প্রথমার্ধে লিগ লিডার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দাপট দেখালেও গোল করতে ব্যর্থ হয় এটিকে মোহনবাগান। উপরন্তু, ম্যাচের ৩০ মিনিটের পর পরেই অল্প সময়ের ব্যবধানে মাঠ ছাড়েন দুই সবুজ মেরুন তারকা বৌমাস এবং ম্যাকহিউ। দ্বিতীয়ার্ধের হায়দরাবাদ শুরুটা দারুণ করে। কিন্তু ম্যাচের গতির বিরুদ্ধেই তুখর প্রতিআক্রমণ থেকে প্রথমে গোল করেন লিস্টন এবং তার ৪ মিনিট পরে মনবীর এটিকে মোহনবাগানকে ২-০ এগিয়ে দেন। জোয়েল চিয়ানেজে হায়দরাবাদের হয়ে এক গোল করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ম্যাচ মোহনবাগানের পক্ষেই ২-১ শেষ হয়। এই জয়ের ফলে হায়দরাবাদ এক থাকলেও, এক ম্যাচ কম খেলে মাত্র তিন পয়েন্ট পিছনে চারে রয়েছে সবুজ-মেরুন।
ম্যাচ সেরা লিস্টন
নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ গোলের সুবাদে ম্যাচ সেরা হলেন লিস্টন কোলাসো।
ম্যাচ শেষ
ম্যাচের শেষ ১০ মিনিটে রুদ্ধশ্বাস এন্ড টু এন্ড খেলায় একের পর এক সুযোগ তৈরি করে দুই দল। তবে কোনোক্রমে নিজেদের লিড অক্ষত রাখতে সক্ষম হয় এটিকে মোহনবাগান। ২-১ ম্যাচ জিতল সবুজ মেরুন।
৯০+৪ মিনিট- ফের সুযোগ হাতছাড়া লিস্টনের
একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করছেন লিস্টন। এবার অবশ্য বাঁ-দিক থেকে তাঁর শট ভাল বাঁচিয়ে দেন কাট্টিমানি। বল ফাঁকা দাঁড়িয়ে থাকা কিয়ানের পায়ে আসার আগেই তা ক্লিয়ার করে হায়দরাবাদ ডিফেন্ডার।
৯০+২ মিনিট- ফের ফাঁকা গোল মিস লিস্টনের
প্রতি আক্রমণে ফের একবার হায়দরাবাদ ডিফেন্সকে নাস্তানাবুদ করতে সক্ষম হন লিস্টন। চিঙলেনসানা তো তাঁকে ধরতেই পারেননি। তবে হায়দরাবাদ গোলরক্ষক কাট্টিমানি দুরন্তভাবে এগিয়ে এসে লিস্টনের হয়ে গোল করা কঠিন করে তোলেন। শেষমেশ লিস্টনের শট গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধ শেষে ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম
৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ইনজুরি টাইমের আর ছয় মিনিট হায়দরাবাদকে রুখে দিলেই প্রথম চারে ঢুকে পড়বে এটিকে মোহনবাগান।
৮৬ মিনিট- লিসন্টনের অভাবনীয় মিস
প্রতিআক্রমণে নিজের অতীতের ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তবে প্রায় ফাঁকা গোলে বল জড়াতে ব্যর্থ হলেন লিস্টন। এক সময় প্রতিআক্রমণে হায়দরাবাদের এক ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে মোহনবাগানের তিন জন আক্রমণে ছিলেন। তবে কোলাসোর পাস কিয়ানের থেকে বেশ দূরে থাকায় গোলে শট নেওয়ার সুযোগ হারান ডার্বি হিরো। কিন্তু তাঁর পাস থেকেই ফের ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে ম্যাচ শেষ করে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন লিস্টন। তবে গোল হল না।
৮৩ মিনিট- হায়দরাবাদের বদল
গোলস্কোরার চিয়ানেজের বদলে হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামলেন এডু গার্সিয়া।
৮১ মিনিট- আবার হলুদ কার্ড
