প্রথমার্ধে মাঠে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই বদলে দিলেন চিত্রটা। উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে জেতালেন সিআরসেভেন। প্রথমার্ধে গোল খেয়ে বসেছিল রবার্তো মার্তিনেজের পর্তুগাল। স্কটল্যান্ড দল বিক্ষিপ্তভাবে আক্রমণ করলেও বেশ চাপেই রেখেছিল পর্তুগিজদের। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রোনাল্ডো মাঠে নামতেই বদলে গেল চিত্রটা। সমতাসূচক গোল পেতে খুব বেশিক্ষণ দেরি করতে হল না তাঁদের। জেতালেনও সেই রোনাল্ডোই। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথমবার গোল করলেন সিআরসেভেন। তাঁর ফুটবল কেরিয়ারের এটি ৯০১তম গোল। চলতি মরশুমে ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে ৬টি ম্যাচেই গোল করলেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
ম্যাচের ৭ মিনিটেই ম্যাকলিনের পাস থেকে গোল করেন পর্তুগালের ঘরের মাঠে স্কটল্যান্ডকে এগিয়ে দেন ম্যাকটোমিনে। সেই লিড প্রথমার্ধ পর্যন্ত ধরে রাখে স্কটিশরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোনাল্ডো নামতেই ফালাফালা হয়ে যায় স্কটল্যান্ডের রক্ষণ। সেই সুযোগেই রাফায়েল লিয়াওর পাস থেকে গোল করে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান ম্যান ইউতে খেলা ফুটবলার ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
ম্যাচে এরপর টানা আক্রমণ করতে থাকে পর্তুগাল। গোটা ম্যাচে মোট ২৬টি শট নেয় তাঁরা, এর মধ্যে ৭টি শট গোলমুখী। অবশেষে কাঙ্খিত গোল আসে ৮৮ মিনিটে। নুনো মেন্ডেসের পাস থেকে কিছুটা ডিফ্লেক্ট হওয়া বল রোনাল্ডোর কাছে আসতেই পা ছুঁইয়ে তা গোলে ঢুকিয়ে দেন সিআরসেভেন। অসম্ভব রিফ্লেক্স অ্যাকশন দেখান গোলের সামনে, কারণ একটু এদিক ওদিক হলেই বল গায়ে লেগে অন্যদিকেও চলে যেতে পারত। সেই গোলের সুবাদেই পর্তুগালের পক্ষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-১। এই ফল বজায় রেখেই উয়েফা নেশনস লিগের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেল পর্তুগাল। তাঁদের পয়েন্ট এখন ২ ম্যাচে ৬।
কদিন আগে নিজের ১০০০ গোল করার ইচ্ছার কথাটা যে একেবারেই হাওয়ায় ভাসানো অবিশ্বাস্য কথা ছিল না, সেটাই গোল করে চূড়ান্ত ফিটনেসের নমুনা রেখে বুঝিয়ে দিলেন সিআরসেভেন। জাতীয় দলের জার্সিতে নিজের ৩০ বছর বয়সের পর এই নিয়ে ৮০টি গোল করে ফেললেন রোনাল্ডো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।