গত বছর থেকে ক্ষতটা তাজা ছিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। ডুরান্ডের ফাইনালে হারের যন্ত্রণাটা যেন সাদা-কালো ব্রিগেডকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে ২০২২ ডুরান্ড কাপ ফাইনালের মধুর বদলা নিল মহমেডান স্পোর্টিং। পিছিয়ে পড়েও শেষ বাজি মাত করল আন্দ্রে চেরনিশভের টিম। এফসি গোয়ার বিদেশিহীন দলকে পেয়ে ৩-১ কার্যত উড়িয়ে দিল মহমেডান।
বিদেশি ছাড়াই ডুরান্ড কাপ খেলতে এসেছে গোয়ার টিমটি। এ দিকে মার্কাস জোসেফ, ওসমান এবং নুরুদ্দিন দারবানভ- তিন বিদেশিকে রেখেই দল সাজিয়েছিলেন সাদা-কালোর রাশিয়ান কোচ। প্রথমার্ধে ঘ্যানঘ্যানে ফুটবল। তবে তার মাঝেই ৩৫ মিনিটে মুহম্মদ নেমিলের গোলে এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। ০-১ পিছিয়েই প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়েন সাদা-কালো ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: ফের আনলাইনে পাওয়া যাবে ডুরান্ডের ডার্বির টিকিট, কী ভাবে সংগ্রহ করবেন?
তবে বিরতির পর মহমেডানের যেন অন্য রুপ। পাল্লা দিয়ে পেরেই উঠছিল না গোয়া। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় কলকাতার দলটি। বাঁদিক থেকে ফেইজ মাইনাস করলে প্রীতম সিং গোল করতে ভুল করেননি। এর পর গোপী, ফেইজ এবং জোসেফ সহজ সুযোগ না হারালে অনেক আগেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারত মহমেডান। বোলের বহু সুযোগ তৈরি করলেও, ব্যবধান বাড়াতে সময় নিয়ে নেয় ব্ল্যাক প্যান্থারা। ম্যাচের ৭৮ মিনিট পরিবর্ত হিসেবে নামা দুই ফুটবলার আভাস এবং ফজলুরহমানের দুরন্ত কম্বিনেশনে ২-১ করে সাদা কালো শিবির।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে প্রস্তুতি ম্যাচ ভেস্তে গেল মোগনবাগানের, তবে থামল না Remove ATK আন্দোলন
আর ইনজুরি টাইমে গোয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন জোসেফ (৩-১)। গত বার এই যুবভারতীতেই গোয়ার কাছে ফাইনালে হেরে ডুরান্ড জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। এ বার সেই যুবভারতীতেই মধুর প্রতিশোধ নিল ব্ল্যাক প্যান্থাররা।
তবে ম্যাচ জিতলেও খুশি নন সাদা-কালো কোচ। তাঁর মতে, দল নিজেদের সেরা ছন্দে খেলতে পারেনি। তবে তিনি আশাবাদী, দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই আরও বেশি আক্রমণাত্মক এবং পজেটিভ ফুটবল উপহার দেবে মহমেডান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।