এটিকে মোহনবাগান যেন মিনি হাসপাতাল হয়ে গিয়েছে। চোট সমস্যায় একেবারে তারা জর্জরিত। নিজের পছন্দের দল নামাতে পারছেন না জুয়ান ফেরান্দো। বিদেশির কোটাও পূরণ করতে পারছেন না। সব মিলিয়ে একেবারে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা। সেখান থেকে এফসি গোয়ার মতো ছন্দে থাকা দলকে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট পাওয়াটা নিঃসন্দেহে অক্সিজেন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের কাছে। হোক না ঘরের মাঠে ম্যাচ, তবু আগের ম্যাচে নর্থইস্টের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের কাছে হেরে যে ধাক্কাটা তারা খেয়েছিল, সেখান থেকে জয়ে ফেরাটা জরুরি ছিল। বিশেষ করে পয়েন্ট টেবলে নিজেদের জায়গা মজবুত করতে এই জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
২-১ জিতে অক্সিজেন পেল মোহনবাগান
নর্থইস্টের বিরুদ্ধে হারের ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল এটিকে মোহনবাগান। তারা ২-১ হারাল এফসি গোয়াকে। প্রথম গেলে গোয়ায় গিয়ে ০-৩ হেরেছিল বাগান। এ দিন ঘরের মাঠে মধুর বদলা নিল জুয়ান ফেরান্দোর টিম। বাগান কিন্তু ২টি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তা না হলে গোলের ব্যবধান বাড়তে পারত। চোটে জর্জরিত সবুজ-মেরুনের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এই জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
সহজতম সুযোগ নষ্ট আশিকের
৮৫ মিনিট: আশিকই বলটি নিয়ে উপরে উঠে গোলের একটি সুযোগ তৈরি করেছিল। তিনি প্রথমে পাস বাড়ান পেত্রাতোসকে। পেত্রাতোস সুন্দর করে কার্যত গোলের একেবারে মুখে বলটি সাজিয়ে দিয়েচিলেন আশিককে। গোলকিপার ছিলেন না গোলে। কিন্তু বলটি বাইরে মেরে বসেন আশিক। এত সহজ সুযোগ মিস করাটা হজম করতে পারছেন না এটিকে মোহনবাগানের সমর্থকেরাও।
বড় মিস পেত্রাতোসের
৬৮ মিনিট: কার্যত মাঝমাঠের একটু পর থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ পেত্রাতোস। নিশ্চিত গোল ছিল। এই সুযোগটি নষ্ট করার খেসারত দিতে না হয় মোহনবাগানকে!
গোওওওওললললল… হুগোর গোলে ২-১ করল বাগান
৫২ মিনিট: পেত্রোতোসের একেবারে নিখুঁত একটি পাস। সেই পাস ধরে হুগো গোল করতে কোনও ভুল করেননি। ২-১ করল মোহনবাগান। প্রসঙ্গত, গোয়ার রক্ষণকে খুব বেশি শক্তিশালী দেখাচ্ছে না। তাই বাগান লড়াকু মানসিকতা দেখিয়ে গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারে বাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
বাগানকে কি পারবে ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পেতে? তবে ম্যাচ জিততে হলে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করতে হবে সবুজ-মেরুনকে। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখাতে হবে।
বিরতিতে খেলার ফল ১-১
বিরতিতে খেলার ফল ১-১। বাগান যে ভাবে প্রথম ২০ মিনিট গোয়াকে চাপে রেখেছিল, সেটা যেন পরবর্তীতে ফিকে হয়ে যাচ্ছে। গোয়া উল্টে চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে গোয়ার গোলটির পর থেকে। বাগান যদি এই ম্যাচ জিততে না পারে, তবে কিন্তু লিগ টেবলেও অস্বস্তিতে পড়তে হবে তাদের। আর গোয়া জিতলে, সবুজ-মেরুনকে টপকে যাবে।
গোলের সুযোগ নষ্ট বাগানের
৩৫ মিনিট: গ্ল্যান মার্টিস ফাউল করেন কোলাসোকে। ভালো জায়গায় ফ্রি-কিক পায় বাগান। কিন্তু লিস্টন গোলের সুযোগ মিস করেন। ঠিকঠাক বল রাখতে পারলে গোল নিশ্চিত ছিল।
গোওওওওওললললল… এডু বেদিয়ার গোলে সমতা ফেরাল গোয়া
২৫ মিনিট: বাগানের একটি ছোট্ট ভুলেই ধাক্কা খেল বাগান। বাজে জায়গায় ফাউল করার খেসারত দিতে হল সবুজ-মেরুনকে। এডু বেদিয়ার দুরন্ত ফ্রি-কিকে আনোয়ার শুধু পা ছোঁয়ায়। যে ভাবে এডু বল রেখেছিল, তাতে গোল না করার কোনও বিকল্পই ছিল না আনোয়ারের কাছে। ১-১ সমতা ফেরাল গোয়া।
ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করছে বাগান
২০ মিনিট: বাগান আরও ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা ২টি সুযোগ পেয়েছিল। অল্পের জন্য মিস হয়। তবে ঘরের মাঠে বদলা নিতে এটিকে মোহনবাগান যে কতটা মরিয়া, সেটা তাদের খেলাতেই প্রমাণিত।
গোওওওওওওললললল…পেত্রাতোসের গোলে ১-০ করল বাগান
৯ মিনিট: পেত্রাতোসের গোলে ১-০ করে ফেলল বাগান। শুরু থেকেই তারা মরিয়া হয়ে জেতার জন্য ঝাঁপিয়েছে। ভাঙাচোরা দল, তাই নিয়েই বাগান বাজিমাত করতে চাইছে। আক্রমণের পর আক্রমণ করছিল। মাঝে একবারই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোয়া বিপদ ঘটাতে পারত, তবে সে রকম কিছু ঘটেনি। ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে পেত্রাতোসের দুরন্ত গোলে ১-০ এগিয়ে গেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
খেলা শুরু
খুব চাপে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। চোট সমস্যায় তারা জেরবার। ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে কি জিতে বদলা নিতে পারবে বাগান?
বাগানের বেহাল দশা
সোমবার কেরালা ব্লাস্টার্স জেতার ফলে তারা এটিকে মোহনবাগানকে টপকে তিনে উঠে যায়। চার নম্বরে থেকেই তারা বছর শেষ করতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে বুধবারের এই ম্যাচের ওপরই। গোয়াকে হারাতে না পারলে আরও নীচে নেমে যেতে হতে পারে তাদের।
গোয়ার হাল
লিগ টেবলে মাত্র এক পয়েন্ট কম পেয়ে এটিকে মোহনবাগানের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এফসি গোয়া। শেষ তিন ম্যাচে অপরাজিত তারা। ওড়িশা এফসি-কে ৩-০ এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে ২-১-এ হারানোর পরে পাঁচ দিন আগে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করে কলকাতায় এসেছে সাগরপাড়ের দল। তাদের কাছে হারার পরে এটিকে মোহনবাগান টানা তিন ম্যাচে জেতে ঠিকই। কিন্তু তার পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যার জালে আটকে গিয়ে পরপর দুই ম্যাচে ড্র করে এবং হারে।
চোট সমস্যায় জেরবার এটিকে মোহনবাগান
চোট-আঘাত সমস্যায় একেবারে জেরবার এটিকে মোহনবাগান। আশিস রাই,দীপক টাংরি মতো প্লেয়াররা শেষ ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে চোট পেয়েছিলেন। তাদের চোট এতটাই গুরুতর যে, এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দু'জনেই খেলার মত জায়গায় নেই। হুগো বৌমাস অনুশীলনে যোগ দিলেও তাঁর খেলার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সব মিলিয়ে দল গড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে জুয়ান ফেরান্দো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।