বিশ্বকাপে এর আগে সাত বার আফ্রিকার দেশের বিরুদ্ধে খেলেছে ইংল্যান্ড। তবে তাদের হারাতে পারেনি আফ্রিকার কোনও দল। সেনেগলও পারল না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তারা প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না। শুরুর দিকে একটু হলে চেষ্টা করেছিল সেনেগল। কিন্তু সেটা খুব অল্প সময়েই জন্য। ইংল্যান্ডের প্রথম গোলের পর থেকে যেন একেবারেই গুটিয়ে গেল তারা। গোটা ম্যাচে আর ঘুরে দাঁড়াতেই পারল না তারা।
ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড
সেনেগল এ দিন খাপই খুলতে পারেনি। এক তরফা ফুটবল খেলে ৩-০ জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড-ফ্রান্স দ্বৈরথ। শেষ আটের লড়াইয়ের আগে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় স্বস্তি হ্যারি কেনের ফর্মে ফেরা।
৮৫ মিনিট পার- ৩-০ এগিয়ে ইংল্যান্ড
৮৫ মিনিট হয়ে গেল। সেনেগল কিছু করতে পারল না। তারা বরং হতাশই করল। ০-৩ গোলে পিছিয়ে রয়েছে সেনেগল।
সেনেগল যেন হাল ছেড়ে দিয়েছে
ম্যাচের ৭০ মিনিট হয়ে গেল। সেনগলকে যতটা আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া যাবে মনে করা হয়েছিল, সে রকম আগ্রাসী দেখাচ্ছে না তাদের। বরং ৩ গোল খেয়ে একেবারে ধুঁকছে সেনেগল। তারা যেন ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই হেরে বসে রয়েছে।
গোওওওওললললল----- ইংল্যান্ডের তৃতীয় গোল
৫৭ মিনিট: ফোডেন বাঁ-দিক থেকে আক্রমণে ওঠেন। সেনগলের দু'জন তারকাকে ডজ দিয়ে মাপা শটে পাস বাড়ান সাকাকে। সাকা বলটি হাল্কা তুলে গোলে ঢুকিয়ে দেন। দৃষ্টিনন্দন গোল। ৩-০ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে দুরন্ত ছন্দে ইংল্যান্ড ২-০ এগিয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে কি তারা ব্যবধান বাড়াবে? নাকি সেনেগল খেলায় ফিরে চমক দেবে?
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে ইংল্যান্ড
বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। তারা চাইবে, দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক-আধটা গোল করে চাপ কমাতে। হঠাৎ করেই যেন খেলা থেকে একেবারে হারিয়ে গিয়েছে সেনেগল। এক তরফা ম্যাচ খেলে চলেছে ইংল্যান্ড।
গোওওওওওওললললললল- ২-০ করল ইংল্যান্ড
প্রথমার্ধে ইনজুরি টাইমে দুরন্ত গোল হ্যারি কেনের। এই বছরের বিশ্বকাপে এটাই প্রথম গোল রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জয়ীর। বেলিংহ্যাম বল নিয়ে দুরন্ত ভাবে এগিয়ে যান সেনগলের বক্সের দিকে। ফোডেনকে পাস দেন তিনি। ফোডেন আবার পাস বাড়াব কেনকে। দুরন্ত গোল হ্যারি কেনের। এই গোলের মুখ খোলার অপেক্ষাতেই ছিলেন কেন।
গোওওওওওওললললললল- এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড
৩৮ মিনিট: জর্ডন হেন্ডারসনের দুরন্ত গোল! হ্যারি কেন থেকে বল পান বেলিংহ্যাম। এর পর তাঁর থেকে বল পান হেন্ডারসন। লিভারপুলের এই অভিজ্ঞ প্লেমেকার গোল করতে কোনও ভুল করেননি।
দুরন্ত সেভ পিকফোর্ডের
৩৫ মিনিট: সেনেগলের দিয়ার শট দুরন্ত বাঁচিয়েছে পিকফোর্ড। ইংল্যান্ডের সাকার থেকে একটি দুর্বল পাস ধরে দিয়া গোলের প্রচেষ্টা করেছিলেন। পিকফোর্ডের জন্য রক্ষা পেল ব্রিটিশরা।
বড় মিস সেনেগলের
২৩ মিনিট: সেনেগলের জন্য বড় সুযোগ ছিল! ম্যাগুয়ারের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগ নেয় সেনেগল। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে দিয়া খুব ভালো শট নিয়েছিলেন। তবে বলটি স্টোনসের হাঁটু লাগে এবং তাঁর হাতে লেগে বের হয়ে যায়। হাতে লেগে ইসমাইলা সারের কাছে যায়। তিনি ছয় গজ দূর থেকেও শট নিতে পারেননি। তবে হাতে বল লাগার জন্য পেনাল্টির দাবি করে সেনেগল। ভারের সাহায্য নিয়ে সেই দাবি নস্যাৎ করা হয়।
ইংল্যান্ড ভালো ছন্দে
১৫ মিনিট: বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে ইতিমধ্যে খেলায় আধিপত্য বিস্তার করছে ইংল্যান্ড। উভয় দলই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে। যদিও ইংল্যান্ড এবং সেনেগল এখনও গোলে প্রথম শট নিতে পারেনি।
শুরুতেই সুযোগ সেনগলের
হ্যারি ম্যাগুইরেকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেনেগলের দিয়া শুরুতেই গোল করার সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিলেন। তবে দিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এবং বল সংগ্রহ করেন ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।
খেলা শুরু
ফিফা বিশ্বকাপে চতুর্থ প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-সেনেগল। ঘটবে কি অঘটন? নাকি ইংল্যান্ড ফেভারিট হিসেবে জয় ছিনিয়ে নেবে?
