গোটা ম্যাচে অনেকগুলো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি মরক্কো। যার খেসারত তাদের ম্যাচ হেরে দিতে হল। সেমিফাইনালে উঠেই ইতিহাস লিখেছিল তারা। তবে সেই ইতিহাস আরও সমৃদ্ধ করা হল না মরক্কোর। তৃতীয় স্থানের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া জিতল ২-১ ব্যবধানে। গোল করলেন ভার্দিয়ল এবং মিরোস্লাভ ওরসিচ। মরক্কোর হয়ে একমাত্র গোলটি আচরফ দারির। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আবার তৃতীয় স্থানে শেষ করল ক্রোয়েশিয়া।
জিতল ক্রোয়েশিয়া, বিশ্বকাপে ফের তৃতীয় মদ্রিচরা
ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপটা তো থাকবেই। তবে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থানের লড়াইয়ের ম্যাচ আর হাতছাড়া করেনি। মরক্কোকে ২-১ হারিয়ে তৃতীয় স্থান দখল করে তারা। ১৯৯৮ সালেও বিশ্বকাপে তৃতীয় হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। গত বারের রানার্সরা শেষটা কিছুটা হলেও মধুর করল।
৮৫ মিনিট হয়ে গেল, সমতা ফেরাতে পারেনি মরক্কো
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। তবে ক্রোয়েশিয়া অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। মরক্কো অবশ্য কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে গোলের চেষ্টা করছে। কিন্তু এখনও সমতা ফেরাতে পারেনি মরক্কো।
ক্রোয়েশিয়ার পরিবর্তন
৬০ মিনিট: ক্র্যামারিচকে তুলে নেওয়া হল। তিনি ছন্দে ছিলেন না। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন তিনি। তাঁর পরিবর্তে মাঠে এলেন নিকোলা ভ্লাসিচ।
প্রথম পরিবর্তন
৫৬ মিনিট: মরক্কোর প্রথম পরিবর্তন। অভিষেককারী বিলাল এল খানৌসকে তুলে আজজেদিন ওনাহিকে নামানো হল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। মরক্কোকে ইতিহাস লিখতে হলে বিরতির পর তাদের এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে সময় যত গড়াবে, তত চাপ বাড়বে।
বিরতিতে এগিয়ে ক্রোয়েশিয়া
বিরতিতে খেলার ফল ক্রোটদের পক্ষে ২-১। প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সমতা ফেরায় মরক্কো। ফের বিরতির আগে লিড বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া।
গোওওওওওললললল- ২-১ করল ক্রোটরা
৪২ মিনিট: ফের লিড বাড়াল ক্রোয়েশিয়া। ওরসিচের গোলে বিরতির আগে ২-১ করল ক্রোটরা।
হাকিমি এবং জিয়াচ জাদু
২৯ মিনিট: ওহ একটি গোলের বড় সুযোগ নষ্ট মরক্কোর। এন-নেসিরি একটু বেশি দৌড়ে ফেলেছিলেন এবং হাকিমির ক্রস তাঁর পিছনে চলে যায়। হাকিমি এবং জিয়াচ চমৎকার ওয়ান-টু খেলে ডানদিক দিয়ে উপরে ওঠে। হাকিমি একটি নিচু ক্রস বাড়ান। কিন্তু এন-নেসিরি অল্পের জন্য মিস করে যান। তিনি ঠিক জায়গায় থাকলে নিশ্চিত গোল ছিল।
আক্রমণাত্মক ক্রোয়েশিয়া
২৫ মিনিট: ক্রোয়েশিয়া পুরো আক্রমণের মেজাজে। আর রক্ষণে বুটের জাল তৈরি করে রেখেছে মরক্কো। ক্রোয়েশিয়াই কিন্তু গোলের জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। কিন্তু আপাতত খেলার ফল ১-১।
গোওওওলললললল- সমতা ফেরাল মরক্কো
৯ মিনিট: দুরন্ত গোল মরক্কোর। গোল খাওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যেই গোলশোধ। আচরফ দারি গোল করে ১-১ করলেন। এবং এ ক্ষেত্রেও একটি ফ্রি-কিক থেকে গোল তৈরি হয়েছে। জিয়েচ ডানদিকে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বলপাঠায়। মদ্রিচ অজান্তেই ক্রোয়েশিয়ান গোলের দিকে এগিয়ে যায় এটিকে ক্লিয়ার করার প্রয়াসে, দারি বলটি পেয়ে লিভাকোভিচকে কাটিয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি।
গোওওওওললললল- ১-০ এগিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া
৬ মিনিট: একটি দুর্দান্ত সেট-পিস থেকে গোল। ক্রোয়েশিয়া ১-০ এগিয়ে গেল। ক্রোয়েশিয়ার জন্য বাঁ-দিক থেকে ফ্রি-কিক নেন মদ্রিচ। পেরিসিচের এটিকে বক্সের ভিতর নিয়ে যান। আর ভার্দিওল এটিকে হেডারে জালে জড়ান।
খেলা শুরু
কাতারে তৃতীয় পজিশনের ম্যাচের লড়াই শুরু। মুখোমুখি হয়েছে ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো। কারা জিতবে এই বাজি?
দ্বৈরথের ইতিহাস
কাতার বিশ্বকাপে এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো একে অন্যের মুখোমুখি হবে মরক্কো-ক্রোয়েশিয়া। গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায় গোলশূন্য ড্র-তে নিষ্পত্তি হয়েছিল ম্যাচের ফলাফল। এই বিশ্বকাপের আগে একবারই ক্রোয়েশিয়া-মরক্কো মুখোমুখি হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে কিং হাসান ইন্টারন্যাশনাল কাপের সেমিফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ে ২-২ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৭-৬ জিতেছিল ক্রোটরা।
ক্রোয়েশিয়ার চ্যালেঞ্জ
অন্য দিকে, এই ম্যাচটা ক্রোয়েশিয়ার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাদেরই নয়, বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের বিশ্বকাপে এটিই শেষ ম্যাচ। তাই মরক্কোর বিপক্ষে এই ম্য়াচ জিতে মাথা উঁচু করে টুর্নামেন্ট শেষ করাই লক্ষ্য গত বারের রানার্সআপদের। এর আগে একবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণকারী ম্যাচ খেলেছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালের ওই ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল ক্রোটরা।
মরক্কোর প্রাপ্তি
আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করেছিল মরক্কো। তাদের স্বপ্নের দৌড় থামে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমিতে হেরে। তাতে অবশ্য মরক্কোর কৃতিত্ব কমে যায় না। এ বারের বিশ্বকাপে চমক, রূপকথার গল্প, ইতিহাস- সব তাদের নামে। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচেও মর্যাদার লড়াইয়ে নামবে মরক্কো। বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থানও মরক্কোর কাছে বড় প্রাপ্তির হবে। এ বারের আসরে সেমিফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের কোনও খেলোয়াড় মরক্কোর জালে বল পাঠাতে পারেনি। আগের পাঁচ ম্যাচ তারা গোল খেয়েছিল একটি। গ্রুপ পর্বে কানাডার বিপক্ষে ওই গোলটি ছিল আত্মঘাতী।
দুই দলের লক্ষ্য
প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনার কাছে ৩-০ গোলে হেরে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে লুকা মদ্রিচদের। অন্যদিকে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে থেমেছে এ বারের বিশ্বকাপে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলেছে অ্যাটলাস লায়ন্সরা। প্রত্যাশার চেয়েও এ বার অনেক বেশি অর্জন করেছে ওয়ালিদ রেগ্রাগুইয়ের দল।তবে কাতারে শেষ ম্যাচকে গুরুত্বহীন মনে করতে চান না মরক্কোর কোচ। ওয়ালিদ বলেন, ‘যদি অন্য কিছু হত এবং আমরা ফাইনালে খেলতাম, তা হলে ভালো লাগত। তবে এখন আমাদের আর একটা ম্যাচ খেলতে হবে। আমি জানি চতুর্থ হয়ে শেষ করার থেকে তৃতীয় হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’ ক্রোয়েশিয়ার কোচ দালিচও এই ম্যাচকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এটা বড় ফাইনাল। বড় ম্যাচ এবং মেডেলের জন্য লড়াই।’ এখন দেখার মদ্রিচ বনাম হাকিমির যুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসে!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।