এবার দিয়েগো মারাদোনার 'হ্যান্ড অব গড'-এর সেই বল অকশনে বিক্রি হল দুই মিলিয়ন ইউরোয় (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭ কোটি টাকা)। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক গোলটি করেছিলেনন মারাদোনা। অধিনায়ক হিসেবে সেই বছর বিশ্বকাপও জিতেছিলেন।
নিলামে অ্যাডিডাসের সেই সাদা আজটিকা বলের দাম তিন মিলিয়ন ইউরো হতে পারে আশা করা হয়েছিল। যে বলের মালিক ছিলেন তিউনিশিয়ার রেফারি আলি বিন নাসের।
মাসছয়েক আগেই মারাদোনার জার্সি নিলাম হয়েছিল। যে জার্সিটি মারাদোনা মেক্সিকোতে ১৯৮৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পড়েছিলেন। জার্সিটি বিক্রি হয়েছিল ৯.৩ মিলিয়ন ডলারে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের সেই বলটি তৈরি করা হয়েছিল আজটিক সভ্যতার মূর্তি এবং চিত্রপটগুলিকে মাথায় রেখে। পুরো ৯০ মিনিট ওই বলে খেলেছিলেন আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ড। যে ম্যাচে রাজনৈতিক উত্তাপও ছিল। ১৯৮২ সালেই ফকল্যান্ড যুদ্ধ হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতেই মারাদোনার দুটি ঐতিহাসিক গোল করেছিসেন।
প্রথম গোলের ক্ষেত্রে মারাদোনা ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন। পিটার শিল্টনের সঙ্গেই বলের জন্য উপরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এবং মুঠো করা হাতে বলটিকে গোলের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড হ্যান্ডবলের আবেদন করলেও তা গ্রাহ্য করেননি রেফারি। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মারাদোনা নিজেই এই গোলটিকে 'হ্যান্ড অব গড' নাম দিয়েছিলেন। এই গোলটির কয়েক মিনিট পরেই মারাদোনা ইংল্যান্ডের পাঁচ জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন গোলের দিকে। পিটার শিল্টনকেও কাটিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। ২০০২ ফিফা পোল অনুযায়ী, এই গোলটিকে 'শতাব্দীর সেরা গোল' ছিল। সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জিতে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা।
উল্লেখ্য, কোয়ার্টার ফাইনালে মারাদোনার জার্সির প্রর্দশিত হবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে। পরবর্তীতে বিন নাসের বলেছিলেন, ‘প্রথমে আমি ভাল করে দেখতে পাইনি যে ওটা হ্যান্ডবল ছিল। মারাদোনা এবং শিল্টন, দু’জনেই আমার দিকে পিঠ করে ছিলেন।' তিনি যোগ করেন, 'আমি আমার লাইনসম্যানের দিকেও তাকিয়ে ছিলাম যে তিনি যদি কিছু বলেন। তিনি কোনও আপত্তি দেখাননি সেদিন।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।