শুক্রবার বড় অক্সিজেন পেল ইস্টবেঙ্গল। তারা ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে কিছুটা হলেও পায়ের তলায় জমি খুঁজে পেল। যদিও তারা নয় নম্বরেই থাকল। তবে তাদের পয়েন্ট এখন ১৬ ম্যাচে ১৫। এ দিকে কেরালা ম্যাচ হেরে তিনে থাকলেও তাদের পয়েন্ট এখন ১৬ ম্যাচে ২৮। সেখানে চারে থাকা এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৫ ম্যাচে ২৭। অর্থাৎ সবুজ-মেরুন একটি ম্যাচ জিতলেই কেরালাকে টপকে তিনে উঠে আসবে।
জিতল ইস্টবেঙ্গল
২০২৩ সালে প্রথম ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের একমাত্র গোলে কেরালাকে হারিয়ে লাল-হলুদ ব্রিগেড নিজেরা কিছুটা অক্সিজেন পেল। বেঁচে থাকল তাদের প্রথম ছয়ে জায়গা করে নেওয়ার আশা। তবে লাল-হলুদ যদি প্রথম ছয়ে জায়গা করে নিতে পারে, সে ক্ষেত্রে কার্যত অলৌকিক ঘটনার মতো হবে বিষয়টি।
মোবাশিরের লালকার্ড
মোবাশির ফের ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। স্বাভাবিক ভাবেই সেটা লালকার্ড হয়ে যায়। মোবাশিরকে তাই খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়তে হয়।
লালকার্ড লাল-হলুদেক
ইনজুরি টাইমে ওরমের চোট লাগলে তাঁর চিকিৎসা করতে এলে সাপোর্ট স্টাফ কেরালার ফুটবলারকে ধাক্কা দেন। আর এর পরেই শুরু হয় উত্তেজনার। দুই দলের মধ্যে ঝামেলা বেড়ে যায়। রেফারির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে লালকার্ড দেখেন লাল-হলুদের সাপোর্ট স্টাফ।
গোওওওওওলললললল- ক্লেট নের গোলে ১-০ করল ইস্টবেঙ্গল
৭৭ মিনিটে অবশেষে গোলের মুখ খুলল ইস্টবেঙ্গল। নওরেম কিন্তু এই গোলটি তৈরি করেছিলেন। তিনি বল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল। তিনিই গোলে শট মারতে গিয়েছিলেন। কিন্তু গোলে তিনি বল ঢোকাতে পারেননি। ফিরতি বল ধরে গোল করেন সুযোগসন্ধানী ক্লেটন। ১-০ এগিয়ে গেল লাল-হলুদ।
খেলায় ফিরছে কেরালা
৬৫ মিনিট- কেরালা কিন্তু ধীরে ধীরে খেলায় রাশ ধরে নিচ্ছে। তারা ফের আক্রমণে ফিরছে। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঝাঁজ কিছুটা কমেছে। ঝাঁজ বাড়াচ্ছে কেরালা। দুই দলের কিপার- লাল-হলুদের কমলজিৎ এবং কেরালার করণজিৎ অনেক বেশি সতর্ক। যে কারণে এখনও পর্যন্ত গোলের মুখ কোনও দলই খুলতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলার শুরুতেই ক্লেটনের সহজতম সুযোগ নষ্ট
দ্বিতীয়ার্ধের খেলার একেবারে শুরুতেই ক্লেটন সহজতম সুযোগ নষ্ট করে বসল। ফাঁকা গোল পেয়েও গোলে রাখতে পারলেন না। উল্টে নিজেই পড়ে গেলেন। এই রকম সুযোগ নষ্টের খেসারত কিন্তু লাল-হলুদকে দিতে হতে পারে।
বিরতিতে খেলার ফল গোলশূন্য
বিরতির ঠিক আগেই ইস্টবেঙ্গল সহজ সুযোগ নষ্ট করে। সেই সঙ্গে ফিরতি বলে ক্লেটন সিলভার শট বাঁচান করণজিৎ। সুহের তার পর মিস করেন বল জালে জড়াতে। মোদ্দা কথা একই সময়ে তিন বার বল জালে জড়ানোর সুযোগ এলেও, সেটা কার্যকরী হয়নি। বিরতিতে খেলার ফল গোলশূন্য।
অফসাইডের জন্য সুহেরের গোল বাতিল
ম্যাচের ৪১ মিনিটে সুহের জালে বল জড়িয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
৩০ মিনিট পার, গোল করতে পারেনি কোনও দলই
৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দল। তবে কেরালা ব্লাস্টার্স আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে চলেছে। ইস্টবেঙ্গল কাউন্টার অ্যাটাক ওঠার চেষ্টা করলেও বলার মতো কিছু করতে পারেনি।
