Fifa World Cup 2022: ইউসেফ এন-নাসেইরির গোল দেখে হতভম্ব রোনাল্ডো

ইউসেফ এন-নাসেইরির গোলই রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্নকে চুরমার করে দেয়। তাঁর গোল দেখে মুগ্ধ রোনাল্ডো।

দেখুন রোলান্ডোর প্রতিক্রিয়া

শনিবার পর্তুগালকে হারিয়ে দিয়ে চমকে দিয়েছে মরক্কো। এবারের বিশ্বকাপে অঘটনের পর অঘটন ঘটেই চলেছে। ইতিহাসে প্রথমবার ফিফা বিশ্বকাপে আফ্রিকান দল মরক্কো সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে, তাও আবার ক্রিশ্চয়ানো রোনাল্ডোর দলকে হারিয়ে। মরক্কো প্রতিপক্ষ দলকে পর্তুগালকে একটি গোলেরও সুযোগ দেয়নি।

এবারের বিশ্বকােপের পর আর এই মঞ্চে দেখা যাবে না রোনাল্ডোকে। বিশ্বকাপে এটাই শেষ ম্যাচ হিসেবে ধরা হচ্ছে। কিন্তু তিনি এখনও অবসরের কথা জানাননি। মরক্কোর আগে সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছয় গোল করেছিল পর্তুগাল। রোনাল্ডোর সমর্থকরা ভেবেছিল এবার হয়ত সেমিফাইনালে উঠবে। তাই খেলার শুরু থেকেই ছিল একটা টান টান উত্তেজনা। কিন্তু পর্তুগিজ সমর্থকদের আশায় পুরোপুরি ভাবে জল ঢেলে দেন মরক্কোর ইউসেফ এন-নেসেইরি। তাঁর গোলে বিদায় নেয় পর্তুগিজরা।

বিশ্বকাপে এবার শুধু ইউরোপ নয়। দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার দলও শেষ চারে আছে। পর্তুগালের হয়ে রোনাল্ডো প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। ২০০৬ সালে রোনাল্ডাে সেমিফাইনালে উঠেছিল। তারপর চারটে বিশ্বকাপে আর শেষ চারে ওঠা হল না। বিশ্বকাপে ট্র্যাজেডির নায়ক হয়ে থাকলেন রোনান্ডাে। এবছর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে চমক মরক্কো, আর্জেন্টিনা, ক্রোয়েশিয়া।

প্রথমার্ধের শেষের দিকে ইউসেফ এন-নাসেইরির একটি দুর্দান্ত হেড শেষ পর্যন্ত মরক্কোর জন্য জয়সূচক গোল হিসেবে থেকে যায়। ইউসেফ এন-নাসেইরির গোলই রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন কে চুরমার করে দেন। নাসেইরির গোল দেখে অবাক হন রোনাল্ডোও। পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস পরপর দুটি ম্যাচে রোলান্ডোকে প্রথম একাদশে জায়গা দেয়নি। মরক্কো ম্যাচে শেষের দিকে রোলান্ডো কে নামানো হলেও গোলের মুখ দেখতে ব্যর্থ হন তিনি। নির্ধারিত সময়ের শেষ ১০ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেলেও তা প্রতিহত করেন মরক্কোর গোলকিপার।

সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রোলান্ডোর। চোখের জলে মাঠ ছাড়েন সিআর সেভেন। ম্যাচ শেষে পর্তুগাল খেলোয়াড় বার্নার্ডো সিলভা বলেন হতাশা, ‘দুঃখ আছে। আমরা বিশ্বাস করেছিলাম যে টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত যেতে পারবো দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব হয়নি।, আমরা সকল পর্তুগিজদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’