দুই মিনিটে কোলাসোকে রুখতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন দুই হায়দরাবাদ ফুটবলার। এবার প্রকিআক্রমণে হু হু কর বল নিয়ে এগিয়ে যাওয়া কোলাসোর কাঁধ ধরে টেনে তাঁকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন আশিস রাই।
৮০ মিনিট- তাভোরার হলুদ কার্ড
লিস্টন কোলাসোর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে বলের বদলে কোলাসোর পায়েই মেরে বসেন হায়দরাবাদ সাবস্টিটিউট তাভোরা। হলুদ কার্ড দেখতে হল তাঁকে।
৭৮ মিনিট- টাঙরির গোল লাইন ক্লিয়ারেন্স
কর্ণার থেকে পেনাল্টি বক্সে ধাক্কাধাক্কিতে আরেকটু হলেই নিজের জালে বল জড়িয়ে দিতেন কিয়ান নাসিরি। তবে গোললাইনে বল ক্লিয়ার করেন দীপক টাঙরি।
৭৭ মিনিট- দারুণ সেভ অমরিন্দরের
সাবস্টিটিউট হিসাবে মাঠে নামা দানু এবং ইয়াসির সমস্যায় ফেলছে সবুজ মেরনকে। ইয়াসিরের ঠিকানা লেখা পাস থেকেই বল পায়ে পান দানু। ডান দিক থেকে তাঁর জোরালো শট দারুণভাবে সেভ করে দেন অমরিন্দর।
৭০ মিনিট- অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট ওগেবেচে
চিয়ানেজের গোলে জেগে উঠেছে হায়দরাবাদ। তেড়েফুড়ে এটিকে মোহনবাগানের গোলে আক্রমণ চালাচ্ছে নিজামের শহর। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেন ওগবেচে।
৬৭ মিনিট- গোওওওললল! চিয়ানেজে
লিগ লিডাররা সহজেই হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। আবারও এই ম্যাচে তার প্রমাণ মিলল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার সাত মিনিটের মধ্যে ব্যবধান অর্ধেক করলেন জোয়েল চিয়ানেজে। জাও ভিক্টরের দূরপাল্লার শট অমরিন্দর সেভ করলেও, বক্সের মধ্যে তা চিয়ানেজের পায়ে এসে পড়ে। ফাঁকা গোলে বল জড়িয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদের হয়ে গোল করলেন চিয়ানেজে। মোহনবাগান আপাতত এগিয়ে ২-১ গোলে।
৬৪ মিনিট- মোহনবাগান ও হায়দরাবাদ, দুই দলেরই পরিবর্তন
উইলিয়ামসের বদলে মাঠে নামলেন দীপক টাঙরি। হায়দরাবাদের হয়ে সৌভিক চক্রবর্তীর বদলে মাঠে এলেন সাহিল তাভোরা।
৬০ মিনিট- মনবীরররর! ২-০ এটিকে মোহনবাগান
একটু আগেই হায়দরাবাদের আক্রমণে বেশ চাপে দেখাচ্ছিল মোহনবাগানকে। তবে প্রথমে কোলাসো এবং তার চার মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল করলেন মনবীর সিং। কাউকোর ঠিকানা লেখা পাস থেকে ডান দিক ধরে রান নিয়ে গোল করেন মনবীর।
৫৮ মিনিট- অবিশ্বাস্য মিস দানুর
কয়েক মিনিট আগেই দারুণ ভলিতে অমরিন্দরকে পরাস্ত করলেও গোল পাননি দানু। এবার গোলের কয়েক মিটার দূরে বল পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে বল গোলের বাইরে মারেন দানু।
৫৬ মিনিট- কোলাসোর গোলাজো
হায়দরাবাদ বারংবার দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা দারুণ করলেও, মাঝমাঠ থেকে প্রতিআক্রমণে কোলাসোর দুর্ধর্ষ রানই কামাল করে দেয়। ডেভিড উইলিয়ামসের ঠিকানা লেখা ক্রস সহজেই নিজের গতিতে দখলে আনেন কোলাসো। এরপর বাঁ-দিক থেকে বাঁক খাওয়ানো শটে অনবদ্য গোল। এটিকে এগিয়ে গেল ১-০ গোলে।
