কলকাতা লিগে দাপট দেখিয়ে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। বুধবার তারা তাদের জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে পৌঁছে গেল গ্রুপ লিগের শীর্ষে। এদিন রেলওয়ে এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল লাল-হলুদ ব্রিগেড। দলের হয়ে গোল দু'টি করেছেন মুশারফ এবং আদিল।
চোট সমস্যায় রীতিমতো জর্জরিত লাল-হলুদ শিবির। চোটের জন্য অনুশীলনই করতে পারছেন না সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণুরা। এদিন তাঁরা খেলতেও পারেননি। তবু দাপটের সঙ্গে জিতেছে লাল-হলুদ। প্রথম দলের অনেক ফুটবলারই এদিন ছিলেন না। তবে এদিন আগাগোড়া আধিপত্য বজায় রেখেই খেলল ইস্টবেঙ্গল এফসি। রেল তাদের স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী শুরু থেকেই ডিফেন্সিভ মানসিকতা বজায় রেখেছিল। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধের লাল হলুদের আক্রমণের ঝাঁজ ছিল একটু বেশি।
খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর নজরে পড়ার জন্যও এদিন লাল-হলুদের ফুটবলারদের মধ্যে ভালো খেলার তাগিদ ছিল। তার ফল পেল দল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেছিলেন মহম্মদ মুশারফ। তবে গোলটি হয়েছে মূলত রেলের গোলকিপারের দোষে। মুশারফের সেন্টারের ফ্লাইট বুঝতেই পারেননি তিনি। এক রকম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হজম করেন রেলের কিপার। যদিও এই একটি ক্ষেত্র বাদে গোটা ম্যাচে তিন-চারটি দুরন্ত সেভ করেন তিনি। যার ফলে কিন্তু বড় লজ্জার মুখে পড়তে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। বিশেষ করে তন্ময় দাসের একটি গোলমুখী শট তিনি শরীর ছুড়ে বাঁচান।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ বিদেশি নিয়ে মুখ খুললেন কুয়াদ্রাত, ইস্টবেঙ্গল কোচের পাখির চোখ এবার ISL শিরোপা
দ্বিতীয় গোলটি হয় বিরতির পর। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদের হয়ে ব্যবধান বৃদ্ধি করেন আদিল। বাঁ দিক থেকে ভেসে আসা সেন্টার প্রতিপক্ষের গোলের সামনে পান তিনি। গোল করতে ভুল করেননি তরুণ ফুটবলার। রেলওয়ে এফসি অবশ্য এদিনের ম্যাচে লাল হলুদের গোলকিপার আদিত্য পাত্রকে তেমন পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারেননি।
বুধবারের জয়ের ফলে ৬ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতল লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট এখন ১৬। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ভবানীপুরেরও সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। গোলপার্থক্যে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন বিনো জর্জের ছেলেরা।
এদিকে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে আইএসএল নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ক্লেটন সিলভা। গত বারের চেয়ে যে তাঁদের দল এ বার অনেক ভালো হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। কলকাতায় ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এই মরশুমে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা গত মরশুমের চেয়ে বেশি। আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা নতুন খেলোয়াড়দের সাথে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারব। আমরা এই মরশুমে খুব ভালো ভালো খেলোয়াড়দের পেয়েছি। আমাদের যে রকম দল হয়েছে, তাতে গোলের সংখ্যা অবশ্যই বাড়া উচিত। কিন্তু গোল করার সঙ্গে সঙ্গে গোল আটকাতেও হবে আমাদের। এটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলে এই দিকটাতেও গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।