আইএসএলের শেষ চার ম্যাচে জয় পায়নি এটিকে মোহনবাগান। এর মধ্যে দু'টিতে তারা হেরেছে। দু'টি ম্যাচ ড্র করেছে। এই পরিস্থিতিতে ব্যর্থতার সব দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করলেন সবুজ-মেরুনের হেড কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। তবে পদত্যাদের আসল কারণ এখনও জানা যায়নি।
গত বারের আইএসএলে-র রানার্সরা এই বছর শুরুটা খারাপ করেনি। প্রথম দু'টো ম্যাচে তারা জয়ও পায়। ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ হারায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এর পরেই খোঁড়াতে শুরু করে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। বৃহস্পতিবার ফর্মে না থাকা বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র করে এটিকে মোহনবাগান। তার পর থেকে হাবাস ব্রিগেডকে নিয়ে সমালোচনা তীব্র আকার নেয়। আর শনিবার সকালেই স্প্যানিশ কোচ ম্যানেজমেন্টের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েও দেন। এটিকে মোহনবাগানের তরফে যা সঙ্গে সঙ্গেই গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত হাবাসের জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব সামলাবেন সহকারী কোচ ম্যানুয়েল কাসালানা।
এই বছর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে দলকে ঢেলে সাজিয়েছেন এটিকে মোহনবাগান কর্তারা। প্রচুর খরচ করে নিয়ে আসা হয়েছে দলের তারকা বিদেশি হুগো বৌমাসকে। সঙ্গে সদ্য ইউরো খেলে আসা জনি কাউকোকেও সই করিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তার পরেও দল ব্যর্থ। আর তার দায়টা কোচের উপরেই এসে পড়েছে। বিশেষ করে বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র করার পরেই মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছিলেন হাবাস। এখন আইএসএলে এমন পরিস্থিতি, তাতে গত বারের রানার্সরা আদৌ শেষ চারে থাকতে পারবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে হাবাস নিজেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
এ দিকে ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, হাবাসের সঙ্গে নাকি এটিকে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়েছিল। তার উপর ব্যর্থ হচ্ছিল দল। অনেকেরই মতে, হাবাসকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। নিজে থেকে সরে যাননি স্প্যানিশ কোচ। অথচ হাবাসের হাত ধরেই কিন্তু এটিকে মোহনবাগান বহু সাফল্য পেয়েছে। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ারও স্বাদ পেয়েছে কলকাতার দলটি। তবে বিশ্ব ফুটবলের সর্বত্র দল ব্যর্থ হলে সরে যেতে হয় কোচকেই। এটিকে মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না।