শুভব্রত মুখার্জি: ∆ আর্জেন্টিনা:- ৩ ∆ ইতালি :- ০
বছরের শেষ দিকে কাতারে বসতে চলতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। সম্ভবত বিশ্ব ফুটবলের দুই তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসির এটাই শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে কতটা প্রস্তুত রাখছেন মেসি তার ঝলক তিনি যেন দিয়ে গেলেন ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। তথাকথিত শক্তিশালী ইতালির ডিফেন্সকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করলেন। সতীর্থদের জন্য তৈরি করে দিলেন একের পর এক গোল করার সুযোগ। ফলস্বরুপ ইতালিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ‘ফাইনালিসিমা’ জিতল আর্জেন্তিনা। কোপার পর মেসির জাতীয় দলের হয়ে ফের এক আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। এটি তার কেরিয়ার ৪০তম ট্রফি।
ম্যাচে ইতালির খেলা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ইউরো চ্যাম্পিয়ন হওয়া সত্ত্বেও তারা কেন পরপর দুবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে ব্যর্থ। তাদের গর্বের ডিফেন্সের সমস্ত ফাঁকফোকর উন্মুক্ত করে দিলেন একা মেসি। অ্যাটাকিং থার্ডে আর্জেন্তিনার ডিফেন্সের উপর কোন চাপ তৈরি করতেই পারল না ইতালির মিডফিল্ডার বা স্ট্রাইকাররা। গোলে দোন্নারুম্মা দেওয়াল না তুললে ০-৩ ফলে লজ্জার হারের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
গোটা ম্যাচ জুড়েই ইতালির উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলল আর্জেন্তিনা। প্রথমার্ধেই দুটি গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় স্কালোনির দল। ভারতীয় সময় বুধবার রাত ১২:১৫ মিনিটে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ‘ফাইনালিসিমা’র ম্যাচে ইতালিকে ৩-০ ব্যবধানে হারাল আর্জেন্তিনা। ম্যাচটি ছিল সদ্য ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিরুদ্ধে সদ্য কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনার লড়াই। সেই ম্যাচে চ্যাম্পিয়নের মতো খেলল আর্জেন্তিনা দল। লাতিন আমেরিকার দলটির হয়ে গোল করেছেন লাউতারো মার্তিনেজ, অ্যাঞ্জেল ডি'মারিয়া ও দিবালা। ম্যাচ জয়ের ফলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩২ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকল আর্জেন্তিনা।
দ্বিতীয় বারের মত ইউরো সেরা ও লাতিন সেরার ম্যাচে দ্বিতীয়বারও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আর্জেন্তিনা। এর আগ ১৯৯৩ সালে ডেনমার্কের বিপক্ষে জিতেছিল আলবেসেলিস্তারা। সেবার মারাদোনার পরে এবার মেসির হাতে শোভা পেল ট্রফি। ২৮ মিনিটে বক্সের বাঁদিক থেকে লিওনেল মেসির বাড়ানো পাসে গোলমুখে পা লাগিয়ে গোল করেন লাউতারো মার্তিনেজ। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ব্যবধান বাড়ান অ্যাঞ্জেল ডি'মারিয়া। লাউতারো মার্তিনেজের থেকে পাওয়া বল গোলকিপার দোন্নারুম্মার মাথার উপর দিয়ে চিপ গোল করেন মারিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধেও দোন্নারুমা তিন-চারটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। না হলে ব্যবধান আর ও বাড়তে পারত। শেষ মুহুর্তে তৃতীয় গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা পাউলো দিবালা। তার গোল কার্যত ইতালির কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দিয়ে আর্জেন্তিনার বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে।