ডুরান্ড কাপে যে রোগটা প্রকট হয়ে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের, কলকাতা লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও সেই রোগই চাপে ফেলল লাল-হলুদকে। গোল না করার খেসারত তাদের দিতে হল খিদিপুর এসসি-র সঙ্গে ড্র করে। নিঃসন্দেহে যা লাল-হলুদের কাছে লিগের শুরুতেই বড় ধাক্কা।
ইস্টবেঙ্গল এ দিন রিজার্ভ টিমকে খেলিয়েছে। আসলে কলকাতা লিগের জন্য মূলত রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়ারদেরই খেলানোর ভাবনা বরাবরই ছিল লাল-হলুদের। সেই মতো তারা কলকাতা লিগের জন্য আলাদা টিমও তৈরি করেছে। স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের বদলে কোচের চেয়ার থাকছেন বিনো জর্জ। পুরো আলাদা সেট আপ নিয়ে কলকাতা লিগ খেলতে নেমেছিল লাল-হলুদ। তবে রিজার্ভ দলেরও গোল না করার রোগটাই থেকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কলঙ্কিত ভারতীয় ফুটবল-রক্তে মরফিনের নমুনা মেলায় ২বছর নির্বাসিত ATK MB-র প্রাক্তনী
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়াররাই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন। তাঁদের মুহুর্মুহু আক্রমণে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল খিদিরপুরের ডিফেন্স। কিন্তু গোলের মুখ তারা কিছুতেই খুলতে পারেনি। অন্তত তিন বার গোলের সহজ সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। তবে ওই গোল নষ্ট করার ভুলটা কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেও প্রকট হয়ে উঠল।
মহলয়ার দুপুরে নৈহাটি স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগের সুপার সিক্স পর্যায়ের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল-খিদিরপুর। বল পজেশনে বরাবরই এগিয়ে ছিল লাল-হলুদ। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। জালে তারা বল জড়াতেই পারেনি। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে একটি ফ্রি-কিক পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে সেই সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। গোল শূন্য ভাবে প্রথমার্ধে শেষ হয়। আর এতেই বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যায় খিদিরপুর।
আরও পড়ুন: কলকাতা লিগকে বাড়তি গুরুত্ব ইস্টবেঙ্গলের, ভিন রাজ্য থেকে ৬ ফুটবলার নিল লাল-হলুদ
যে কারণে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় খিদিরপুর। ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে সমস্যায় ফেলে বেশ কয়েক বার গোলের সুযোগ তারা তৈরি করেছিল। তবে খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারেনি তারা। গোল লক্ষ্য করে দশটি শট মারে খিদিরপুর। অন্য দিকে, ইস্টবেঙ্গলের গোলমুখী শটের সংখ্যা ১৪। কিন্তু বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন খিদিরপুরের গোলকিপার প্রিয়ন্ত সিং। আর প্রিয়ন্তের গ্লাভেসই আটকে গেল লাল-হলুদ। গোলশূন্য ড্র করার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাদের।
একাধিক গোল নষ্টে দ্বিতীয়ার্ধের একটা সময় অশান্ত হয়ে ওঠে গ্যালারি। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় তৎক্ষণাৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ম্যাচ শেষে বিনো জর্জ অজুহাতের সুরে বলেন, ‘কেরলের ফুটবলাররা সবে ২-৩ দিন হল দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এখনও ঠিক ভাবে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পায়নি। আমরা এখনও এগারো বনাম এগারো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাইনি। তাই কম্বিনেশন গড়ে ওঠেনি। খেলতে খেলতে দল ছন্দে চলে আসবে। তা সত্ত্বেও কয়েক জন তরুণ ছেলে ভালো খেলেছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই খেলব।’ বুধবার এরিয়ানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।