ইন্ডিয়ান সুপার লিগের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। লাগাতার ব্যর্থতার জেরে কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কার্লস কুয়াদ্রাত। তবে লাভের লাভ যে কিছু হয়নি তা বোঝা গেল এদিন জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে। যতই সাফাই দিন বিনো, দলের ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েই গেল। একের পর এক থালায় সাজানো গোলের সুযোগ মিস করলেন ক্লেটন-নন্দরা। ফল স্বরূপ এই মরশুমে ISL-এ টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়ের মুখ দেখতে হল লাল-হলুদ শিবিরকে। এদিন নির্ধারিত সময়ের শেষে স্কোর দাঁড়ায় জামশেদপুর এফসি ২-০ ইস্টবেঙ্গল এফসি। তবে মশাল বাহিনীর ভাগ্য সহায় বলা চলে, কারণ রেফারি জামশেদপুর এফসির একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করেন। নইলে ফলাফল ৩-০ হলেও অবাক হওয়ার থাকত না।
প্রথমার্ধে শুরুটা ভালোই করেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাজের কাজ করতে পারেনি তাদের ফুটবলাররা। উল্টে খেলার গতির বিপক্ষে গিয়ে ২১ মিনিটে দূর থেকে শট নিয়ে বিশ্বমানের গোল করেন জামশেদপুরের তাচিকাওয়া। এদিনের ম্যাচের পর ক্লেটন সিলভাকে দলে রাখা নিয়ে সমর্থকরা প্রশ্ন তুললে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বক্সের মধ্যে সাজানো বল পেয়েও জোড়া গোল মিস করেন একদা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এই নয়নের মণি। শুধু তিনি নন, এদিন গোল মিসের তালিকায় নাম তুললেন সাউল ক্রেসপো। খেলার ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট সহজেই ধরে নেন জামশেদপুরের গোলরক্ষক অ্যালবিনো গোমেজ। ক্রেস্পোর এই মিস দেখে বেঞ্চে বসা হিজাজি মাহেরও নিজের রাগ চেপে রাখতে পারলেন না। সজোরে ঘুসি মেরে বসলেন ডাগআউটের ছাওনিতে।
ইস্টবেঙ্গলের মাঝ মাঠ এবং আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়দের ছন্নছাড়া অবস্থা আরও তীব্র হয় এরপর। গোল শোধ করা দূরে থাক উল্টে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডার নুঙ্গা। ফলে সমস্যা আরও তীব্র হয় বিনোর ছেলেদের জন্য। শেষ পর্যন্ত মরিয়া চেষ্টা করতে থাকলেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের শেষে লাল-হলুদের অন্তরবর্তী কোচ বিনো জর্জ বলেন, ‘আজকের ম্যাচে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ছেলেরা ভালো খেলেছে। তাঁরা চেষ্টা করেছে। আমি বুঝতে পারছি আমাদের ৩ পয়েন্টের প্রয়োজন। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমরা সেটা পাচ্ছি না। আমি জানি না কী বলব। তবে এটাই ফুটবল’।
বিনো বলেন, ‘ভাগ্যও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজ আমাদের ভাগ্য সহায় ছিল না। তার প্রমাণ পেনাল্টি মিস। হয়তো পেনাল্টি থেকে গোল হলে রেজাল্ট ১-১ হতেও পারত। কিন্তু এটাই ফুটবল’। তিনি আরও বলেন, ‘ISL সবে শুরু হয়েছে। আমি ১০০ শতাংশ আশাবাদী দল এবার সুপার সিক্সে যাবে’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।