উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ভিলারিয়ালের বিপক্ষে বরাবরই ফেভারিট ছিল লিভারপুল। তবে নিজেদের গত দুই টাইয়ে জুভেন্তাস এবং বায়ার্ন মিউনিখকে ছিটকে দেওয়া স্প্যানিশ ক্লাবকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। তাই লিভারপুল ম্যাচে ফেভারিট হিসাবে নামলেও, ভিলারিয়ালের কেউই সম্পূর্ণভাবে বাদের তালিকায় রাখেননি।
তবে ম্যাচে আক্রমণের দিক থেকে ভিলারিয়ালকে খুব বেশি কিছু করতে দেখা গেল না। খাতায় কলমে অনেক শক্তিশালী লিভারপুল গোটা ম্যাচেই নিজেদের দাপট দেখিয়ে ২-০ ম্যাচ নিজেদের নামে করে। কিন্তু ভিলারিয়ালের আক্রমণ আহামরি পারফর্ম না করলেও, জমাটি রক্ষণের বিরুদ্ধে লিভারপুলের এই দুই গোল করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হল। গোটা প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও, গোল করতে ব্যর্থ হয় লিভারপুলের বিখ্যাত আক্রমণ বিভাগ।
প্রথমার্ধে সাদিও মানে মহম্মদ সালাহর ক্রস থেকে অর্ধের সেরা সুযোগটি পান। তাঁর রানটি দারুণ হলেও, ভুল সময়ে লাফিয়ে বলের ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি তিনি। বল অল্পের জন্য গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়। থিয়াগো আলকান্তারা এক অসাধারণ দূরপাল্লার শট নেন, যা ভিলারিয়াল গোলরক্ষক রুলিকে পরাস্ত করলেও, বারে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে গোল না পাওয়ার পর, দ্বিতীয়ার্ধে আরও উদ্যম নিয়ে আক্রমণ শুরু করে লিভারপুল। ফ্যাবিনহোর গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হলেও, ৫৩ মিনিটে জর্ডন হেন্ডারসনের ক্রস আটকাতে গিয়ে ভিলারিয়াল লেফট ব্যাক পার্ভিস এস্টুপিনান আত্মঘাতী গোল করে রেডসদের এগিয়ে দেন।
৫৫ মিনিটে সালাহর ঠিকানা লেখা পাস থেকে তুখড় রান নিয়ে রুলিকে পরাস্ত করে ম্যাচে লিভারপুলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন মানে। এটি শেষ সাত ম্যাচে মানের ষষ্ঠ গোল। প্রসঙ্গত, এই গোলের জেরে মানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নক আউটে ১৪ গোল করে ফেললেন, যা আফ্রিকান ফুটবলারদের মধ্যে (দ্রোগবার সঙ্গে যুগ্মভাবে) সর্বোচ্চ। রেডসদের জয় পেতে দুই মিনিটে এই দুই গোলই যথেষ্ট ছিল। স্পেনে পরের সপ্তাহে বড় কোনো অঘটন ছাড়া প্যারিসে লিভারপুলের ফাইনাল যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।