মরশুমের শুরুটা যতটা ভাল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের, আইএসএলের শুরুটা ততটাও ভালো করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তারা এই নিয়ে চারটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। দুই ম্যাচ হারল। এবং একটি ড্র করেছে। আপাতত ৪ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের আটে নেমে হেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এদিকে আইএসএলের প্রথম তিন ম্যাচেই জয় ছিনিয়ে নিয়ে দাপটের সঙ্গে অভিযান শুরু এফসি গোয়া। তারা শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে উঠে এস রয়েছে লিগ তালিকার দুইয়ে।
হারল ইস্টবেঙ্গল
ফের হারল ইস্টবেঙ্গল। ১-২ গোলে তারা গোয়ার কাছে হেরে শূন্য হাতে মাঠ ছাড়ল। ৭৪ এবং ৭৫- এই এক মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুই গোল করে গোয়া। আর সেই ২টি গোলই ব্যবধান গড়ে দেয়। ইস্টবেঙ্গল এর পর আর সমতাও ফেরাতে পারেনি। বিরতির আগে এগিয়ে গিয়েও হেরে মাঠ ছাড়ল কুয়াদ্রাতের টিম।
ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। ১-২ পিছিয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছে রেফারি। লাল-হলুদ কি পারবে অন্তত গোলশোধ করতে?
জোড়া পরিবর্তন লাল-হলুদের
৮০ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল জোড়া পরিবর্তন করে। নওরেম মহেশ এবং খাবরার জায়গায় নামেন বিষ্ণু এবং শৌভিক।
গোওওওওওললললল… ২-১ করল গোয়া
৭৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ এই গোলের জন্য পুরোপুরি দায়ী। মাঝমাঠ থেকে পাওলো রেত্রে বল ছিনিয়ে নিয়ে ভিক্টরের কাছে বল পাঠান। প্রভসুখন গিলকে প্রতিহত করে জালে বল জড়ান ভিক্টর। তাঁকে আটকানোর কোনও চেষ্টাই করেনি লাল-হলুদ। দর্শকের ভূমিকায় ছিল তারা।
গোওওওওওললললল… সমতা ফেরালেন সন্দেশ
৭৪ মিনিট- সেটপিস থেকে ভিক্টর রডরিগেজের শট থেকে হেড নিখুঁত গোল সন্দেশ ঝিঙ্গানের। সমতা ফেরালেন তারকা ডিফেন্ডার।
কুলে নেওয়া হল ম্যাকহিউকে
৭১ মিনিট- ম্যাকহিউ এদিন হতাশ করেছেন। তাঁকে কার্যকরী ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। নিষ্প্রভ ছিলেন এদিন। গোয়ার আক্রমণে গতি বাড়াতেই মাঝমাঠে কার্ল ম্যাকহিউয়ের জায়গায় নামানো হল পাওলো রেত্রেকে।
ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তন
৬৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল রাকিপের জায়গায় নিশু কুমারকে নামাল। খাবরাকে রাইট ব্যাকে নিয়ে এসে, নিশুকে মিডফিল্ডে খেলানো হচ্ছে।
গোয়ার চেষ্টা
৬২ মিনিট- গোয়া বলের দখল নিজেদের হাতে নিচ্ছে। তবে তারা গোলের মুখ খুলতে পারছে না। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য কাউন্টার অ্যাটাকে উঠছে। তবে দুই দলের খেলাতেই সেই গতি বা মরিয়া ভাবটা নেই।
আর্শদীপের তৎপরতা
৫৫ মিনিট- আরও একটি সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। নওরেমকে ফাউল করে বসেন ভিক্টর। লম্বা ফ্রি-কিক থেকে সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। তবে আর্শদীপ পাঞ্চ করে বলকে বিপন্মুক্ত করেন।
নির্বিষ গোয়া
৫০ মিনিট- গোল হজম করার পরেও এফসি গোয়াকে সে ভাবে আগ্রাসী লাগছে না। তারা কিন্তু পজিটিভ কোনও আক্রমণ এখনও করে উঠত পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই প্লেয়ার পরিবর্তন করল গোয়া
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হচ্ছে। আর শুরুতেই প্লেয়ার পরিবর্তন করল এফসি গোয়া। রেইনারের জায়গায় তারা নামাল রওলিন বর্জেসকে।
বিরতিতে ১-০ এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। নন্দ দুরন্ত গতিতে গোলের সুযোগ তৈরি করে দেন। আর সেটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি নওরেম।
৩ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। নওরেম মহেশের গোলে ১-০ এগিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল। ৩ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
গোওওওওওওলললললললললল…. ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
৪১ মিনিট- নওরমের গোলে বিরতির আগেই ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। নিজে গোল না করলেও, ইস্টবেঙ্গলের গোলের পিছনে প্রধান ভূমিকা নেন নন্দ কুমার। তিনি জয় গুপ্তর থেকে বল কেড়ে নিয়ে প্রায় ৪০ গজ দৌড়ে এসে, চূড়ান্ত থার্ডে নওরেম মহেশকে বল বাড়ান। নন্দকে লক্ষ্য করে দৌড়ে আসছিলেন নওরেম। সেই বল ধরে জালে জড়াতে এতটুকু ভুল করেননি নওরেম মহেশ।
হলুদকার্ড দেখলেন ম্যাকহিউ
৩৭ মিনিট- সিভেরিওকে ফাউল করে হলুদকার্ড দেখলেন ম্যাকহিউ। তার আগে ৩৫ মিনিটে পার্দোকে হলুদকার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। চলছে লড়াই। কিন্তু গোলের মুখ কুলবে কখন?
