বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > জার্সি জালিয়াতির অভিযোগ রোনাল্ডোর দাদার বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে পড়লেন তারকা নিজেও

জার্সি জালিয়াতির অভিযোগ রোনাল্ডোর দাদার বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে পড়লেন তারকা নিজেও

দাদা হুগো ডস স্যান্টোস আভেইরোর সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।

বিনা অনুমতিতেই হুগো অনলাইনে জুভেন্তাসের জার্সি বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। রোনাল্ডোর ছবি এবং সই থাকায় দেদার সেই জার্সি বিকোচ্ছিল ভক্তদের মধ্যে। তবে এর জেরেই রীতিমতো বিপাকে পড়ে পেগাসো নামে হুগোর সংস্থা। আর এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন রোনাল্ডো নিজেও।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বড় ভাই, হুগো ডস স্যান্টোস আভেইরো এ বার টি-শার্ট জালিয়াতি বিতর্কে সরাসরি জড়িয়ে পড়লেন। ইতালির পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস কর্তৃক জুভেন্তাসের জাল জার্সির মামলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে রোনাল্ডোর দাদার বিরুদ্ধে।

Corriere dello Sport-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় অনুমতি ও লাইসেন্স ছাড়াই রোনাল্ডোর ছবি এবং সই ব্যবহার করে জুভেন্তাসের টি-শার্ট বিক্রির জন্য হুগো এখন আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন।

বিনা অনুমতিতেই হুগো অনলাইনে জুভেন্তাসের জার্সি বিক্রির ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। রোনাল্ডোর ছবি এবং সই থাকায় দেদার সেই জার্সি বিকোচ্ছিল ভক্তদের মধ্যে। তবে এর জেরেই রীতিমতো বিপাকে পড়ে পেগাসো নামে হুগোর সংস্থা। বিশ্ব জুড়ে এমন কাণ্ড হয়তো অনেকেই করছেন। আইনি জটিলতাতে পড়লেও সেই সব সংস্থা খবরে আসে না। এ ক্ষেত্রে যেহেতু রোনাল্ডোর দাদা জড়িত, তাই এই বিতর্ক ডালপালা মেলেছে। শুধু জার্সি জালিয়াতি কাণ্ডে যে হুগোর নাম জড়িয়েছে তাই নয়, জড়িয়ে গিয়েছে সিআর সেভেনের নামও।

ঘটনা প্রথম নজরে আসে ২০১৯ সালে। তখন রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালির ক্লাব জুভেন্তাসে যোগ দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেই সময়েই দেখা যায় তুরিনের ক্লাবের জার্সি হুগোর সংস্থা পেগাসো অনলাইনে বিক্রি করছে। বিশ্বের যে কোনও বড় ক্লাব তাদের জার্সির পেটেন্ট নিয়ে রাখে। জার্সি বিক্রি করতে গেলে অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু জুভেন্তাসের কাছ থেকে কোনও অনুমতিই নেননি রোনাল্ডোর দাদা। তার উপর তিনি ব্যবহার করছিলেন রোনাল্ডোর ছবি ও সই। এতে তৈরি হয় জটিলতা।

২০১৯ সালেই হুগোর সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। Corriere dello Sports-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, জার্সি জালিয়াতি যে হয়েছে, সন্দেহ নেই। তবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কিনা, তা অবশ্য এখনও জানা হয়নি। কিন্তু দাদার এমন কাণ্ডে রোনাল্ডো নিজেও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছেন।

২০১৯ সালের পর রোনাল্ডোর জীবনে অনেক বদল এসেছে। জুভেন্তাস তাঁকে আর রাখতে চায়নি। ইতালির ক্লাব থেকে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু পুরনো ক্লাবে ফেরাটা খুব একটা সুখের হয়নি। সেই ক্লাব ছেড়ে রোনাল্ডো এখন সৌদি আরবে আল নাসেরের জার্সিতে খেলছেন। ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই ক্লাবের সঙ্গে রোনাল্ডোর চুক্তি রয়েছে।

মূলত কোচ এরিক টেন হ্যাগের সঙ্গেই তাঁর ঝামেলার কারণে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে হয় রোনাল্ডোকে। কোচের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে দেয় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যে কারণে কাতার বিশ্বকাপের পর সৌদির ক্লাব আল নাসেরে যোগ দেন সিআরসেভেন। রোনাল্ডো আল নাসেরে যোগ দেওয়ায় সৌদি আরবের ফুটবল লিগে জোয়ার এসেছে। কিন্তু মাঠ ও মাঠের বাইরের বিতর্ক যে কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না রোনাল্ডোর।

বন্ধ করুন