বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচে রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। শুরু থেকেই প্রত্যাশা ছিল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এই ম্যাচেই একচ্ছত্রভাবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলদাতার রেকর্ড নিজের নামে করবেন। সমর্থকদের হতাশ করেননি পর্তুগিজ মহাতারকা।
ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথাতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় পর্তুগাল। তবে আশ্চর্যজনকভাবে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন রোনাল্ডো। যখন সবাই একপ্রকার ধরেই নিয়েছিল এই ম্যাচে হয়তো তাদের প্রিয় তারকার নজির গড়া হবে না, ঠিক তখনই জ্বলে উঠেন তিনি। ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে জোড়া গোল করে আদি দাইয়ের ১০৯ গোলের রেকর্ড তো ভাঙেনই, উপরন্তু নিজের ১১০ ও ১১১তম গোলের মাধ্যমে পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পর্তুগালকেও জয় এনে দেন।
জাতীয় দলের হয়ে এই অনন্য কৃতিত্ব গড়া তাঁর কাছে যে কতটা অর্থবহ, তা ম্যাচের পর নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান রোনাল্ডো। তিনি লেখেন, ‘আমি অনেক নজির গড়েছি, ভেঙেছি। তবে এই নজিরটা নিঃসন্দেহে আমার কৃতিত্বগুলোর মধ্যে একেবারে ওপরের সারিতে থাকবে, যা আমায় ভীষণ গর্বিত করে। পর্তুগালের হয়ে ১১১টি গোল করার অর্থ হল আজকের রাতের মতো ১১১টি মুহূর্তের অভিজ্ঞতা লাভ, যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য পর্তুগিজদের আনন্দ প্রদান করে। ওদের জন্য আমার সব ত্যাগই যথার্থ।’
রোনাল্ডো এইবারের ইউরোতেই প্রথম ফুটবলার হিসাবে পাঁচটি সংস্করণে খেলার কৃতিত্ব গড়েছেন। পরের বছর আসন্ন বিশ্বকাপে খেললে সেটি হবে তাঁর পঞ্চম বিশ্বকাপ। তবে ৩৬ বছরের রোনাল্ডোকে আর কতদিন খেলতে দেখা যাবে, সেই নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই মনে করছেন কাতার বিশ্বকাপই রোনাল্ডোর শেষ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হতে চলেছে।
তবে চূড়ান্ত ফিট পর্তুগিজ মহাতারকার যে এখনই থামার কোন ইচ্ছা নেই, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে একই পোস্টে। নিজের সতীর্থদের তাঁর এই সফরে সঙ্গী হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে রোনাল্ডো জা, ‘আমার এই সফরকে অবিস্মরণীয় করে তোলার জন্য আমার সকল পর্তুগিজ সতীর্থদের অসংখ্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতেও এমনভাবেই পিচের মাঝে আবারও বারবার আমাদের দেখা হবে। এমন এখনই পরিংখ্যানের খাতাটা বন্ধ করে দিতে ইচ্ছুক নই।’
পর্তুগাল এরপরে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ কাতারের বিরুদ্ধে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) একটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে মুখোমুখি হবে। তারপর মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আজারবাইজানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতাপর্বের ম্যাচ দিয়ে এবারের আন্তর্জাতিক বিরতির সমাপ্তি ঘটাবে। এই দুই ম্যাচে ১১১টার সঙ্গে যেন আরও কিছু গোল যোগ হয়, সেই আশায় করবেন পর্তুুগিজ সমর্থক তথা সিআর৭ অনুগামীরা।