ইস্টবেঙ্গল তাঁকে অধিনায়ক করেননি, এই আক্ষেপটা সারা জীবন তাঁর থেকে গিয়েছিল। তবে লাল-হলুদের প্রতি আবেগ-ভালবাসা এতটুকু কমেনি চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের। সেমাবার শেষ বারের মতো ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
সেখানেই তাঁকে ক্লাবের তরফে শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ফুটবলার এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসও। মোহনবাগানের তরফেও শ্রদ্ধা জানানো হয় তারকা এই ডিফেন্ডারকে। তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে এবং দুঃখপ্রকাশ ইস্টবেঙ্গলের পতাকাও অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল।
৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনই রবিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ছিলেন চিন্ময়। ষাটের দশকের কলকাতা ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি।
প্রথমে বাটা ক্লাবে খেলা শুরু করেছিলেন। সেখানে থেকে আসেন জর্জ টেলিগ্রাফে। ৭৪ সালে সাব্বির আলির নেতৃত্বে এশিয়ার এক যুব টুর্নামেন্টে ইরানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার ছিলেন চিন্ময়।
তাঁর খেলায় মুগ্ধ হয়ে ৭৫ সালে মোহনবাগান তাঁকে সই করায়। কিন্তু পরের বছরেই ইস্টবেঙ্গলে চলে যান চিন্ময়। সেখানে টানা চার বছর খেলার পর কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ৮০ সালে সই করেন মহমেডানে। ৮১-তে মহমেডানকে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রাইট ব্যাকে খেলা চিন্ময়।
এর পর ফের ইস্টবেঙ্গলে আসেন তিনি। এমন কী ৮৬ সালে দলের ফুটবলার হওয়ার পাশাপাশি লাল-হলুদের সহকারী কোচের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। বাংলাকে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করতেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন চিন্ময়। ৭৮-এ ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য ছিলেন চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।