চার বছর আগে, ২০১৯-এ গোকুলাম কেরালা এফসি-র কাছে টাইব্রেকারে হেরেই সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। সেই অভিশাপ এবার কাটল লাল-হলুদের। টাইব্রেকারে নর্থইস্টকে হারিয়েই ফাইনালে উঠল কার্লেস কুয়াদ্রাত ব্রিগেড। তবে খেলার রং বদলাল দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে।
গোটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল মোটেও ভালো ফুটবল খেলেনি। বরং নর্থইস্ট অনেক গোছানো ফুটবল খেলেছে। মাঝমাঠের দখল পুরোটাই নিজেদের হাতে রেখেছিল নর্থইস্ট। তারা পরিকল্পনা করে ফুটবল খেলেছে। যার ফলও তারা পেয়েছিল হাতেনাতে। প্রথমার্ধেই ১-০ এগিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ২-০ করে নর্থইস্ট। ইস্টবেঙ্গলকে তখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেন না। ছন্নছাড়া, পরিকল্পনাহীন ফুটবল। একেবারে উদভ্রান্তের মতো দেখাচ্ছিল লাল-হলুদকে।
কিন্তু ম্যাচের ৭৭ মিনিটে ক্লেটন সিলভার ক্রস থেকে নওরেমের শট দীনেশের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। এটা হয় প্রথম টার্নিং পয়েন্ট। আর ম্যাচের ইনজুরি টাইমে জাবাকোর লালকার্ড (ডবল ইয়েলো) হয়ে যায় দ্বিতীয় টার্নিং পয়েন্ট। নর্থইস্ট দশ জন হওয়ার পরের মুহূর্তেই নন্দর গোলে ২-২ করে ফেলে লাল-হলুদ। তখন ইনজুরি টাইমের মিনিট খানেক বাকি। নর্থইস্টের আর কিছু করার ছিল না। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে শেষ পর্যন্ত নর্থইস্ট একটাই মিস করে। যার খেসারত তাদের ম্যাচ হেরে দিতে হয়। ভালো খেলেও ছিটকে যেতে হল পাহাড়ের দলটিকে।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
লাল-হলুদের নন্দ পঞ্চম গোলটি করে ফেললেন। ফাইনালে চলে গেল ইস্টবেঙ্গল।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
নর্থইস্টের হয়ে প্রজ্ঞান স্কোর করলেন।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
ইস্টবেঙ্গলের মহেশ স্কোর করেন।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট.. মিস করল নর্থইস্ট
প্রভসুখন গিল বাঁচালেন পেনাল্টি!! বাঁ-দিকে দুর্বল শটে পার্তিবের এবং গিল সহজে সেভ করেন। শ্যুট-আউটের প্রথম মিস! নাটক!!! রিটেক দেওয়া হয়েছে! পার্তিব বারে মেরেছে এবার। আবার মিস!! অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
ইস্টবেঙ্গলের বোরহা স্কোর করলেন।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
নর্থইস্টের হয়ে গানি গোল করলেন। ফল ২-২।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
ক্রেসপো গোল করল।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
নর্থইস্টের ইবসন মেলো ১-১ করেন।
চলছে পেনাল্টি শ্যুট আউট
ইস্টবেঙ্গল- ক্লেটন প্রথম গোল করেন।
খেলা শেষ
খেলা শেষের বাঁশি বেজে গেল। ইস্টবেঙ্গল শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখল। খেলার ফল ২-২। পেনাল্টি শ্যুট আউটে গড়াল খেলা।
গোওওওওওওওলললললল…. ২-২ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল
৯০+৭ মিনিট- ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে বদলে গেল খেলার রং। ২-২ করে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। নন্দ স্কোর করল। ডান দিক থেকে প্রাথমিক শটটি দক্ষতার সঙ্গে মিরশাদ সেভ করেছিল। কিন্তু ফিরতি বল ধরে ক্লেটন বাঁ-দিক থেকে শট নেন, নন্দ সেই বল ধরে হেড করেন। রোমাঞ্চকর জায়গায় পৌঁছে গেল ম্যাচ।
লালকার্ড দেখলেন নর্থইস্টের জাবাকো
৯০+৬ মিনিট- আগেই হলুদকার্ড দেখেছিলেন নর্থইস্টের জাবাকো। ফের তিনি ফাউল করে হলুদকার্ড দেখলেন। ফলে ডাবল ইয়েলো (লালকার্ড) দেখে মাঠ ছাড়তে হল জাবাকোকে। দশ জন হয়ে গেল নর্থইস্ট।
৮ মিনিট ইনজুরি টাইম
সমতা ফেরাতে আরও ৮ মিনিট পাবে ইস্টবেঙ্গল। পারবে কি তারা গোলশোধ করতে? তবে লাল-হলুদের খেলায় সেই বাঁধুনিই ছিল না আজ।
