শুভব্রত মুখার্জি: এএফসি কাপে এক গ্রুপে রয়েছে ভারতের দুই অন্যতম সেরা ক্লাব এটিকে মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম ম্যাচে এটিকে মোহনবাগানের কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল বেঙ্গালুরুকে। ফলে তারা দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য মরিয়া ছিল। কিন্তু সুনীলদের দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই খুশি থাকতে হল।
এএফসি কাপে আক্রমণ,প্রতি আক্রমণের ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিল দুই ক্লাব। দুই দল ম্যাচ থেকে সম্পূর্ণ পয়েন্ট লাভের জন্য মরিয়া ছিল। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি কোনও ক্লাব। ফলে দুই দলের মধ্যে ম্যাচটি শেষ হল অমীমাংসিতভাবে। মালদ্বীপের রাজধানী মালের রাশমি ধান্দু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দু'দল।
শনিবার এএফসি কাপের গ্রুপ 'ডি’র ম্যাচটি গোলশূন্য শেষ হয়েছে। ম্যাচ গোলশূন্য থাকায় জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারল না কিংস। অপরদিকে জয়ের মুখ দেখতে পেল না বেঙ্গালুরু। উল্লেখ্য মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশনের বিপক্ষে ২-০ গোলে তাদের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল বসুন্ধরা। ম্যাচ ড্র হওয়ার ফলে চলতি আসরে প্রথম পয়েন্ট পেল বেঙ্গালুরু এফসি।
প্রথমবার্ধে একবারই বেঙ্গালুরুর আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল কিংস গোলরক্ষককে। ইরোন্দু মুসাভু-কিংয়ের হেড আটকান আনিসুর রহমান জিকো। ৩২তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করে কিংস। ফার্নান্দেসের জোরালো শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন বেঙ্গালুরু এফসির গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং সান্ধু। প্রথমার্ধের শেষ দিকে রবিনহোর হেডে গোলমুখি বল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রাউল অস্কার বেসেরা। ফলে ০-০ অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫তম মিনিটে রবিনহোর শট গোললাইন থেকে ব্যাক ভলি করে ফেরায় বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলাররা। ৬২তম মিনিটে সুনীল ছেত্রির শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৭৩তম মিনিটে সুনীলের শট পাঞ্চ করে ফেরানোর পর কর্নার পায় বেঙ্গালুরু। কর্নারে অ্যালান এনরিকে কস্তার হেড পোস্টের ভিতরের দিকে লেগে গোললাইনের উপরে পড়ার পর বলটি বের করতে সমর্থ হন জিকো। ফলে কার্যত দোরগোড়ায় এসেও গোল করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। অবশেষে ম্যাচটি গোলশূন্য ভাবে ড্র হয়। এই ম্যাচের পরে দু ম্যাচে কিংসের পয়েন্ট দাঁড়াল ৪। সমান সংখ্যক ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির পয়েন্ট ১। আগামী মঙ্গলবার গ্রুপের ম্যাচে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে বসুন্ধরা কিংস।