৫২ মিনিট- গোলের জোরালো আবেদন
ফ্রি-কিক থেকে বল পেনাল্টি বক্সের মধ্যেই দানুর পায়ে চলে আসে। ভলিতে মোটামুটি ভালই গতিতে শট নেন তরুণ তুর্কি। তাঁর শট অমরিন্দরকে পরাস্ত করলেও বারে লেগে ফিরে আসে। হায়দরাবাদের তরফে জোরালো দাবি করা হয়, বল গোল লাইনের পিছনে ড্রপ খেয়েছে। তবে হায়দরাবাদের গোলের দাবি নাকচ করে দেন রেফারি।
৫১ মিনিট- দারুণ জায়গায় ফ্রি-কিক পেল হায়দরাবাদ
দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যম নিয়ে যেন মাঠে নেমেছে হায়দরাবাদ। নিজামের শহরের আক্রমণে রুখতে গিয়ে আরেকটু হলেই পোনাল্টি দিয়ে বসতেন প্রবীর। পেনাল্টি বক্সের একটু বাইরেই ইয়াসিরকে বাজে ফাউল করলেন তিনি। ভুললে চলবে না প্রবীর প্রথমার্ধে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন, তাই তাঁকে একটু দেখে খেলতে হবে।
হায়দরাবাদের জোড়া পরিবর্তন
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জোড়া বদল হায়দরাবাদের। অনিকেত যাদবের বদলে মাঠে নামলেন রোহিত দানু এবং নিখিল পূজারির বদলে এলেন মহম্মদ ইয়াসির।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
গোলশূন্য অবস্থাতেই দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হল। ম্যাচ জিততে পারবে এটিকে মোহনবাগান?
হাফ টাইম
প্রথমার্ধের খেলা শেষে ম্যাচ গোলশূন্য। প্রথম ৪৫ মিনিটে এটিকে মোহনবাগানের দিকেই পাল্লা ভারি থাকলেও, শেষের দিকে হায়দরাবাদ কিন্তু উইং থেকে একের পর এক ক্রস তুলে ফেরান্দোর দলকে বেশ চাপে ফেলছিল। তবে হুগো বৌমাসই দুইবার গোল করার সবচেয়ে ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন। মোহনবাগানের হয়ে খারাপ খবর, বৌমাস এবং ম্যাকহিউ, দুই তারকাই চোট পেয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
৪ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথামার্ধের নির্ধারিত ৪৫ মিনিট শেষে চার মিনিট অতিরিক্ত যোগ করা হয়।
৪২ মিনিট- দুর্ধর্ষ রান লিস্টনের
মাঠ মাঝ থেকে দারুণ রান নিয়ে ফের একবার এই মরশুমে তাঁর বিখ্যাত গোলের মতো দূরপাল্লার শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর শট দারুণভাবে ডিপ করার পাশাপাশি গোলকিপারের ঠিক সামনেও ড্রপ পড়ে। তবে সুন্দরভাবে কাট্টিমানি শট বাঁচিয়ে দেন।
৩৮ মিনিট- দ্বিতীয় পরিবর্তন এটিকে মোহনবাগানের
খেলা চালিয়ে যেতে পারলেন না ম্যাকহিউ। বৌমাসের পর পরই হ্যামস্ট্রিংয়ের জেরে বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়লেন কার্ল ম্যাকহিউ। তাঁর বদলে মাঠে এলেন ডার্বির হ্যাটট্রিক হিরো কিয়ান নাসিরি।
৩৪ মিনিট- দারুণ ব্লক প্রীতমের
নিখিল পূজারির ক্রস থেকে এটিকে মোহনবাগানের বক্সের মধ্যেই বল পেয়ে গিয়েছিলেন অনিকেত যাদব। তবে অতিরিক্ত টাচ নিয়ে বলকে দখলে আনতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট। দ্রুত একগাদা মোহনবাগান ডিফেন্ডার ঘিরে ধরেন তাঁকে। তাঁর শট ব্লক করেন প্রীতম কোটাল। তবে পূজারির পিছনে ছোটার সময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ে হাত দেন কার্ল ম্যাকহিউ। এরপর তিনি হ্যামস্ট্রিং ধরে বসে পড়েন মাঠের মাঝেই।
