কোপা আমেরিকা জুড়ে এখন শুধুই করোনা আতঙ্ক। টুর্নামেন্ট চললেও ফুটবলার থেকে দলের প্রতিটি সদস্য, প্রত্যেকের মধ্যেই একটা ভীতি কাজ করছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্য়াটা প্রতিদিন হুহু করে বাড়ছে। ৬৫ থেকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটা একলাফে পৌঁছে গিয়েছে ৮২-তে।
ফুটবল পাগল ব্রাজিলের এখন একেবারেই মন নেই কোপায়। করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে তারা ক্লান্ত। ব্রাজিল থেকে মার্কোস ফালোপা বলছিলেন, ‘ব্রাজিল ভাল খেলছে। নেইমার দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। কিন্তু এ সব নিয়ে আর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করার মতোও মনের অবস্থা নেই ব্রাজিলের। প্রত্যেকেই করোনা আতঙ্কে কাঁপছে।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘সব ফুটবলারও তো আতঙ্কেই রয়েছে। প্রত্যেকের মনেই ভয় কাজ করছে। সত্যি কথা বলতে, এই পরিস্থিতিতে, এখানে টুর্নামেন্ট করার কোনও যৌক্তিকতা ছিল না।’
ব্রাজিল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোপার সঙ্গে যুক্ত সদস্যদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে ৮২-তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জন ফুটবলার রয়েছে। কোপায় অংশগ্রহণকারী দশ দলের মধ্যে পাঁচ দলেই করোনা হানা দিয়েছে। এই দলগুলির মধ্যে রয়েছে ভেনিজুয়েলা, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, পেরু এবং চিলি।
এ দিকে ব্রাজিলের পারফরম্যান্সে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফালোপা বলেছেন, ‘ব্রাজিল তো পেরুর সঙ্গে এক তরফাই খেলল। আমার বরাবরই বাজি ছিল ব্রাজিল। আমি কোপা নেইমারদের হাতেই দেখতে পাচ্ছি।’
নেইমারকে খুব কাছ থেকে চেনেন ফালোপা। নেইমার যে রকম ছন্দে রয়েছে তাতে তিনি উচ্ছ্বসিত। বলছিলেনও, ‘নেইমার যে রকম খেলছে, তাতে বিপক্ষ দলগুলোর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সবচেয়ে ভাল লাগছে, ওর মধ্যে অসম্ভব একাট খিদে দেখতে পাচ্ছি। নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলেছে ও। ওর আবেগ, ফুটবলের প্রতি ওর ভালবাসাই প্রতি মুহূর্তে প্রকাশ পায়। নেইমারের পারফরম্যান্সের কারণেই এ বার ব্রাজিলকে কোপায় আরও একটু বেশি এগিয়ে রাখছি। আমাদের পরের ম্যাচ কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও ব্রাজিলই এগিয়ে।’
পরে অবশ্য এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘কোপা ঠিকঠাক চললে কাপ আমি ব্রাজিলের হাতেই দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু করোনার দাপটে এই টুর্নামেন্ট শেষ করা যাবে তো? পুরো পরিস্থিতি দেখেই এই প্রশ্নটা মনে আসছে বারবার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।