জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া- দুই দল গ্রুপে অঘটন ঘটিয়েই শেষ ষোলোয় উঠেছিল। জাপানের মতো স্পেন, জার্মানি- দুই বড় শক্তিকে না হারালেও, একটি বড় শক্তিকে তো তারা হারিয়েই শেষ ষোলোয় জায়গা পাকা করেছিল কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া শেষ ম্যাচে হারিয়েছিল পর্তুগালের মতো দলকে। যে ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো প্রথম একাদশে খেলেছিলেন। তাদের হারিয়ে এসে বাড়িতে অক্সিজেন এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সাম্বা-ঝড়ে খুঁজেই পাওয়া গেল কোরিয়ানদের। তাদের ডিফেন্স যেন তাসের ঘরের মতোই এ দিন ভেঙে পড়ল। ভিনিসিয়াসকে দিয়ে শুরু। তার পর গোল করেন নেমার, রিচার্লিসন এবং লুকাস পাকুয়েতা। ইচ্ছে করলেই ব্যবধান বাড়াতে পারত ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে একটু গা-ছাড়া ফুটবলই খেলেছে তারা।
৪-১ জয় ছিনিয়ে নিল ব্রাজিল
আরও গোল করতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু সেই গোলে তারা করতে পারেনি। সে কারণে ব্যবধান বাড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে একটু গা ছেড়েই খেলছিল ব্রাজিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু এই সুযোগ বেশ কয়েকটি আক্রমণ তৈরি করেছিল। তার মধ্যে থেকেই তারা একটি গোল করে ফেলে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ব্রাজিল ৪-১ জিতে যায়।
গোওওওওওলললল- ব্যবধান কমাল দক্ষিণ কোরিয়া
৭৬ মিনিট: দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে উদ্বোধনী গোলটি করে পাইক সেউং-হো। ডিফ্লেকশন হয়ে নেটে গিয়ে জড়ায় তাঁর শট। ১-৪ করল দক্ষিণ কোরিয়া।
ব্রাজিলের সুযোগ নষ্ট
৬৬ মিনিট: রাফিনহ ডানদিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন। নিজে গোল করতে পারতেন, সেটা না করে তিনি ব্যাক পাস করে দেন রিচার্লিসনকে। পা ছোঁয়াতে পারলেই নিশ্চিত গোল ছিল। রিচার্লিসন পা-ই লাগাতে পারেনি। তার পর রেফারি অফসাইডের পতাকা তোলে। সুযোগের পর সুযোগ হারাচ্ছে ব্রাজিল। দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্য ভালো বলেই হবে।
আক্রমণের মেজাজে ব্রাজিল
৫৫ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্রাজিল দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। তারা আক্রমণাত্মক মেজাজেই রয়েছে। বেশ কিছু ভালো সুযোগ তারা তৈরি করেছিল। তবে কার্যকরী হয়নি সেগুলি। দক্ষিণ কোরিয়াও চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ আক্রমণে উঠতে। কিন্তু তাদের আক্রমণ দানাই বাঁধছে না।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ব্রাজিল কি আরও ব্যবধান বাড়াবে? নাকি খেলায় প্রত্যাবর্তন করবে দক্ষিণ কোরিয়া?
বিরতিতে ৪-০ এগিয়ে ব্রাজিল
৪-০ এগিয়ে থাকার পরেও বেশ কিছু ভালো গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু পারেনি গোল করতে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আরও গোল হবে, আশায় ব্রাজিলের সমর্থকেরা। প্রথমার্ধে ৪-০ এগিয়ে ব্রাজিল।
গোওওওওওওলললললল- চতুর্থ গোল ব্রাজিলের, এ বার পাকুয়েতা
ব্রাজিল যেন রুপকথার কাহিনী লিখছে! গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ক্যামরুনের কাচে হেরেছিল যে টিমটা, আর যে টিমটা দক্ষিণ কোরিয়াকে কাঁদিয়ে ছাড়ছে- তার মধ্যে তফাৎ অনেক। কী অসাধারণ ফুটবল ব্রাজিলের। পাকুয়েতার দুরন্ত একটি গোলে ৪-০ করল ব্রাজিল। তবে তাঁকে ভিনিসিয়াস যে ভাবে স্কুপ করে পাস বাড়িয়েছিলেন, সেটাও ছিল অনবদ্য।
গোওওওওওওললললললল- এ বার রিচার্লিসন- ৩-০ করে ফেলল ব্রাজিল
২৯ মিনিট: এ বার রিচার্লিসনের গোল। টিম গেম খেলছে ব্রাজিল। কাকে ছেড়ে, কাকে আটকাবে দক্ষিণ কোরিয়া? অসহায় লাগছে কোরিয়ানদের। ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ৩-০ করে ফেলল ব্রাজিল।
গোওওওওওললললল- ফের ব্রাজিল- নেইমারের গোলে ২-০
১৩ মিনিট: ব্রাজিলের লিড দ্বিগুণ করলেন নেইমার। বক্সের ভিতরে কোরিয়ার ডিফেন্ডার পিছন থেকে বাজে ভাবে ফাউল করেন রিচার্লিসনকে। পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। নেইমারের দুরন্ত শট বাঁচানোর ক্ষমতা ছিল না কোরিয়ান কিপারের। ২-০ করে ফেলল ব্রাজিল।
গোওওওওলললললল- ভিনিসিয়াসের গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল
৭ মিনিট: ভিনিসিয়াসের গোলষ ওপেন করল ব্করাজিল। রাফিনহার একটি দুর্দান্ত বপাস ধরে ভিনিসিয়াস ১-০ করেন। রিয়াল মাদ্রিদের তারকারও দুর্দান্ত স্ট্রাইক। ব্রাজিল ১-০ দক্ষিণ কোরিয়া।
খেলা শুরু, প্রথম একাদশে নেইমার
যেমনটা তিতে বলেছিলেন, প্রথম একাদশে খেলছেন নেইমার। যা দেখে উচ্ছ্বসিত ব্রাজিল সমর্থকেরা। নেইমার কি পারবেন ব্রাজিল সমর্থকদের স্বপ্ন পীরণ করতে?
কোরিয়ার হাল
বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করেছে। প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে শুরু করলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে ঘানার বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল কোরিয়াকে। তবে শেষ ম্যাচে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগালকে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পাকা করে কোরিয়া। নকআউট ব্রাজিলকে বিপাকে ফেলতে প্রস্তুত সনরা।
কোরিয়াকে সমীম করছে ব্রাজিল
শেষবার কোরিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ৫-১ গোলে জিতেছিল ব্রাজিল। তবে সেই জয়কে মাথায় না রেখে বিশ্বকাপের ম্যাচ সম্পুর্ণ আলাদা বলেই জানিয়েছেন ব্রাজিল অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। দক্ষিণ কোরিয়াকে যথেষ্ট সমীহ করে তিনি বলেছেন, ‘পরিকল্পনা তৈরি। শারীরিক এবং মানসিক ভাবেও এই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। ফ্রেন্ডলি ম্যাচে কী হয়েছিল, সেটা ভেবে খুশি থাকলে চলবে না। এটা বিশ্বকাপ। কঠিন গ্রুপ থেকে উঠে এসেছে কোরিয়া। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়েই আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
নেইমার সম্ভবত প্রথম একাদশে
ক্যামেরুন ম্যাচের পর অনুশীলন শুরু করেছেন নেইমার। বল পায়ে অনুশীলনে পুরোপুরি ফিট দেখিয়েছে তিতের দলের প্রধান তারকাকে। প্রথম একাদশে নেইমারকে রাখা নিয়ে জল্পনা জিইয়ে রেখেছেন ব্রাজিল কোচ। তবে যা খবর, প্রথম একাদশে নেইমারকে রেখেই দল সাজাতে চলেছেন তিতে। পাশাপাশি শেষ ম্যাচে ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে হার নিয়েও খুব একটা চিন্তিত নয় ব্রাজিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কোরিয়ার বিরুদ্ধ পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই নামতে চলেছে সাম্বা ব্রিগেড।
চুলের রং বদলে নামছেন নেইমার
চোট সারিয়ে আজই নকআউট পর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে একদম নতুন লুকে মাঠে নামবেন নেইমার। তাই নতুন করে নিজের চুলের রংও পাল্টে ফেলেছেন ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। মাঠে নামার আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন নেইমার। তাই চুলের রংয়েও হয়তো এনেছেন এই পরিবর্তন। কাতার বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেই চুলে নতুন ছাঁট দিয়েছিলেন নেইমার। সার্বিয়া ম্যাচে তাঁকে সেই ছাঁটেই দেখা গিয়েছিল। শেষ ষোলোয় ফেরার আগে নিজের হেয়ার স্টাইলিস্ট নারিকোর কাছে যান নেইমার। এবার বদলেছেন চুলের রং। তাঁর এই নতুন লুকের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন নারিকো। নেইমারের বহু বছরের ব্যক্তিগত এই হেয়ার স্টাইলিস্ট ইনস্টাগ্রামে নেইমার এবং তাঁর ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ফেরার জন্য নতুন লুক। সৃষ্টিকর্তা তোমার এবং দলের প্রতি সহায় হোন।’ চুলের রং তো বদলে ফেললেন, কিন্তু পারবেন কি মাঠে রং ছড়াতে? উত্তর দেবে সময়।