অঙ্কিতকে তুলে নেওয়ায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ
১৫ মিনিট গড়াতে না গড়াতেই অঙ্কিতকে তুলে নিয়ে মহম্মদ রাকিপকে নামিয়ে দেন স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। হঠাৎ কেন তাঁকে তুলে নিলেন স্টিফেন, সেটা পরিষ্কার নয়। তবে এতে অঙ্কিত প্রকাশ্যেই কোচের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জার্সি খুলে রিজার্ভ বেঞ্চে ছুঁড়ে মারেন। এতে চটে যান কনস্ট্যান্টাইনও। তিনি অঙ্কিত সাজঘরে চলে যেতে বলেন।
শুরুতে কেরালার ঝাঁজ বেশি
১০মিনিট- ম্যাচের শুরু থেকে কেরালা চাপে রেখেছে ইস্টবেঙ্গলকে। আক্রমণের ঝাঁজ তাদের অনেক বেশি। রাহুল কেপি গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন। তা না হলে এতক্ষণে ১-০ এগিয়ে যেতে পারত কেরালা। ইস্টবেঙ্গল সে ভাবে আক্রমণে ওঠেনি।
ম্যাচ শুরু
ক্লেটন সিলভার জন্মদিন আজ। নিজের জন্মদিনকে স্মরণ করতে বিশেষ জাদু দেখাবেন তারকা ফুটবলা? পারবেন লাল-হলুদকে জিতিয়ে জন্মদিনটা মধুর করে তুলতে? ম্যাচ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন চলবে ৯০ মিনিটের লড়াই।
পরিমল দে-কে শ্রদ্ধা
৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার পরিমল দে। দীর্ঘদিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ কসবায় নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি ফুটবলার। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
দ্বৈরথের ইতিহাস
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট পাঁচ বার। ব্লাস্টার্স জিতেছে দু’বার। বাকি তিন বার ম্যাচ ড্র হয়েছে। অর্থাৎ লাল-হলুদ শিবির এখনও পর্যন্ত কেরল ব্লাস্টার্সকে একটি ম্যাচেও হারাতে পারেনি।
কেরালার পরিস্থিতি
টানা আট ম্যাচে অপরাজিত (সাতটি জয় ও একটি ড্র) থাকার পর দু'টি ম্যাচে হেরে গত রবিবারই জয়ে ফিরেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। তারা নিজেদের ছন্দ ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে লড়াই করবে। গতবারের ফাইনালিস্ট কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে, যারা এখন এটিকে মোহনবাগানের চেয়ে এক পয়েন্ট বেশি পেয়ে তিন নম্বরে রয়েছে। তাদের ১৫ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট।
লাল-হলুদের হাল
চার ম্যাচে টানা হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের কোণঠাঁসা দশা। অঙ্কের হিসেবে এখনও সেরা ছয়ের দৌড় থেকে ছিটকে যায়নি ইস্টবেঙ্গল এফসি। আইএসএলের পরিসংখ্যানবিদরা বলছেন, এখন যদি লাল-হলুদ বাহিনী তাদের বাকি সব ম্যাচে জেতে, যদি বেঙ্গালুরু এফসি তাদের চারটির মধ্যে তিনটি ম্যাচে হেরে যায়, ওড়িশা এফসি যদি তাদের বাকি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরে যায় এবং চেন্নাইয়িন এফসি যদি আরও দু’টি ম্যাচে হেরে যায়, তা হলে ছ’নম্বর দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। যদিও জটিল এই অঙ্কের হিসেব মেলানো অসাধ্য সাধনের সমান। লিগ তালিকায় নয় নম্বরে আপাতত রয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। ১৫ ম্যাচে তাদের ১২ পয়েন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।