বেঙ্গালুরুর মাঠে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এবারের আইএসএলে আপাতত ছয়টি ম্যাচ খেলেছে লাল-হলুদ বাহিনী। তারইমধ্যে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বিতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ইস্টবেঙ্গল সমর্থক জয়শংকর ঘোষের। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের জয় তাঁকেই উৎসর্গ করলেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের পর সাংবাদিক বৈঠকে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, ‘দলের এই জয়ে অত্যন্ত খুশি।' তাঁর বক্তব্য, এই জয় দলের প্রয়োজন ছিল। শুধু খেয়োয়াড়দের জন্য নয়, সমর্থকদের জন্যেও। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, 'এই জয় আমাদের প্রয়াত সমর্থক জয়শংকরের জন্য। ওঁর স্ত্রী-কন্যা রয়েছে। এই জয় আমরা ওঁকে উৎসর্গ করছি।'
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে জয়ের পর কনস্ট্যান্টাইন বলেন, 'আমি খুব খুশি। এমন নয় যে দল হারলে আমি খুব হতাশ হই বা জিতলে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ি। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ দল মাঠে ভালো ফুটবল খেলছে কিনা। এদিন আমরা ভাল ফুটবল খেলেছি। এবং যোগ্য দল হিসেবেই জয় হাসিল করেছি। এর আগেও আমি বলেছিলাম যে এটা নতুন দল। সময় দেওয়া প্রয়োজন। আমাদের জয় প্রমাণ করল আমরা ঠিক দিকেই পা বাড়িয়েছি।'
গত শুক্রবার বেঙ্গালুরুর মাঠে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। নিঃসন্দেহে এটা বড় প্রাপ্তি লাল-হলুদের। জয়ে ফিরে স্বস্তি পায় লাল-হলুদ। তবে বেঙ্গালুরুর গোল না করতে পারার রোগের কারণেই শেষ হাসি হাসে কনস্ট্যান্টাইনের দল। তারা যে খুব ভালো খেলছে, এমনটা বলা যাবে না। নওরেম এবং ক্লিটনের যুগলবন্দিতে গোলটা পেয়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ, তার জেরে তারা তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে। এই জয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়বে ইস্টবেঙ্গলের। এই জয়ের পর অষ্টম স্থানে উঠে আসে ইস্টবেঙ্গল।
বেঙ্গালুরুর মাঠে সেই জয়ের ফলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সমর্থকরা। ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ে দুই সমর্থকের কান্নার সেই ছবি। 'ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাজের' ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয় যে ওই দুইজনের একজন ইস্টবেঙ্গল আল্ট্রাজের ক্যাপো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।