যে দলকে ছয় গোল দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, সেই দলের কাছে আটকে গেল মোহনবাগান। মঙ্গলবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ১-১ ড্র করে, ফের কলকাতা লিগে পয়েন্ট নষ্ট করে নিজেদের চাপ বাড়াল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এদিন একেবারেই খেলতে পারেনি মোহনবাগান। জোড়া পেনাল্টি সহ একাধিক গোলের সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয়েছে মেরিনার্সদের। এদিন রীতিমতো ছন্নছাড়া, অগোছালো লেগেছে বাগানকে।
চলতি ঘরোয়া লিগে একেবারেই ছন্দহীন সবুজ-মেরুন শিবির। লিগের শুরু থেকেই বিশ্রি ফুটবল খেলছে বাগান ব্রিগেড। ডার্বিতেও বাজে ভাবে হেরেছে। আগের ম্যাচে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে কোনও ক্রমে জয়ে ফিরলেও, সুপার সিক্সে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত সবুজ-মেরুনকে। কিন্তু কোথায় সেই তাগিদ! উল্টে একের পর এক পেনাল্টি নষ্ট করে বসল তারা। কলকাতা লিগকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না মোহনবাগান কর্তারা। আর সেটার প্রভাবই যেন পড়েছে ফুটবলারদের খেলাতেও।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ বিদেশি নিয়ে মুখ খুললেন কুয়াদ্রাত, ইস্টবেঙ্গল কোচের পাখির চোখ এবার ISL শিরোপা
তবে ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল রাখার চেষ্টা করছিল মোহনবাগান। কিন্তু পুলিশের বুটের জালে আটকে যাচ্ছিল সবুজ-মেরুনের যাবতীয় জারিজুরি। ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে থেকে শট গোলে রাখতে পারেননি এঙ্গসন সিং। তবে মোহনবাগান কিন্তু অনবরত আক্রমণ করে যাচ্ছিল। আর পুলিশের পুরো টিম রক্ষণ সামলে চলেছিল।
ম্যাচের ৩২ মিনিটের মাথায় একটি ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। মোহনবাগানের টংসিনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সাহিল শেখের। টংসিনকে মাঠের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।সাহিলকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এর কয়েক মিনিট পরেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ৪০ মিনিটে ফারদিন আলি মোল্লার কর্নার থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন সুহেল। তার পরে লাফিয়ে উঠে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কায়দায় উচ্ছ্বাস করেন তিনি।
আরও পড়ুন: টেকনিক্যাল কমিটিকে অন্ধকারে রেখেই কোচ বাছাই, রেগে লাল বাইচুং, দিলেন ইস্তফা
৪৪ মিনিটে প্রথম পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। সুহেলকে বক্সের মধ্যে ফাউল করা হয়। কিন্তু ফারদিনের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন পুলিশ গোলকিপার মহীদুল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। এ বার বক্সের মধ্যে লেওয়ান কাস্তানাকে ফাউল করা হয়। ফারদিনের বদলে এ বার পেনাল্টি নিয়েছিলেন অধিনায়ক অভিষেক সূর্যবংশী। তিনিও বারের উপর দিয়ে শট উড়িয়ে দেন। এদিকে ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সমতা ফেরায় পুলিশ। পুলিশের হয়ে গোল করেন রবি দাস।
লিগে মোহনবাগানের অবস্থা ভাল নয়। তারা লিগের প্রথম তিনটি ম্যাচে জয় পায়নি। ডার্বিতেও হেরেছে জোড়া গোলে। দলের গোয়ানিজ কোচ কার্ডেজোর পারফরম্যান্সে খুশি নন কর্তারা। সেই কারণেই বাগানের অনুশীলনে দেখা গিয়েছে বাস্তব রায়কে। তিনিই হয়তো শেষমেশ দলের দায়িত্ব নেবেন বলে খবর।
এদিকে লিগের অন্য ম্যাচে পিয়ারলেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে দেয় ভবানীপুর। ভবানীপুরের হয়ে গোল করলেন জোজো, জিতেন মুর্মু এবং উমের মুথার। আপাতত ভবানীপুর গ্রুপের শীর্ষস্থানেই রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।