বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > ISL শেষ হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ঝামেলা প্রকাশ্যে

ISL শেষ হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ঝামেলা প্রকাশ্যে

ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।

বিনিয়োগকারী সংস্থার দাবি, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নাকি বৈঠকের দিনক্ষণই জানাচ্ছে না ইমামিকে। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের পাল্টা দাবি আবার, সদস্যদের সঙ্গে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বৈঠকের পর দিন থেকেই অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যে কোনও দিন তারা বৈঠক করতে রাজি রয়েছেন বলেই জানিয়েছিলেন ইমামিকে।

আইএসএল এখনও শেষও হয়নি। এর মাঝেই বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ঝামেলা প্রকাশ্যে চলে এল। ফের পরের মরশুম ঘিরে অশনি সঙ্কেত। মূল ঝামেলা লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে ইমামি কর্তাদের বৈঠকে বসা নিয়ে। বিনিয়োগকারী সংস্থার দাবি, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব নাকি বৈঠকের দিনক্ষণই জানাচ্ছে না ইমামিকে। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের পাল্টা দাবি আবার, সদস্যদের সঙ্গে ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বৈঠকের পর দিন থেকেই অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যে কোনও দিন তারা বৈঠক করতে রাজি রয়েছেন বলেই জানিয়েছিলেন ইমামিকে। মোদ্দা কথা এখন দুই পক্ষের মধ্যে চিঠি, পাল্টা চিঠির খেলা চলছে।

আরও পড়ুন: শুধু জরিমানা হবে কেরালার?২০১২ ডার্বিতে বাগানের দল তোলার শাস্তিরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে?

ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছিল, ইমামিকে চিঠি দিয়ে তারা বেশ কিছু ফুটবলারের নাম পাঠাচ্ছে, তাঁদের আগামী মরসুমে দলে নেওয়ার বিষয়ে। ইমামির তরফে এই চিঠির সত্যতা স্বীকার করে সোমবার তারা পাল্টা জানিয়েছে, ‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে ফুটবলারদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে যে খবর জানা গিয়েছে সেই প্রসঙ্গে আমরা জানাচ্ছি যে, ক্লাবের তরফে দেওয়া নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছার উপর নির্ভর করে কোচ বা ফুটবলার নেওয়া সম্ভব নয়। সেটার জন্য বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন। আমরা ভালো দল গড়ার জন্য সেটা করব। আমরা ক্লাবকে বার বার বৈঠকে বসতে বলেছি। কিন্তু কোনও তারিখ আমাদের দেওয়া হয়নি। মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগে আমরা এই বৈঠক করতে চাই। দল গঠন সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা ক্লাবকে অবশ্যই জানানো হবে।’

আরও পড়ুন: আমি রেফারিকে জিজ্ঞেস করেই ফ্রি-কিক নিয়েছি- বিতর্কিত গোল নিয়ে সোজাসাপ্টা সুনীল

ইমামির এই বার্তার কথা জেনে দেবব্রতবাবু পাল্টা বলেছেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমরা বৈঠক করতে চেয়েছিলাম। সেই চিঠিও ইমামিকে পাঠিয়েছিলাম। দলের খারাপ পারফরম্যান্সের কথা ভেবেই বৈঠক করতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তার উত্তর আজও পাইনি। কিছু দিন আগে আমাদের বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বৈঠক করার জন্য। সেই সময় আমরা জানিয়েছিলাম যে, সদস্যদের সঙ্গে আমাদের ১৮ ফেব্রুয়ারি বৈঠক রয়েছে। তার পর অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যে কোনও দিন বৈঠক করতে আমরা রাজি। এর পরেও যদি ওরা বলে যে আমাদের কাছে তারিখ পায়নি, তা হলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’

প্রসঙ্গত রবিবারই ইমামির আদিত্য আগরওয়াল এবং মনীশ গোয়েঙ্কাকে চিঠি দিয়েছিলেন লাল-হলুদ কর্তারা। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছিল, ‘এই মরশুমে লাল-হলুদের পারফরম্যান্স সমর্থকদের মন ভেঙে দিয়েছে। সেই কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সদস্য এবং কর্তারা মিলে কিছু ফুটবলারের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা বিদেশি এবং স্বদেশি ফুটবলারদের নিয়েই বানানো হয়েছে। এমন কিছু ফুটবলার হয়তো রয়েছেন, যাঁদের সঙ্গে অন্য ক্লাবের চুক্তি রয়েছে। ট্রান্সফার ফি দিয়েই নিতে হবে সেই ফুটবলারদের। আশা করব খুব তাড়াতাড়ি সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

বন্ধ করুন