বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > Durand Cup 2023: পেনাল্টিটা কি ছিল? রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু মোহনবাগান ও এফসি গোয়া কোচের লড়াই

Durand Cup 2023: পেনাল্টিটা কি ছিল? রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু মোহনবাগান ও এফসি গোয়া কোচের লড়াই

পেনাল্টি নিয়ে শুরু বিতর্ক, মোহনবাগান ও এফসি গোয়া কোচের কথার লড়াই (ছবি-এক্স)

বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইালে উঠতেই যেন মোহনবাগান সমর্থকদের উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। গ্যালারিতে নানা পোস্টার দেখা যায়। সেখানেই ভেসে ওঠে ‘এই মাঠেই বদলা নেব’। ভারতীয় ফুটবল মহল যখন ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতার ডার্বি নিয়ে ভাবছে তখনই যেন শুরু হয়ে গেল এক কথার লড়াই।

বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে এফসি গোয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড কাপের ফাইালে উঠতেই যেন মোহনবাগান সমর্থকদের উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। গ্যালারিতে নানা পোস্টার দেখা যায়। সেখানেই ভেসে ওঠে ‘এই মাঠেই বদলা নেব’। ভারতীয় ফুটবল মহল যখন ডুরান্ড ফাইনালে কলকাতার ডার্বি নিয়ে ভাবছে তখনই যেন শুরু হয়ে গেল এক কথার লড়াই। মোহনবাগানের পেনাল্টি নিয়ে শুরু হয়ে গেল মাঠের বাইরের যুদ্ধ। ডার্বির আগে মোহনবাগান ও এফসি গোয়ার কোচের মধ্যেই যেন লড়াই লেগে গেল। আসলে এদিন মোহনবাগান যে পেনাল্টিটি পেয়েছিল সেটিকে বৈধ মানতে চান না এফসি গোয়ার কোচ। তাঁর মতে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে মোহবাগান। অন্যদিকে এর জবাবে এফসি গোয়র কোচকে অতীতের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মোহনবাগানের কোচ।

এদিনের ম্যাচ হেরে বিস্ফোরণ মেজাজে ছিলেন এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজের। ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এফসি গোয়ার কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। মুখ খুলব কি খুলব না করে বিস্ফোরক মন্তব্য এফসি গোয়ার স্প্যানিশ কোচের। এফসি গোয়া কোচ মানোলো মার্কুয়েজ বললেন, ‘রেফারিং নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটাই ভারতীয় ফুটবল। ভারতে প্রথম কোচিং করাচ্ছি না। এর সঙ্গে আমরা পরিচিত। এ আর নতুন কী! পুরোটাই যেন স্বাভাবিক ঘটনা। শুধু এই ম্যাচ কেন, আইএসএল ফাইনালেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে সুবিধা পেয়েছিল মোহনবাগান।’

মার্কুয়েজের এই মন্তব্য নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। পেনাল্টি সিদ্ধান্ত প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রেফারির ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলতে চাই না। গোয়া কোচের অনেক কিছু মনে হতেই পারে। গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে আমাদেরও জনি কাউকো চোট পেয়েছিল ট্যাকেলে। সে বারও রেফারি সেটা ফাউল মনে হয়নি। আমরা এসব নিয়ে ভাবতে চাই না। এই ম্যাচেও তাই পেনাল্টি নিয়ে আলাদা করে কিছু বলতে চাই না।’

আসলে এই ঘটনাটি ঘটেছিল ম্যাচের ৩৮ মিনিটের মাথায়। বল নিয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন মোহনবাগানের আশিক কুরুনিয়ান। তাঁকে আটকানোর শেষ চেষ্টা করেন এফসি গোয়ার ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত। তবে আশিককে আটকাতে গিয়েই ভুল করে বসেন জয়। আশিককে সামলাতে না পেরে তাঁর পায়ে মারেন এফসি গোয়ার ফুটবলার। সেই কনট্যাক্ট হওয়ার পরে আশিক বক্সের ভিতরে গিয়ে পড়েন। যদিও পরে রিপ্লেতে দেখা যায় য ট্যাকলটি বক্সের বাইরে হয়েছিল। তবে আশিকের বুদ্ধিতে পেনাল্টি আদায় করতে চায় মোহনবাগান। এরপরে ফ্রি-কিক নাকি পেনাল্টি এই নিয়ে রেফারি এবং সহকারী রেফারির মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেখান থেকে গোল করে সমতা ফেরানোর জেসন কামিন্স। তব এই সিদ্ধান্ত নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এখন সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে ফাইনালের দিকেই তাকাচ্ছে মোহনবাগান।

বন্ধ করুন