ডিরেক্টর উৎসব পারেখের বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল এটিকে-মোহনবাগান। সেইসঙ্গে দাবি করা হল, মোহনবাগানের ঐতিহ্যের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে রয় কৃষ্ণাদের ক্লাবের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এটিকে-মোহনবাগানের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'এএফসি কাপে এটিকে-মোহনবাগানের অংশগ্রহণ নিয়ে আমাদের এক ডিরেক্টরের মন্তব্যের জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। মোহনবাগানের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের প্রতি আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা আছে এবং তা বজায় রাখব।' সঙ্গে ‘জয় মোহনবাগান’ লেখা হয়।
বৃহস্পতিবার দ্য ইন্ডিপেন্ডেট বাংলায় একটি সাক্ষাৎকারে পারেখ বলেন, ‘আমি মোহনবাগানের ফ্যানদের একটাই বলতে চাই, আমরা তো মোহনবাগানের নামটা আরও উপরে তুলে নিয়ে যাচ্ছি। মোহনবাগান কখনও এএফসি কাপে (খেলার কথাও ভাবেনি)। মানে ওদের পরিকল্পনাতেও ছিল না যে আমরা মোহনবাগান-এটিকে এএফসি কাপে খেলতে পারবে। মোহনবাগান তো নিজস্ব গায়ের জোরে তো আজ পর্যন্ত (এএফসি কাপে) খেলল না। কেন, ওই সুযোগ পায়নি। আমরা যেটা করেছি, সেটা হল যে মোহবাগানের নামটা আরও উঁচু করেছি।’
সেই মন্তব্যের পরই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। বাগান সমর্থকরা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে মোহনবাগানের মতো ক্লাবকে ছোটো করে দেখাতে পারেন পারেখ? কীভাবে মোহনবাগানকে ‘অপমান’ করতে পারেন? তাও যেখানে এএফসি কাপে একাধিকবার খেলেছে মোহনবাগান। তাঁরা স্মরণ করিয়ে দেন, মোহনবাগান নিজের ‘গায়ের জোরেই’ এএফসি কাপে খেলেছিল। ২০১৬ সালে তো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বাছাই পর্বেও খেলেছিল তৎকালীন বাগান কোচ সঞ্জয় সেনের দল। প্রবল ঠান্ডার মধ্যে অবশ্য শ্যানডং লুনেঙের কাছে হেরে গিয়েছিল। তবে সেইবার এএফসি কাপে একাধিক ম্যাচে জিতেছিল বাগান শিবির। নয়া নিয়ম শুরু হওয়ার পর অবশ্য বাগান এএফসি কাপে খেলার সুযোগ পায়নি। গত বছর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এটিকের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায় বাগান। মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাবের তরফেও পারেখের সেই মন্তব্যের জবাবদিহি চাওয়া হয়। তারপরই সাফাই দেওয়া হয় এটিকে-মোহনবাগানের তরফে।