ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যে ২-০ এগিয়ে গিয়েও ২ গোল হজম। অবশেষে ত্রাতা হলেন নিকো গঞ্জালেস। তাঁর গোলেই এলচেকে ৩-২ হারাল বার্সেলোনা। শনিবার ক্যাম্প ন্যু-তে লা লিগা তালিকায় নীচের দিকে থাকা দল এলচেকে হারিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল বার্সলোনা। যদিও বার্সেলো এখনও ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সাতেই থাকল।
শনিবার ম্যাচের একেবারে শুরুতেই বার্সার আক্রমণের ঝড়ে এলচের রক্ষণে কাঁপুনি ধরে যায়। ১৬ এবং ১৯- ৩মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে এলচেকে চাপে ফেলে দেয় তারা। ১৬ মিনিটের মাথায় ফেরান হুতগ্লা ১-০ করার ৩ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান বাড়ান গাভি। কিন্তু এই দুই গোলের পর চাপে পড়লেও হাল ছাড়েনি এলচে।
বিশেষ করে বিরতির পর তারা রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করে। বিরতিতে ২-০ এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে এলচে। ম্যাচের ৬২ এবং ৬৩ মিনিটে পরপর দু'টি গোল করে সমতা ফেরায় তারা। তেরে মোরেন্তে এবং পেরে মিলার গোলে ২-২ হয়ে যায় খেলার ফল। পাল্টা চাপ বাড়ে বার্সার। কিন্তু বার্সেলোনাকে শেষ হাসি হাসান নিকো গঞ্জালেস। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ৩-২ বার্সাকে এগিয়ে দেন তিনি। তার পর আর সমতা ফেরাতে পারেনি এলচে।
শনিবার ৩ পয়েন্ট পাওয়ার পাশাপাশি এক অনন্য নজির গড়ে বার্সেলোনা। ৭ বছর পর ফের তিন জন স্প্যানিশ ফুটবলার একই ম্য়াচে গোল করলেন। হুতগ্লা, গাভি, গঞ্জালেস, এই তিন স্প্যানিশ প্লেয়ারের আগে ২০১৪ সালে ওসাসুনার বিরুদ্ধে পেড্রো রডরিগেজ, আন্দ্রে ইনিয়েস্তা এবং ক্রিশ্চিয়ান তেলো গোল করে এই অনন্য রেকর্ড গড়েছিলেন।
এ দিকে বার্সেলোনা জিতলেও সেভিয়ার কাছে ১-২ হারল আটলেটিকো মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুতেই ৭ মিনিটে ইভান রাকিটিচের গোলে ১-০ করে সেভিয়া। বিরতির আগেই অবশ্য ৩৩ মিনিট নাগাদ সমতা ফেরান ফেলিপে। তবে ম্যাচের একেবারে শেষের দিকে ৮৮ মিনিটে সেভিয়ার লুকাস ওক্যাম্পোস জয়সূচক গোলটি করেন।