ছোট প্রচেষ্টা
২৮ মিনিট- ক্লেটনকে ডানদিকে বল বাড়ান নন্দ কুমার। সেখান থেকে ক্রেসপো ক্রস পান। এবং তিনি গোলের লক্ষ্যে বল মারার চেষ্টা করলেও, তা কার্যকর হয় না। গোয়া পাল্টা কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠে। কিন্তু উদন্তের কাট ব্যাক লালচুংনুঙ্গা প্রতিহত করেছেন।
হলুদকার্ড দেখলেন নওরেম
২৫ মিনিট- জয় গুপ্তাকে বাজে ফাউল করলেন নওরেম মহেশ। এবং ম্যাচের প্রথম হলুদকার্ড দেখলেন তিনি। একেই গোলের দেখা নেই। সেই ভাবে আক্রমণাত্মকও লাগছে না ইস্টবেঙ্গলকে। তার উপর আবার একটি কার্ড তারা দেখে ফেলল।
গোলের দেখা নেই
১৫ মিনিট- নন্দকুমার একটি ক্রস পেয়ে সেটি গোলের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জয় গুপ্ত সেখানে ব্লক তৈরি করেন। বল বেরিয়ে যায়। আরও একটি কর্নার পায় ইস্টবেঙ্গল। এর পর গোয়ার সেরিটন চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্বল আক্রমণ। মোদ্দা কথা, দুই দলের আক্রমণের মধ্যে এখনও সেই ধার খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এখন আগ্রাসী হতে দেখা যায়নি কোনও দলকে
১০ মিনিট- একে অপরকে মেপে নেওয়ার খেলা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এবং এফসি গোয়া। কোনও দলই আপাতত আগ্রাসী হয়ে ওঠেনি। একটি সুযোগ গোয়া পেয়েছিল। সেরিটন বল বাড়িয়েছিলেন ভিক্টরকে। কিন্তু প্রভসুখন গিল সেই বল সহজেই ধরে ফেলে। এটা খেলায় গোয়ার প্রথম সুযোগ।
বলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে গোয়া
৫ মিনিট- শুরুতে বল ধরে রেখে খেলছে গোয়া। ইস্টবেঙ্গল চেষ্টা করছে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠার। তবে এই ম্যাচ জিততে হলে, লাল-হলুদকে আরও আগ্রাসী হতে হবে।
খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল-এফসি গোয়া ম্যাচ শুরু। জিতবে কারা? লাল-হলুদের হোম ম্যাচ হলেও, দুর্গাপুজোর জন্য সেই সুবিধা পাচ্ছে না তারা। তবে জিততে তেতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
গোয়ার একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের একাদশ
অ্যাওয়ে ম্যাচে গোয়ার ব্যর্থতার নজির
গোয়া তাদের শেষ আটটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পায়নি। তিনটি ড্র করেছে এবং পাঁচটিতে হেরেছে। এটাই তাদের অ্যাওয়ে ম্যাচে দীর্ঘতম ব্যর্থতার নজির।
লাল-হলুদের নজর কাড়া পরিসংখ্যান
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল তাদের শেষ দু'টি হোম ম্যাচে অপরাজিত থেকেছে। শনিবারের ম্যাচেও অপরাজিত থাকতে পারলে, এটাই হবে তাদের ঘরের মাঠে দীর্ঘতম সাফল্যের ইতিহাস। লাল-হলুদ কোচ কার্লস কুয়াদ্রাত আইএসএলে সবচেয়ে বেশি সাফল্য পেয়েছেন এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তাঁর প্রশিক্ষণাধীন দল চারটি ম্যাচ জিতেছে গোয়ার বিরুদ্ধে। গোয়ার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেননি কুয়াদ্রাত। কোচের এই পরিসংখ্যান লাল-হলুদ ফুটবলারদের তাতানোর জন্য যথেষ্ট।
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল বনাম গোয়ার পরিসংখ্যান
ইন্ডিয়ান সুপার লিগেইস্টবেঙ্গল এবং এফসি গোয়া মুখোমুখি হয়েছে মোট ছ’বার। গোয়া জিতেছে তিন বার। ইস্টবেঙ্গল এক বার। বাকি দু’বার ড্র হয়েছে। অর্থাৎ পরিসংখ্যানে এগিয়ে গোয়ার দলটিই।
গোয়ার হাল কী?
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এফসি গোয়া তাদের আইএসএল অভিযান দাপটের সঙ্গে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে তারা লিগ তালিকার তিন নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। তাই এদিনের লড়াই তিন বনাম সাতের মধ্যে হবে।
চলতি আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান
মরশুমের শুরুটা যতটা ভাল হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের, আইএসএলের শুরুটা ততটাও ভালো করতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তারা তিনটি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে। একটি ম্যাচ হেরেছে এবং একটি ড্র করেছে। আপাতত তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের সাত নম্বরে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ভুবনেশ্বরে লাল-হলুদকে খেলতে হচ্ছে হোম ম্যাচ
শনিবার মহাসপ্তমী। এর মাঝেই আইএসএলের ম্যাচ খেলতে নামছে ইস্টবেঙ্গল। তবে হোম ম্যাচ হলেও, দুর্গাপুজোর জন্য কলকাতার যুবভারতীতে ম্যাচটি করা সম্ভব হচ্ছে না। হচ্ছে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। এই নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও, কলকাতায় এই সময় প্রশাসনিক সমস্যা থাকায় শনিবারের ম্যাচ সরানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।