চলতি মরসুমের সেরা ফুটবল খেলল ইস্টবেঙ্গল দল! ISLএ জয়ে ফিরল ইস্টবেঙ্গল! কেরল ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। বহুদিন পর সল্টলেক স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল খেলল নিজেদের নামের সুবিচার করেই। প্রথম মিনিট থেকে শেষ পর্যন্ত, কোথাও ফুটবলারদের মধ্যে জড়তা লক্ষ্য করা গেল না। দাপিয়ে খেললেন ভারতীয় ফুটবলাররাও। গোলের সংখ্যা আরও বাড়তেই পারত যদি নবাগত সেলিসের নেওয়ার দুর্ধর্ষ শট বারে লেগে না প্রতিহত হত।
এমনিতে ছোট ছোট দলের বিরুদ্ধেও ইস্টবেঙ্গল সাম্প্রতিক সময় আটকে গেছে, কিন্তু হোম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে বিষ্ণুরা যেভাবে জ্বলে উঠলেন তাতে আগামী ম্যাচগুলোয় এই ধারাবাহিকতা যদি লালহলুদ ফুটবলাররা ধরে রাখতে পারে, তাহলে প্রতিপক্ষ দল যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাঁদের কপালে কিন্তু দুঃখ আছে।
ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গেছিল ইস্টবেঙ্গল। আরও একবার ভারতীয় ব্রিগেডের তরুণ তুর্কি পিভি বিষ্ণু এগিয়ে দেন লালহলুদকে। সল্টলেক স্টেডিয়ামে আগত সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন এই কেরালাইট ফুটবলার। মাদিহ তালাল চলে যাওয়ার পর থেকে এই বিষ্ণুই যেন তারকাদের সমস্ত আলো নিজে একাই কেড়ে নিচ্ছেন। ডানপ্রান্ত থেকে বল পেয়ে প্রায় মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে এসে গোল করে যান বিষ্ণু। এর একটু পড়েই ক্লেইটনের শট সেভ দেন কেরলের গোলরক্ষক।
এরই মধ্যে বিষ্ণুর দোসর হিসেবে যোগ হয়েছেন রিচার্ড সেলিস। যিনি গত ম্যাচেও ভালো খেলেছিলেন। বল ধরা, কন্ট্রোল, টাচ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তাঁর জাত কেমন। এই ম্যাচেও প্রথমার্ধে দুরন্ত শট নিয়েছিলেন, যা বারে লাগল। নাহলে তখনই ব্যবধান বাড়ত। ইনসুরেন্স গোল পাওয়ায় জন্য অস্কার ব্রুজোর দলকে অপেক্ষা করতে হল দ্বিতীয়ার্ধে পর্যন্ত। তবে ব্রুজো কিন্তু এই ম্যাচে জোড়া বিদেশি স্ট্রাইকার এবং এক বিদেশি উইংগারকে রেখে আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজিতেই শুরু করেছিলেন।
৭১ মিনিটে একক নৈপুন্যে ফের গোল করার সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন বিষ্ণু কিন্তু সেই বল সেভ করে দেন কেরল গোলরক্ষক। ম্যাচের ৭২ মিনিটে কাঙ্খিত দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এবার লালহলুদকে কর্নার থেকে মাথা ছুঁইয়ে এগিয়ে দিলেন জর্ডনের ফুটবলার হিজাজি মাহের। এমনিতে তাঁর ডিফেন্সিভ স্কিল নিয়ে শেষ কয়েক সপ্তাহে বারবার প্রশ্ন উঠলেও কেরলের বিপক্ষে তিন পয়েন্ট পাওয়ার পিছনে বড় অবদান কিন্তু রাখলেন এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল পেতে আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় কেরল ব্লাস্টার্স দল। কিন্তু লালহলুদের ধুরন্ধর কোচ অস্কার ব্রুজো ততক্ষণে নিজের ছক কষে নিয়েছেন। শেষদিকে দানিশ ফারুক ৮৪ মিনিটে এক গোল করলেন বটে, তবে ওইটুকুই। বল পজিশন বেশি কেরলের সঙ্গে থাকলেও ম্যাচের রাশ ছিল লালহলুদেরই দখলে। সেই সুবাদেই দিয়ামানতাকোস, সেলিস, সিলভারা মাঠ ছাড়লেন ৩ পয়েন্ট নিয়ে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।