Clashes Between Football Fans In Guinea: গিনিতে ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, মৃত কমপক্ষে ১০০!

গিনিতে ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে দু'দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ। মৃত্যু কমপক্ষে ১০০ জনের। আরও বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।

গিনিতে এক ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়াল সমর্থকরা। যার জেরে মৃত্যু হল প্রায় শতাধিক জনের। মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর নজেরেকরে। হাসপাতাল সূত্রে AFP-কে যেই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তা শুনে এটি একটি গণহত্যা বলে মনে হবে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, পুরো ঘটনার সূত্রপাত হয় রেফারির এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে।

স্থানীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, গিনির সামরিক নেতা তথা প্রেসিডেন্ট মামাদি দোম্বুয়ার উদ্দেশ্যে একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্টের এক ম্যাচ দেখার জন্য স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিলেন ফুটবল ভক্তরা। সেখানেই ম্যাচ চলাকালীন রেফারির এক সিদ্ধান্ত ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয় দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে। এরপর একটা সময় ভয়াবহ রূপ নেয় সেই অশান্তি। রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। খেলা চলাকালীনই মাঠে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। 

ক্রমেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। জানা গিয়েছে, শুধু ঝামেলা মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না । একটা সময়ে সেই উন্মত্ত সমর্থকরা স্থানীয় থানায় গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার পর থেকেই একের পর এক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে স্টেডিয়াম চত্বর থেকে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে স্তূপ আকারে জমতে শুরু করেছে মৃতদেহ। বিষয়টি নিয়ে কাউকে কোনও মুখ খুলতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার বলেছেন, ‘যতদূর চোখ যাচ্ছে হাসপাতালে শুধুই মৃতদেহ। এখন এমন পর্যায় যে দেহ মেঝেতে ফেলে রাখতে হচ্ছে। মর্গে কোনও জায়গা নেই। প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।’ তবে হাসপাতালের অন্য একটি সূত্র দাবি করছে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনায়। কিন্তু ঘটনার ছবি সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছে। যদিও এখনও সে দেশের সরকারের তরফে কোনও সরকারি বিবৃতি জারি করা হয়নি মৃতের সংখ্যা নিয়ে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গিনির প্রধানমন্ত্রী।

ফুটবল মাঠে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম ঘটনার একাধিক নিদর্শন রয়েছে। আমাদের কলকাতা ফুটবলেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ডার্বিকেও ঘিরেও একাধিকবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্টেডিয়ামে। কিন্তু ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে এরকম খুনোখুনি কবে হয়েছে তা মনে করা মুশকিল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও।