তিন দিনেক আগে ব্রাজিল ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল যে দলটা, তারাই ফের লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াল। কলম্বিয়াকে ২-১ হারিয়ে কোপার ভেসে থাকল তারা। তবে দু'দলের মধ্যে নিঃসন্দেহে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। তবে কলম্বিয়ার রক্ষণের ভুলে শেষ হাসি হাসল পেরুই।
ধারেভারে সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। তার উপর আবার ব্রাজিলের কাছে যে দলটি ৪-০ উড়ে গিয়েছিল, তাদের আত্মবিশ্বাস তলানিতে থাকার কথা ছিল। তবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বোধহয় প্রত্যেকেই পাল্টা আক্রমণের পথই বেছে নেয়। যেমনটা নিয়ছিল পেরু। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল তারা। তার ফলও তারা হাতেনাতেই পায়। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় পেরুকে ১-০ এগিয়ে দেন সার্খিয়ো পেনা।
পিছিয়ে পড়ার পরে যে কলম্বিয়া গোল শোধের চেষ্টা করেনি, তা নয়। কিন্তু প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে থাকে পেরু। বিরতির পরেই অবশ্য সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কলম্বিয়া। পেরুর গোলকিপার পেড্রো গালিসেরে ভুলে পেনাল্টি পায় কলম্বিয়া। পেনাল্টি থেকে গোলশোধ করতে কোনও ভুল করেননি মিগুয়েল বোর্খা।
কিন্তু গোলশোধের ১১ মিনিট পরেই কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ভুলেই ২-১ এগিয়ে যায় পেরু। ইয়েরি মিনা আত্মঘাতী গোল করে বসে। স্বভাবিক ভাবেই চাপে পড়ে যায় কলম্বিয়া। এর পর ম্যাচের বাকি সময়ে এই গোল আর শোধ করে উঠতে পারেনি তারা।
এ দিন বল পজেশনে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কলম্বিয়া। তবে পেরুর কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে আক্রমণের ঝাঁজটা ঠিক সামলাতে পারেনি কলম্বিয়ার রক্ষণ। মূলত রক্ষণের ভুলেই ডুবতে হল কলম্বিয়াকে।
ভারতীয় সময়ে সোমবার ভোরে পেরুর কাছে হেরে বেশ কিছুটা চাপেই পড়ে গেল কলম্বিয়া। ৩ ম্যাচের মধ্যে তারা জয় পেল মাত্র একটিতে। এর আগে একটি ম্যাচ তারা ড্র করেছিল। স্বাভাবিক ভাবে ৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। রয়েছে ‘এ’ গ্রুপ তালিকার দুই নম্বরে। পেরু আবার কোপায় প্রথম জয় পেল। এর আগে ব্রাজিলের সঙ্গে ম্যাচ খেলেছে তারা। সেই ম্যাচে বাজে ভাবে হেরেছিল। এ দিন জিতে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে কলম্বিয়ার ঠিক পরে তিনে রয়েছে পেরু। এই গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। ২ে ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।