৩৩ মিনিট- এটিকে মোহনবাগানের পরিবর্তন
ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট গড়াতে না গড়াতেই পরিবর্তন করতে বাধ্য হল মোহনবাগান। দলের আক্রমণ বিভাগের সেরা অস্ত্র হুগো বৌমাসের বদলে মাঠে নামলেন জনি কাউকো। হালকা চোট রয়েছে বলেই সম্ভবত মাঠ ছাড়লেন বৌমাস।
২৯ মিনিট- দারুণ প্রতিআক্রমণ হায়দরাবাদের
প্রতিআক্রমণে এটিকে মোহনবাগান গোল লক্ষ্য করে দারুণ আক্রমণ হেনেছিল হায়দরাবাদ। জোয়েল চিয়ানেজের ক্রস থেকে বল চলে আসে নিখিল পূজারির পায়ে। তাঁর হাফ শট- হাফ ক্রস মোহনবাগান গোলের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে সহজ সেভ করে বল হাত দিয়ে গোলের বাইরে বের করে দেন অমরিন্দর।
২৪ মিনিট- শুভাশিসের ব্লক
ম্যাচে প্রথম বড় সুযোগ পেল হায়দরাবাদ। নিজামের শহরের হয়ে মার্কি স্ট্রাইকারের শট অমরিন্দর সিংকে পরাস্ত করলেও গোলের মাঝে দাঁড়িয়েছিলেন মোহনবাগান ফুলব্যাক শুভাশিস বসু। তিনি বল ক্লিয়ার করে দেন।
২০ মিনিট- দারুণ সেভ কাট্টিমানির
এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের সামনে হায়দরাবাদ ডিফেন্সকে নড়বড়ে দেখাচ্ছে। পেনাল্টি বক্সে ফের একবার বল পেয়ে গিয়েছিলেন বৌমাস। তাঁর শট চিঙলেনসানার পায়ে লেগে প্রায় গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। তবে নিজের শরীর দারুণভাবে অ্যাডজাস্ট করে বিপরীতদিকে ঝাঁপিয়ে বল বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ গোলরক্ষক কাট্টিমানি।
১৮ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া বৌমাসের
ফের হায়দরাবাদ ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝিতে পেনাল্টি বক্সের একটু দূরে বল পায়ে পান প্রবীর। তাঁর ক্রস উইলিয়ামসের পায়ে লেগে বৌমাসের কাছে চলে আসে। তবে মাটিতে পা আটকে যাওয়ায় শট গোলে রাখতে পারেননি ফরাসি মিডফিল্ডার। বল গোলের বাইরে চলে যায়।
১৪ মিনিট-ফের ভুল হায়দরাবাদ ডিফেন্সের
হায়দরাবাদ ডিফেন্ডার চিঙলেনসানা মাঝমাঠে এসে বল পাস করার চেষ্ট করলে লিস্টন কোলাসো সেই পাস ব্লক করেন। বল ঘুরে চলে যায় মনবীর সিংয়ের পায়ে। তবে তাঁর ক্রস বড়ই হতাশাজনক ছিল। গোলের অনেক ওপর দিয়ে তা বেরিয়ে যায়।
১২ মিনিট- ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখলে প্রবীর
৫০-৫০ বলে উঁচুতে পা তুলে অনিকেত যাদবের বিরুদ্ধে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন এটিকে মোহনবাগান ফুলব্যাক প্রবীর দাস।
১০ মিনিট- ভাগ্যসহায়
আশিস রাইয়ের আজব ফ্রি-কিকে সরাসরি পেনাল্টি বক্সের ধারে উইলিয়ামসের পায়ে বল চলে যায়। অজি স্ট্রাইকারের পাস হুগো বৌমাসের কাছে পৌঁছে গেলেও, তাঁকে অফসাইড ঘোষণা করেন রেফারি। বলও পায়ে জড়িয়ে ফেলেন বৌমাস। নয়তো গোলকিপারের বিরুদ্ধে ১-১ দারুণ গোল করার সুযোগ ছিল তাঁর সামনে।
৮ মিনিট- আকাশ মিশ্রর ভাল ক্রস
বাঁ-দিকের উইং থেকে আকাশ মিশ্র এক দুর্ধর্ষ ক্রস বাড়ালেও ভাগ্যক্রমে হায়দরাবাদের কোন ফুটবলার কাছাকাছি ছিলেন না। নতুবা শুধুমাত্র পা লাগালেই এক গোলে এগিয়ে যেতেই পারত হায়দরাবাদ।
৫ মিনিট- ম্যাচ গোলশূন্য
এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ডেভিড উইলিয়ামসের দূরপাল্লার শট ছাড়া, তেমন গোলে শট নেয়নি কোন দলই। উইলিয়ামসের শটও গোলের অনেকটাই বাইরে দিয়ে চলে যায়।
শুরু হয়ে গেল চলতি ISL এর ৮৫তম ম্যাচ
বাঁশি বাজিয়ে খেলার শুরু করলেন রেফারি হরিশ কুণ্ডু। এই ম্যাচ জিতে শীর্ষস্থানে উঠতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান। তবে দলে রয় কৃষ্ণর না থাকায় মেরিনার্সরা বেশ হতাশ। প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি সন্দেশের।
ম্যাচ আয়োজনে তৈরি বাম্বোলিম
হায়দরাবাদ এফসির দল ঘোষণা
গত ম্যাচ থেকে মাত্র একটি বদল ঘটালেন হায়দরাবাদ কোচ ম্যানুয়েল মার্কেজ। প্রথম এগারোয় ফিরলেন চিঙলেনসানা সিং। হিতেশ শর্মা রয়েছেন বেঞ্চে।
এটিকে মোহনবাগানের দল ঘোষণা
মুম্বই ম্যাচের প্রথম ১১ থেকে পরিবর্তন করে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দল ঘোষনা করলেন জুয়ান ফেরান্দো। এটিকে মোহনবাগানের প্রথম এগারোয় ফিরলেন লেনি রডরিগেজ, প্রবীর দাস। বাদ পড়লেন দীপক টাঙরি, আশুতোষ মেহেতা।
শেষ সাক্ষাৎ
গত ম্যাচে ডেভিড উইলিয়ামস আইএসএলের ইতিহাসে দ্রুততম গোল এটিকে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেও বার্থোলোমিউ ওগবেচের গোলে প্রথমার্ধে সমতা ফেরায় হায়দরাবাদ। দ্বিতীয়ার্ধে আশিস রাইয়ের আত্মঘাতী গোলে সবুজ মেরুন এগিয়ে গেলেও, হাভি সিভোরিয়োর ৯১ মিনিটের গোলে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় হায়দরাবাদ এফসি। ম্যাচ শেষ হয়েছিল ২-২ স্কোরলাইনে।
হায়দরাবাদ এফসির সাম্প্রতিক ফর্ম
বিগত তিন ম্যাচ নাগাড়ে জিতেছে হায়দরাবাদ এফসি। তিন ম্যাচে ১২ গোল করেছে নিজামের শহর, গোল হজম করতে হয়েছে মাত্র দুটি। সব মিলিয়ে তুখর ফর্মে রয়েছে বর্তমানের লিগ লিডাররা। এই মুহূূর্তে ১৪ ম্যাচে খেলে মোহনবাগানের থেকে ছয় পয়েন্ট বেশি, ২৬ পয়েন্ট রয়েছে ওগবেচেদের দখলে। তবে ম্যাচ হারলেও তা কমে মাত্র তিন পয়েন্ট এসে দাঁড়াবে এবং মনে রাখতে মোহনবাগান, হায়দরাবাদের থেকে দুই ম্যাচ কম খেলেছে।
মোহনবাগানের সাম্প্রতিক ফর্ম
ডার্বিতে শেষ মুহূর্তে কিয়ান নাসিরির জোড়া গোলে জয়ের পরেই, ফের চিরাচরিত কাঁটা মুম্বই এফসির বিরুদ্ধে আটকে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। গত আট ম্যাচে জুয়ান ফেরান্দোর দল অপরাজিত বটে, তবে তার মধ্যে জয়ে এসেছে মাত্র তিনটি ম্যাচে। বর্তমানে ১২ ম্যাচ খেলে পাঁচটি জয়, পাঁচটি ড্র এবং দুই ম্যাচ হেরে, ২০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছয় নম্বরে সবুজ মেরুন।