লাল-হলুদের প্রয়াস
৮৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের বক্সে আরেকটি ক্রস বাঁ দিক থেকে বাড়ায় একজন ফরোয়ার্ড। নন্দ এর পর বলটি ধরে গোলের কাছাকাছি পৌঁছলেও, সেটা ধরে ফেলে কিপার।
গোওওওওলললল…. ১-২ করল ইস্টবেঙ্গল
৭৭ মিনিট- ক্লেটন সিলভার ক্রস থেকে নাওরেমের শট দীনেশের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে গোলে ঢুকে যায়। ব্য়বধান কমাল ইস্টবেঙ্গল।
লাল-হলুদের আক্রমণের ঝাঁজ নেই
৬৩ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল খেলায় ফিরতে ফিরে যাওয়ার পথের সন্ধানে সিস্টেম পরিবর্তন করেছে। কিন্তু নর্থইস্ট মাঝমাঠের দখল ছাড়েনি। আর ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঝাঁজও কেমন যেন ভোঁতা।
গোওওওওওওলললললল….. ২-০ করল নর্থইস্ট
৫৭ মিনিট- ফাল্গুনীর দুরন্ত স্কোর! প্রথমার্ধে একটি সুন্দর ডান পায়ের ক্রস বাড়িয়ে গোল করতে সাহায্য করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেই নর্থইস্টের হয়ে ২-০ করলেন। ওপেনার তৈরি করতে এবং বাঁ-পায়ের জোরালো শটে ফিনিশ করেন ফাল্গুনী।
বিরতির পরেই তুলে নেওয়া হল পারদোকে
ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দু'টি পরিবর্তন করে। শৌভিক নামে নিশুর পরিবর্তে। বোরহা হেরেরা নাম পারদোর পরিবর্তে। পারদো একেবারেই নজর কাড়তে পারেননি। তুলে নিতে হল প্রথমার্ধের পরেই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু। ইস্টবেঙ্গল সমতা দ্রুত ফেরাতে না বাড়লে, চাপ বাড়বে। নর্থইস্ট মাঝমাঠেই ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় আক্রমণ কিন্তু আটকে দিচ্ছে। তাই উইং দিয়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে হবে লাল-হলুদকে।
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে লাল-হলুদ
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। পারদো লুকাস এদিন প্রথম থেকে শুরু করলেও, ম্যাচের ২২ মিনিট গোল হজম করে বসে ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকে লাল-হলুদের মধ্যে গোলশোধের জন্য মরিয়া ভাবও দেখা যায়নি। এমন কী তারা কোনও পজিটিভ আক্রমণও তৈরি করতে পারেনি। এভাবে দ্বিতীয়ার্ধে খেললে, ইস্টবেঙ্গলকে ফাইনালে ওঠার আশা ত্যাগ করতে হবে।
চার মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধে নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। চার মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
কবে গোল করবে ইস্টবেঙ্গল?
৪৫ মিনিট- প্রথমার্ধের খেলা শেষ। গোলের মুখ খুলতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। সেভাবে পজিটিভ কোনও সুযোগও তারা তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-হলুদ যদি ঘুরে না দাঁড়াতে পারে, তবে ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যাবে।
পজিটিভ কোনও চেষ্টা নেই লাল-হলুদের
৩৯ মিনিট- মান্দার বাঁদিকের উইং থেকে একটি ইন ক্রস করে, সিভেরিও তাঁর মাথা ছোঁয়ানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু হেডারে তিনি কিছু করতে পারেননি। বল বাইরে বেরিয়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গলের লড়াই বারবার প্রতিহত করছে নর্থইস্ট
৩৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল লড়াই চালাচ্ছে। নিশুর বাঁ দিক থেকে ক্রস করার সুযোগ ছিল কিন্তু নর্থইস্টের ডিফেন্সের কাছে আটকে যায়। গোলের মুখ ইস্টবেঙ্গল দ্রুত খুলতে না পারলে কপালে দুঃখ আছে।
নর্থইস্ট দারুণ লড়াই করছে
২৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলকে বলের দখল নিতেই দিচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ দখল রাখার লড়াইয়ে প্রতীব ও ফাল্গুনীরা একেবারে মরিয়া হয়ে ফুটবল খেলছে। ইস্টবেঙ্গলকে দ্রুত উইং দিয়ে আক্রমণে উঠতে হবে।