কখনও মুখোমুখি হয়নি ইংল্যান্ড-সেনেগল
এর আগে এই দুশ দেশ কখন মুখোমুখি হয়নি। তাই দুই দলের কাছেই অচেনা প্রতিপক্ষ। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে ইউরোপের দলগুলির বিরুদ্ধে শেষ ৬টি ম্যাচের মধ্যে ৩টি জিতেছে, ২টি হেরেছে আর একটা ড্র করেছে সেনেগল।
অন্য দিকে আফ্রিকার দেশগুলির বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৭ বার মুখোমুখি হয়ে একবার মাত্র হেরেছে। চারটি জয় পেয়েছে আর ড্র করেছে ৩টি ম্যাচে। তাই সব মিলিয়ে একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অপেক্ষায় ফুটবলপ্রেমীরা।
লেনেগল কোচ বড় বাজি
কোচ অ্যালিউ সিসের কোচিংয়েই প্রথমবার আফ্রিকা নেশন্স কাপ জিতেছে সেনেগল। ২০১৯-এও ফাইনালে পৌঁছেছিল তারা। ট্রফি না এলেও একটা বিষয় অন্তত বুঝিয়ে দিয়েছে, ক্রমশ উন্নতি করছে সেনেগল। এ বার বিশ্বকাপের আগে সাদিও মানে ছিটকে যাওয়ায় কার্যত কেউই ভাবেনি, নকআউটে যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে সেনেগল। শেষ পর্যন্ত তারা করে দেখিয়েছে। ভয়ডরহীন ফুটবলই তাদের সম্পদ। ইংল্যান্ডকেও ছিটকে দেবে না তো তারা? অবিশ্বাস্য কিছু নয়। অঘটনের বিশ্বকাপে যা খুশি ঘটতেই পারে।
সাউথগেটের ঝুলিতে নেই কোনও ট্রফি
ইংল্যান্ডের দল শক্তিশালী। কিন্তু কোচ গ্য়ারেথ সাউথগেটের পরিকল্পনা নিয়ে অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই সন্দেহ প্রকাশ করেন। তাঁর ঝুলিতে কোনও ট্রফি নেই। সাউথগেটের কোচিংয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ২০২০ ইউরো কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ট্রফির দেখা নেই।
এ বার কি কাতার থেকে ট্রফি নিয়ে ফিরতে পারবে সাউথগেটের ইংল্য়ান্ড? তার জন্য আরও কয়েকটা ধাপ পেরোতে হবে। সেনেগল ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ বলেছেন ‘আমার কাজের অন্যতম দায়িত্ব হল অন্যদের আনন্দ দেওয়া। পেশাদার হিসেবে নিজেদের কাজ করে যাব। লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করব। এর আগে দু-টি টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে অনেকটা দূরে পৌঁছেছিলাম। আরও একটা সুন্দর সফরের যোগ্যতা রয়েছে এই দলের।’ মার্কাস ব়্যাশফোর্ড, ফিল ফডেন, বুকায়ো সাকা, জুড বেলিংহ্যামরা অনবদ্য পারফর্ম করছেন। ভুললে চলবে না অভিজ্ঞ হ্যারি ম্যাগুয়েরের কথাও।