনি। আমরা জানতাম আমরা নকআউটে উঠতে পারি। সেটাই আমরা করে দেখিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কখনও রক্ষণ বিভাগ বা কখনও আক্রমণ নিয়ে সমালোচকরা আমাদের সমালোচনা করেছে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম। দলের প্রত্যেককেই অনেক পরিশ্রম করেছে। তার ফল পেয়েছি আমরা।’
এদিকে ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচের সময় বাগান গোলরক্ষক চোট পাওয়ায় চিন্তায় পড়ে যায় সবুজ মেরুন শিবিরে। শনিবার চোট পেয়ে অ্যাম্বুলেন্স করে মাঠ ছাড়েন গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। তবে হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পেয়েছেন। আপাতত দু’দিন বিশ্রামে থাকবেন।