গোওওওওওললললল… ১-০ এগিয়ে গেল নর্থইস্ট
২২ মিনিট- নর্থইস্টের জাবাকো স্কোর করল। কর্নার ক্লিয়ার করার পর লেফট উইং থেকে ফাল্গুনীর সুন্দর বল বাড়ান। বাঁকানো ক্রস ধরে জাবাকো কিপারকে অতিক্রম করে বল জালে জড়ান। লাল-হলুদ কিপার প্রভসুখান গিল ডাইভ দিয়ে গোল সেভ করতে পারেননি।
ম্যাচ এখনও গোলশূন্য
১৫ মিনিট- খেলায় ১৫ মিনিট হয়ে গেলেও, এখনও কোনও দলই পজিটিভ আক্রমণে ওঠেনি। খেলাটা মাঝমাঠেই সীমাবদ্ধ থাকছে।
বলের দখল নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল
৮ মিনিট- চলছে লড়াই। বলের দখল নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। পারবে লাল-হলুদ বাজিমাত করতে।
খেলা শুরু
ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ শুরু। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এবং নর্থইস্ট। দুই দলবই জিততে তেতে রয়েছে।
নর্থইস্টের একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
পারদো লুকাসকে প্রথম বার ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে ম্যাচ শুরু করতে চলেছেন। একাদশে ফিরছেন মান্দার।
আত্মবিশ্বাসী নর্থইস্ট কোচ
জুয়ান পেদ্রো বেনালি বলেছেন, ‘সেমিফাইনালকে অন্য কোনও ম্যাচের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললে হবে না। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ওদের ঘরের মাঠে খেলছি। সব পজিশনে ওদের ফুটবলার রয়েছে। রিজার্ভ বেঞ্চও শক্তিশালী। কিন্তু আমরা উত্তর-পূর্বের প্রতিনিধি হিসাবে এখানে খেলতে এসেছি। সমর্থকেরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। আমরা ওদের গর্বিত করতে চাই।’
নর্থইস্টকে সমীহ করছেন কুয়াদ্রাত
কার্লেস কুয়াদ্রাতের দাবি, ‘গোকুলমের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে কঠিন লড়াই করে আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি। এই টুর্নামেন্টে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। ওদের দলে তরুণ ও অভিজ্ঞ ফুটবলারদের সংমিশ্রণ ভালো আছে। ওদের দল খুব ভালো লড়াই করতে পারে। এই ম্যাচ আমাদের জন্য কঠিন হতে চলেছে।’
দুরন্ত ছন্দে রয়েছে নর্থইস্ট
নর্থইস্টকে সমীহ না করে অবশ্য কোনও উপায় নেই। ডুরান্ডে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে তারা। গ্রুপ পর্বে শিলং লাজং এফসি-কে ৪-০-য় হারিয়ে অভিযান শুরু করেছিল নর্থইস্ট। অপর সেমিফাইনালিস্ট এফসি গোয়ার বিরুদ্ধেও ২-২ ড্র করে তারা। এবং শেষে ডাউনটাউন হিরোজকে ৩-১-এ হারিয়ে শেষ আটে ওঠে নর্থইস্ট। কোয়ার্টারে তারা আবার ভারতীয় সেনা দলকে ১-০-তে হারিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০ গোল দিয়ে তিন গোল খেয়েছে নর্থইস্ট। ৪-২-৩-১-এ দল সাজিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে পছন্দ করেন ৫৪ বছর বয়সী স্প্যানিশ কোচ জুয়ান পেদ্রো বেনালির দল।
ইস্টবেঙ্গলের ডুরান্ড অভিযান
ডুরান্ডের গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশ সেনা দলের বিরুদ্ধে ২ গোলে এগিয়ে, ২-২ ড্র করে চাপে পড়ে গিয়েছিল লাল-হলুদ। তবে ডার্বি জেতার পর বদলে যায় পুরো টিমের বডিল্যাঙ্গোয়েজ। গ্রুপের শেষ ম্যাচে তারা পঞ্জাব এফসি-কেও হারায়। শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছয় ইস্টবেঙ্গল। আর কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে, চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯-এ যে গোকুলাম কেরালা এফসি-র কাছে টাই ব্রেকারে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল লাল-হলুদকে, তাদের হারিয়ে এবার শেষ চারে জায়গা করে নেন কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেলেরা। এবার সেমিতে নর্থইস্টকে হারাতে পারেলই ১৯ বছর পর ডুরান্ডের ফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল।