ভিলারিয়ালের মাঠে মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল লিভারপুল। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে আগে থেকেই এগিয়ে ছিল ক্লপের ছেলেরা। দুই লেগ মিলে ৫-২ গোলে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল লিভারপুল। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মধ্যে যে কোনও একটি দল। যেই দল জিতবে ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হবে লিভারপুল।
তবে মঙ্গলবার রাতের সেমিফাইনালের শুরুটা ভাল হয়নি লিভারুপুলের। শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল লিভারপুর। তৃতীয় মিনিটেই ভিলারিয়ালকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড বোলায়ে দিয়া। এরপর প্রথমার্থ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ম্যাচের ৪১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছিলেন ফ্রান্সিস কোকেলিন। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল ভিলারিয়াল।
সেই সময় বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে উঠেছিল ভিলারিয়ালের সমর্থকেরা। ক্লাবের ইতিহাসে তারা কখনও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেনি ভিলারিয়াল। তাই এমেরির হাত ধরে তখন ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ভিয়ারিয়ালের ভক্তরা। কারণ সামগ্রিকভাবে তখম দুই লিগ মিলিয়ে ২-২ সমতায় ছিল দুই দল। এই লড়াই তখন যে কোনও দিকেই যাওয়ার সম্ভবনা ছিল।
তবে বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজেদের চমক দেখাতে থাকেন তাঁরা। ম্যাচের ১২ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে লিভারপুল প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠেই ভিলারিয়ালকে উড়িয়ে দেয়। ম্যাচের ৬২তম মিনিটেমহাম্মদ সালাহর পাস ধরে গোল করেন ফাবিনিয়ো। এর চার মিনিট পর আবারও গোল করেন কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড দিয়াস। ৭৪তম মিনিটে প্রতিপক্ষের গোলকিপারের ভুলে গোল করেন সাদিও মানে। অর্থাৎ ১২ মিনিটের ম্যাজিকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে নেয় লিভারপুল। এই ১২ মিনিটেই শেষ হয়ে যায় ভিলারিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।